ইত্তেহাদ নিউজ,ঢাকা : স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ছিলেন মো. মজিবুর রহমান সিকদার। তার বিরুদ্ধে ভুয়া নথি তৈরি, সম্পদের তথ্য গোপন, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের খোঁজ পেয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মজিবুরের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার এক সপ্তাহের মাথায় তার স্ত্রী কামরুন নাহারের নামেও সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদের তথ্য উঠে এসেছে দুদকের অনুসন্ধানে।
অনুসন্ধানে দুদক প্রমাণ পেয়েছে– কামরুন নাহার ৯৪ লাখ ২৩ হাজার ৮২২ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ আছে ৬ কোটি ৯ লাখ ২৮ হাজার ২৭৫ টাকার।
কামরুন নাহারের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (১৪ মে) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা করেছেন সংস্থাটির উপপরিচালক জেসমিন আক্তার। তার বিরুদ্ধে দুদক আইন-২০০৪-এর ২৬(২) এবং ২৭(১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, কামরুন নাহার দুদকে যে আয়কর বিবরণী দিয়েছেন, তাতে তিনি ৫ কোটি ৫৬ লাখ ২৮ হাজার ২৬ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। আয়কর বিবরণী, দাখিলকৃত লিখিত রেকর্ডপত্র এবং বক্তব্য অনুযায়ী– ২০০১-০২ করবর্ষ থেকে ২০২০-২১ করবর্ষে ৬ কোটি ৭৪ লাখ ৮ হাজার ৮১৪ টাকা আয় করেছেন তিনি। পারিবারিক ব্যয় হয়েছে ৩৪ লাখ ৬৭ হাজার ৯৭৩ টাকা। সব দায় ছাড়া কামরুন নাহারের নিট সম্পদ ৬ কোটি ৫০ লাখ ৫১ হাজার ৮৪৮ টাকা। তার ৬ কোটি ৭৪ লাখ ৮ হাজার ৮১৪ টাকার আয়ের উৎস পর্যালোচনায় দেখা যায়– এর মধ্যে মাছচাষ করে ৩ কোটি ৮২ লাখ ২৯ হাজার ৩২৩ টাকা আয় করেছেন তিনি।
দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে– অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত টাকা জ্ঞাত আয় হিসেবে দেখানোর জন্য মাছচাষের জাল নথি তৈরি করেছেন কামরুন নাহার। এ ছাড়া তিনি ২০০১-০২ করবর্ষে আয়কর পত্তনপূর্বক অতীতে সঞ্চিত ৪ লাখ ৯৮ হাজার টাকা ব্যবসার পুঁজি হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। তিন ২০০১-০২ করবর্ষ থেকে ২০২০-২১ করবর্ষ পর্যন্ত ৫৪ লাখ ৬৪ হাজার টাকা ব্যবসা থেকে আয় দেখিয়েছেন। তবে দুদকের অনুসন্ধানে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান কোথায়, ট্রেড লাইসেন্স, ব্যবসার ধরন, মালামাল ক্রয়বিক্রয়-সংক্রান্ত রসিদ বহি, নিকাশ বহি এবং ব্যাংক হিসাবসংক্রান্ত দলিলপত্র দেখাতে পারেননি কামরুন নাহার।
এর আগে ১৫ মে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার স্বামী মজিবুর রহমান সিকদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদক। মজিবুর রহমান বর্তমানে অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএলে) আছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ– অবৈধ সম্পদের তথ্য ধামাচাপা দিতে মজিবুর রহমান নিজেকে মাছচাষি পরিচয় দিয়েছেন। ১ কোটি ২৪ লাখ ৪ হাজার টাকার সম্পদ গোপন করেছেন তিনি। পাশাপাশি ৪ কোটি ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৫২৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন মজিবুর রহমান; যা দুদক আইন-২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং ২৬(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়
ইত্তেহাদ নিউজ, এয়ার পোর্ট রোড, আবুধাবী ,সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইমেইল: [email protected], web:www.etihad.news
এম এম রহমান, প্রধান সম্পাদক, ইত্তেহাদ নিউজ, এয়ার পোর্ট রোড, আবুধাবী, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে প্রকাশিত ও প্রচারিত