চট্টগ্রামে আইনজীবীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে চিন্ময় সমর্থকরা


ঢাকা অফিস ও ইত্তেহাদ নিউজ ,চট্টগ্রাম : সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় সাইফুল ইসলাম নামে এক আইনজীবীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে চিন্ময় সমর্থকরা। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে আদালত ভবনের প্রবেশমুখে রঙ্গম কনভেনশন হলের সামনে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিবেদিতা ঘোষ সাইফুল ইসলামের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত সাইফুল সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর ছিলেন। তার বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৬ জন। তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা সাইফুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভরত সনাতন ধর্মাবলম্বীরা আদালত চত্বরে প্রায় তিন ঘণ্টা পুলিশের প্রিজনভ্যান আটকে রাখেন। একপর্যায়ে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে এবং লাঠিচার্জ করে। এরপর তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে রঙ্গম কনভেনশন হলের সামনে অবস্থান নেন। এর মধ্যে আদালত প্রাঙ্গণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুপস্থিতিতে দুপক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে অনেকে গুরুতর আহত হন।
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নগরের নিউমার্কেট মোড়ে অবস্থান করছেন। অপরদিকে, স্থানীয় তরুণ-যুবকদের একটি দল মিছিল নিয়ে নিউ মার্কেট এলাকায় অবস্থান করছেন। ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও তারা পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। পুলিশের সঙ্গে বিজিবি সদস্যরাও ঘটনাস্থলে রয়েছেন।
আইনজীবী হত্যার তদন্তের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার:
চট্টগ্রাম নগরে আদালতের অদূরে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ (৩৫) নামে এক আইনজীবীকে হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পাশাপাশি এ ঘটনার তদন্ত করে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।একইসঙ্গে দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) এক বার্তায় তিনি এ আহ্বান জানান। বার্তাটি প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়েছে।এতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ বন্দর নগরী চট্টগ্রামে এক আইনজীবীকে হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি এ হত্যাকাণ্ডের তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা কোনো ধরনের অযাচিত কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকতেও বলেন। পাশাপাশি ড. ইউনূস বন্দর নগরসহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তা জোরদারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টার বার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেকোনো মূল্যে বজায় রাখতে অন্তর্বর্তী সরকার বদ্ধপরিকর।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের কোতয়ালী থানা এলাকায় আদালতের অদূরে রঙ্গম কমিউনিটি সেন্টারের সামনে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ (৩৫) খুন হন। সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে আদালত থেকে কারাগারে পাঠানোর সময় তার অনুসারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ঘটে। তখনই সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চট্টগ্রাম নগরের নিউমার্কেট মোড়ের জিরো পয়েন্টে স্তম্ভের ওপর একটি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে ছাত্র-জনতা। এর মধ্যে ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের উদ্যোগে লালদীঘির মাঠে একটি মহাসমাবেশ হয়। সেদিন জাতীয় পতাকার ওপর ধর্মীয় গোষ্ঠী ইসকনের গেরুয়া রঙের ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করে সমাবেশে অংশ নেওয়া লোকজন। এ নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনা তৈরি হয়। পরে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ এনে চট্টগ্রামের কোতয়ালী থানায় একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান (পরে বহিষ্কৃত)। সেই মামলায় গতকাল সোমবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় চিন্ময় দাসকে। পরে তাকে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়।
