বরিশালের সাব রেজিস্ট্রি অফিসের পিয়ন জাহাঙ্গীরও কোটিপতি


বরিশাল অফিস : বরিশাল জেলা সাব রেজিস্ট্রারের পর এবার একই অফিসের পিয়নের অঢেল সম্পত্তির সন্ধান মিলেছে। বরিশালসহ বিভিন্ন স্থানে স্ত্রী, ছেলে ও নিজের নামে রয়েছে বিপুল জমি,একাধিক বাড়ি, স্টল ও প্লট। আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ এই পিয়নের নাম জাহাঙ্গীর হোসেন। তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসী ইতিমধ্যে দুদকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। অনুসন্ধান ও এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে সদর উপজেলার চরবদনা মৌজায় তার স্ত্রী নাছিমা বেগমের নামে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা মূল্যের ৪২ শতাংশ জমি, ছেলেদের নামে কর্নকাঠি (বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাশে) ১ কোটি টাকা মূল্যের ১৯ শতক জমি এবং মেয়েদের নামে শায়েস্তাবাদ সুরভী কোম্পানির মাছের ঘেরের পাশে ৪০ লাখ টাকার মূল্যের ৭০ শতক জমি। এছাড়া পশুরাকাঠী ও চরহোগলা মৌজায় একাধিক জমি ক্রয় করেছেন। তার বিরুদ্ধে সোমবার দুনীতি দমন কমিশন (দুদক) বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন এক ব্যবসায়ী। জাহাঙ্গীর হোসেনের বাড়ি সদর উপজেলার পশুরাকাঠি এলাকায়। তিনি ওই এলাকার মৃত আলতাফ উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: বরিশালের সাব-রেজিস্ট্রার অসীম কল্লোলের শত কোটির সম্পদের পাহাড়
জানা গেছে,প্রায় ২৯ বছর আগে বরিশাল সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে অফিস সহায়ক পদে চাকরি পান তিনি । এরপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। যখন যে সব রেজিস্ট্রার এসেছেন তাদের কে ম্যানেজ করে ঘুষ বাণিজ্য চালিয়ে গেছেন তিনি। বর্তমানে তার নিজ এলাকায় গড়ে তুলেছেন ক্যাডার বাহিনী। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। সম্প্রতি চরমোনাই ফেরিঘাটের কাছে ২১ শতাংশ জমিতে পাঁচতলা মার্কেট ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন তিনি। তার জমির সাথে সড়ক বিভাগের জমিতে কিছু স্টল রয়েছে। সেগুলো উচ্ছেদ করে সেই জমিও নিজের দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। আর এসব কাজে তাকে টাকার বিনিময়ে সহযোগিতা করছে স্থানীয় কিছু ক্যাডার বাহিনী। ফেরিঘাট এলাকার মুদী ব্যবসায়ী খবির খান,রাসেল মোল্লা, মোখলেছুর রহমান, শাহ আলম খান,ফারুক হোসেন খান,রাজ্জাক সিকদার বলেন,আমরা ১৩ বছর ধরে সড়ক ও জনপথের জমিতে দোকান চালিয়ে এসেছি। কিছুদিন আগে জাহাঙ্গীর সড়ক ও জনপথের জমির পাশে ২১ শতাংশ জমি ক্রয় করে সেখানে স্টল করা শুরু করেছে। আমাদের দোকান সরকারি জমিতে। সরকারের যখন জমির প্রয়োজন হবে তখন আমরা জমি ছেড়ে দেব। কিন্তু জাহাঙ্গীর সরকারি জমি থেকে আমাদের দোকান উচ্ছেদ করে নিজের দখলে নেওয়ার জন্য আমাদের হুমকি দিয়ে আসছেন। এছাড়া আমাদের দোকানের চারপাশ আটকিয়ে রাখছে। এত টাকার উৎস কোথায় জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর হোসেন ব্যস্ত আছি বলে এড়িয়ে যান। পরে তিনি ফোন বন্ধ করে রাখেন। জেলা রেজিস্ট্রার মোঃ মোহছেন মিয়া জানান,জাহাঙ্গীর হোসেনের সম্পদের বিষয় আমার জানা নেই। দুনীতি দমন কমিশনে অভিযোগ হলে তারা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।
সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়