বিবিসিকে জয় : হাসিনা রাজনীতিতে ফিরবেন না


ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক : শেখ হাসিনা রাজনীতিতে ফিরবেন না বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি আরও বলেছেন, এত কঠোর পরিশ্রমের পরও তার বিরুদ্ধে একটি গোষ্ঠী বিরোধিতা করেছে। এ জন্য তিনি খুব হতাশাগ্রস্ত। বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের নিউজআওয়ারে সজীব ওয়াজেদ জয় এ কথা বলেন। তিনি সোমবার পর্যন্ত শেখ হাসিনার অফিসিয়াল উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি আরও জানিয়েছেন তার মা শেখ হাসিনা রোববার থেকেই পদত্যাগের কথা বিবেচনা করছিলেন। অবশেষে তিনি নিজের নিরাপত্তার জন্য দেশ ছেড়েছেন। ক্ষমতায় তার মাকে সমর্থন করে জয় বলেন, তিনি বাংলাদেশকে ঘুরিয়ে দিয়েছেন। তিনি যখন ক্ষমতা নিয়েছেন তখন বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে মনে করা হতো। এটি ছিল একটি দরিদ্র দেশ।
কিন্তু সোমবার পর্যন্ত এ দেশটিকে এশিয়ার উদীয়মান অন্যতম এক টাইগার হিসেবে মনে করা হচ্ছিল। এ জন্য তিনি খুব হতাশ। বিক্ষোভকারীদের কঠোর হস্তে দমনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন জয়। তিনি বলেছেন, রোববারও পিটিয়ে ১৩ জন পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ফলে যখন লোকজন মানুষকে পিটিয়ে মেরে ফেলছে তখন পুলিশ কি করবে বলে আপনি মনে করেন?
ঢাকায় কারফিউ থাকলেও হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে এসেছে আন্দোলনকারীদের সাথে বিক্ষোভে যোগ দিতে বিবিসির এমন প্রশ্নে মি. জয় বলেন, “বাংলাদেশ আঠার কোটি মানুষের দেশ। রাস্তায় নামা মানুষের সংখ্যা প্রকৃতপক্ষে বড় কোনো সংখ্যা নয়।”
“এটা ছোট্ট একটা গ্রুপের কণ্ঠ। পরবর্তী কয়েক দিন, কয়েক বছরে আপনি এর ফলাফল দেখবেন। সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড থমকে গেছে। বাংলাদেশ আরেকটা পাকিস্তান হিসেবে গড়ে উঠবে।”
রাজনৈতিক কোনো উচ্চাকাঙ্ক্ষা কখনো ছিল না জানিয়ে মি. ওয়াজেদ বলেন, “আমাদের কখনো রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল না, আমাদের কখনো ক্ষমতার লোভ ছিল না। আমরা দেশের জন্য কাজ করেছি। তাই দেশের জনগণ যদি মনে করে তারা ভালো করতে পারবে তাহলে ‘গুডলাক’।”
আশির দশকে গণতন্ত্রের জন্য শেখ হাসিনা রাস্তায় ছিলেন অথচ এখন তার বিরুদ্ধে গণতন্ত্র হরণের অভিযোগ উঠেছে গত কয়েক বছরে। কেন তিনি এতো অজনপ্রিয় হলেন? এমন প্রশ্ন করা হয় সজীব ওয়াজেদ জয়কে।
তিনি বলেন, “পশ্চিমে এটা নিয়ে ভুল ধারণা রয়েছে। বাংলাদেশের গত নির্বাচন খুব শান্তিপূর্ণ ছিল। অথচ এর আগের নির্বাচনগুলোতে বিরোধীদল ও জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছিল।”
“গণপরিবহনে আগুন দিয়েছিল, শত শত মানুষ নিহত হয়েছিল। নির্বাচনের সময় আবারো সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল যাতে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠান করা যায়। কিন্তু নির্বাচনে জয়ী হতে না পারা একটা ছোট্ট গ্রুপ রাস্তায় নেমেছে।”
সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতা দখল করা নিষিদ্ধ জানিয়ে মি. ওয়াজেদ বলেন, “ক্ষমতা দখল করা এখন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় সংসদকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নিতে হবে। যদিও আন্দোলনকারীরা এটা মানবে কি না কে জানে? পরে কি হবে এটা এখনো কেউ জানে না।”
সর্বশেষ নির্বাচন স্বচ্ছ হয়নি এ অভিযোগ নাকচ করে দেন মি. ওয়াজেদ।
সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়