চিন্ময়ের গ্রেপ্তারের পর বিশৃঙ্খলায় ইন্ধন থাকতে পারে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা:
ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের পর বিশৃঙ্খলায় দেশে ও বাইরের ইন্ধন থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সিলেট সার্কিট হাউসে বিভাগের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এগুলো পরিকল্পিত, এর পেছনে কোনো ইন্ধন আছে কি না? এমন প্রশ্নে জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমি এসব কিছুর পেছনে কোনো ইন্ধন আছে কি না, এ বিষয়ে কিছু বলছি না? আপনারা সাংবাদিকরা অনুসন্ধান করে যদি কোনো ইন্ধন বের করতে পারেন তাহলে আমরা এটা নিয়ে ব্যবস্থা নেবো। আপাতত আমি কোনো ইন্ধন দেখছি না। আমার মনে হয়, এ ক্ষেত্রে বাইরেরও কোনো ইন্ধন আছে। দেশেও দু’একটা পার্টি আছে, তাদেরও হয়তো কোনো ইন্ধন আছে। তবে আমরা সবকিছুরই দিকে নজর দিচ্ছি। কিন্তু আমার মন্ত্রণালয়ে আমি এই দুইটার বিষয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। আর যার যার মন্ত্রণালয়ের ভেতরে তারা নজর দিচ্ছেন।
ঢাকায় কলেজে সংঘর্ষের প্রশ্নে তিনি বলেন, ছাত্র প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং আলোচনার পর একটি ফলপ্রসূ হয়েছে এবং এই সমস্যাটি সমাধান হয়ে যাবে। যেহেতু ছাত্র-জনতা আমাদেরই ছেলে, আমাদেরই মেয়ে, এ অবস্থায় তেমন একটা কঠোর হওয়া সম্ভব না। তাদের বুঝাতে হবে, তারা বুদ্ধিমান আমরা বুঝতে পেরেছি। তারা নিজে নিজেদের মধ্যে সমস্যাটি সমাধান করবেন।
তিনি বলেন, ৬, ৭ এবং ৮ আগস্টের পর থেকে কোনো উন্নতি হয়নি। আমার হাতে এরকম কিছু নেই যে, বলবো আর হয়ে যাবে। তবে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আমি বলবো আরও উন্নতি হওয়ার অবকাশ আছে। এজন্য আপনাদের সাহায্য ও সহযোগিতা চাই।থানায় হামলা হয়েছিল এবং অস্ত্র লুট হয়েছিল, সেই অস্ত্র উদ্ধার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের সম্পূর্ণ অস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি। এজন্য আমাদের অস্ত্র অভিযান কিন্তু বন্ধ করিনি।
৫ আগস্টের পর প্রতিহিংসামূলক বেশ কিছু মামলা হয়েছিল, সিলেটের প্রবাসীদেরও মামলায় জড়িত করা হয়েছিল, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনেক ভুয়া মামলা হয়েছে। এই ভুয়া মামলায় নিরপরাধ কোনো ব্যক্তি যদি হয়রানির স্বীকার না হয় এই ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি। এজন্য আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একটি আলোচনা হয়েছে আমাদের ডিসি সাহেব, এসপি সাহেব এবং একজন কর্মকর্তা নিয়ে আমরা একটি কমিটি করে দেবো। তারা এটা দেখবেন কোনো মামলাটি তাদের জন্য গ্রহণযোগ্য এবং কোনো মামলাটি তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য না। যারা এই ভুয়া মামলা দিচ্ছেন তাদের ধরিয়ে দিতে গণমাধ্যমের কাছেও সহযোগিতা চেয়েছেন। যারা ভুয়া মামলা করেছেন এবং ভুয়া মামলা দিয়ে টাকা রোজগার করছেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।যারা এই ভুয়া মামলা দিচ্ছেন তাদের ধরিয়ে দিতে গণমাধ্যমের কাছেও সহযোগিতা চেয়েছেন উপদেষ্টা।যারা ভুয়া মামলা করেছেন এবং ভুয়া মামলা দিয়ে টাকা রোজগার করছেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।সার্কিট হাউসে কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অনেক সমস্যা-সমালোচনা মোকাবিলা করতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় যে যা বলুক, কাজ করে যেতে হবে। কি পরিস্থিতির মধ্যে আপনারা কাজ শুরু করেছেন, তা সবাইকে বিবেচনা করতে হবে। কেউ প্রশংসা করুক, না করুক কাজ করে যেতে হবে।এ সময় সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, মহানগর পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, জেলার পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আইনজীবী সাইফুল হত্যায় জড়িত সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীদের কঠোর শাস্তি হবে:নাহিদ ইসলাম
চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে যেসব সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে তাদের অবশ্যই কঠোর শাস্তি হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।মঙ্গলবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক ওয়ালে তিনি এ কথা জানান।
নাহিদ বলেন, অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে যেসব সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে তাদের অবশ্যই কঠোর শাস্তি হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শুরু থেকেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দাবি-দাওয়া আন্তরিকভাবে বিবেচনা করেছে। কিন্তু চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বিভিন্ন সভা সমাবেশে মিথ্যা ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি করার চেষ্টা করে যাচ্ছিল।
‘রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হওয়া সত্ত্বেও কোনো আইনগত পদক্ষেপ না নিয়ে বিভিন্ন সভা করে বেড়াচ্ছিলেন চিন্ময় কৃষ্ণ। মূলত এ ধরনের তৎপরতার মূল উদ্দেশ্য ছিল বিশ্ব মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করা এবং বাংলাদেশ ও জুলাই অভ্যুত্থানকে নেতিবাচক হিসেবে উপস্থাপন করা। ভারতীয় মিডিয়া এ রকম মিথ্যা প্রচারণা বরাবরই করে আসছে’।তথ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, আজকে চট্টগ্রাম আদালতে যেভাবে একজন আইনজীবীকে চিন্ময় কৃষ্ণের সমর্থকরা কুপিয়ে হত্যা করল তা নজিরবিহীন। দেশে সম্প্রীতি বিনষ্ট করার পরিকল্পনা নিয়েই চিন্ময় কৃষ্ণ কাজ করছিল এবং সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্যে এ ধরনের সন্ত্রাসী সমর্থকগোষ্ঠী তৈরি করেছে।ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ বরাবরই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ব্যবহার করে একটা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করতে চেয়েছে উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, এখন ভারতীয় মিডিয়াও মিথ্যা প্রোপাগান্ডা করে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি করতে চাচ্ছে। সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায় বাংলাদেশের নাগরিক। তাদের নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করবো। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার নাশকতাকারী হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীদের আইনি প্রক্রিয়ায় সর্বোচ্চ বিচার নিশ্চিত করবে।সবাইকে ধৈর্য ধারণ ও শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দ্রুতই সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা হবে।
চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার বিচার চায় জামায়াতের আমীর
চট্টগ্রাম মহানগরীতে জজ আদালতের এপিপি তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। এ সময় তিনি হতাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন জামায়াতের আমীর শফিকুর রহমান।
বিবৃতিতে জামায়াতের আমীর বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীতে নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে তা অত্যন্ত জঘন্য এবং নিন্দনীয় অপরাধ। একটি গোষ্ঠী পতিত স্বৈরাচারের পক্ষ নিয়ে বাংলাদেশকে অস্থির করার জন্য ক্রমাগতভাবে দুরভিসন্ধি ও অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অস্থির করে তুলতে চায়। দেশপ্রেমিক জনগণ তাদের দুরভিসন্ধির ব্যাপারে পরিপূর্ণ সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ।
বিবৃতিতে জামায়াতের আরও বলেন, ‘আমার প্রিয় দলীয় সহকর্মী চট্টগ্রাম জজ আদালতের এপিপি (সহকারী সরকারি কৌঁসুলি) তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ খুনের ঘটনায় আমি গভীরভাবে মর্মাহত। মহান রবের দরবারে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। আল্লাহপাক তাকে জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করুন এবং শাহাদাতের সুউচ্চ মর্যাদা দান করুন। আমি তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার, আপনজন, প্রিয়জন ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি।’
এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের আমীর বলেন, দেশের জন্য তার (সাইফুল ইসলাম) আত্মত্যাগ স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি দলীয় সহকর্মী, ছাত্র-জনতা ও দেশপ্রেমিক জনগণের প্রতি যেকোনো উসকানিতে সর্বোচ্চ ধৈর্য ধরা এবং কোনো অবস্থাতেই আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার আহ্বান জানান।
সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায় ।