মাজারে হামলা,তৌহিদী জনতার ব্যানারে ওরা কারা


ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক : মাজারে হামলা। পত্রিকা অফিসের সামনে গরু জবাই করে জিয়াফত। বইমেলায় স্টল বন্ধের দাবিতে হানা। মামলার আসামিকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় মব। অতি সম্প্রতি এমন নানা ঘটনা ঘটছে ‘তৌহিদী জনতার’ ব্যানারে। কারা তারা? তাদের আড়ালে বা নেপথ্যে রয়েছেন কারা? এ নিয়ে নানা আলোচনা।
ধর্মীয় ব্যক্তিত্বরা বলছেন, প্রতিটি মুসলমানই তৌহিদী জনতা। কিন্তু কোনো পক্ষ যদি এই তৌহিদী জনতার নামে কোনো অনৈতিক কাজ করে তা অপরাধ হিসেবেই গণ্য হবে। তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া উচিত। রাজনৈতিক দলের নেতারাও মনে করেন, তৌহিদী জনতার নামে যেখানে সেখানে অভিযান গ্রহণযোগ্য নয়। প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তথ্য দেয়া যেতে পারে।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, সব মুসলমানই তৌহিদী জনতা। সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া মবের বিষয়ে তিনি বলেন, তারা কে বা কারা এবং তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে আমার কোনো ধারণা নেই। এটা গণতান্ত্রিক দেশ, এদেশের যেকোনো নাগরিক যেকোনো বিষয়ে তার মতের প্রতিফলন ঘটাতে পারে, কথা বলতে পারে, প্রতিবাদ করতে পারে। এটা সাংবিধানিক অধিকার। সুতরাং এই সাংবিধানিক অধিকার নিয়ে যদি কেউ কথা বলে সেখানে তো আমাদের কিছু করার নেই। রাষ্ট্র সেটি দেখবে তারা কে বা কি করছে না করছে।
বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব ইমরান সালেহ প্রিন্স এ বিষয়ে বলেন, তৌহিদী জনতা নামে কারা ঝামেলা করার চেষ্টা করছে এ বিষয় নিয়ে আসলে কিছু বলা যাচ্ছে না। আমরাও চাই সরকার এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। এদের নাম ব্যবহার করে অন্য কেউ কাজগুলো করছে কিনা সেটা দেখা প্রয়োজন। তারা আসলে কারা। শুক্রবারও একটা নিষিদ্ধ সংগঠন দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই এসে দেশকে অস্থিতিশীল করার যে চেষ্টা করেছে এটা আসলে ভাবনার বিষয়। আমরা কয়দিন আগেও দেশের নানা ধরনের অস্থিতিশীলতার কথা শুনেছি, সেসব ঘটনার সঙ্গে এদের কোনো সম্পৃক্ততা আছে কিনা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, আমরা গত ৫ই আগস্টের পর থেকে মব কালচারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। এটা যেটা হচ্ছে খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত এবং খুবই নিন্দনীয়। আমরা আহ্বান জানাচ্ছি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবশ্যই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, তৌহিদী জনতা বাংলাদেশের মতো মুসলিম দেশের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটা মুসলিমদের জাতিসত্তার সঙ্গে মিশে আছে। বিশেষ কোনো গোষ্ঠী বা গোত্র এই বিষয়টিকে ব্যবহার করে অসম্মান করছে কিনা তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। আর এটা দেখার দায়িত্ব মূলত রাষ্ট্রের। আমাদের আহ্বান থাকবে এই বিষয়টিকে কারা যত্রতত্র ব্যবহার করছে, এবং কি উদ্দেশ্যে করছে, তাদের সঙ্গে সংযোগ কি ইত্যাদির জন্য প্রচলিত যে আইন রয়েছে যা রয়েছে সে অনুযায়ী প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে। আমরা মব বা তৌহিদী জনতার টার্মকে ব্যবহার করে মব সৃষ্টি করার পক্ষে না। এসবের সঙ্গে ছাত্রশিবিরের সম্পৃক্ততার কোনো সুযোগই নেই। সব বড় ধরনের বিপ্লবের পর সেখানে অনেক ধরনের ঘটনা ঘটে। এসব স্পর্শকাতর সময়গুলোতে একটু বেশি সতর্ক থাকা দরকার সরকারকে। তা না হয়ে যদি কিছু গোষ্ঠী বা ব্যক্তি যদি মবের সংস্কৃতিকে আরও উস্কে দেয় এটা রাষ্ট্রের শৃঙ্খলার জন্য হুমকির কারণ। সেজন্য আমরা নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানাবো সবাই যেন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়। কারও যদি কোনো দাবিও থাকে তা যেন নিয়ম তান্ত্রিকভাবে উত্থাপন করে। কিন্তু মব তৈরি করে কোনো কিছুকে অতিমাত্রায় নিয়ে যাওয়ার পক্ষে না আমরা।
বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের সেক্রেটারি জেনারেল ড. মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী বলেন, দেশে মাঝে মাঝেই বিভিন্ন সংগঠন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নাম দিয়ে আবির্ভাব হয়। মেইনস্ট্রিমে তারা থাকে না। তৌহিদী জনতা এমনই কোনো গোষ্ঠী। আসলে তারা হঠাৎ করে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কাদের ইশারায়, কাদের ইন্ধনে নামে, কিছুদিনের জন্য দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলে বলা যায় না। ইসলামকে বিভিন্ন সময় বিপদে ফেলে দিবে তারাই। দেখা গেল, একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটালো তারা। কিন্তু দোষ দিয়ে দিলো আলেম-ওলামাদের উপরে। হঠাৎ করে আবির্ভাব হয়ে যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে সরকার ও সকলকে সচেতন হতে হবে।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, আমরা দেখেছি যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের যারা তারা একটি ঘোষণা দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে। তখন কেউ তৌহিদী জনতা দাবি করেছে, কেউ বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আবার কেউ সাধারণ জনগণ দাবি করেছে। এই মুহূর্তে আসলে এককভাবে কারা তৌহিদী জনতা সেটি নির্ণয় করা কঠিন। সে সময় থেকেই কিন্তু দেশে এ ধরনের অরাজকতা শুরু হয়েছে। তখন উপদেষ্টাদের কেউ কেউ কিন্তু এ বিষয়ে উস্কে দিয়েছে, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দরা তারা ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছে, ভাঙার জন্য তারা নির্দেশ দিয়েছে। সরকার সে সময় কিন্তু কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীর পরিচয়ে যদি কেউ কিছু করছে, উপদেষ্টারা যখন উস্কে দিচ্ছে তখন কিন্তু কাউকে গ্রেপ্তার করছে না। তার মানে সরকার একদিকে এটাকে উস্কে দিচ্ছে নিজের লোক দিয়ে করাচ্ছে আবার এগুলো যখন মানুষ করছে তখন গ্রেপ্তার করছে আবার কাউকে ছেড়ে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, কেউ অপরাধ করার পরে ধর্মীয় গ্রন্থকে আঁকড়ে ধরা, ধর্মকে আঁকড়ে ধরা এটা এক ধরনের ভণ্ডামি। সে সময় তার আশপাশে তৌহিদী জনতার পরিচয়ে যারা ছিল আমার মনে হয় তারাই এখানে মূল দোষী। ওই ব্যক্তি দোষী নাকি নির্দোষ সেটি আদালত প্রমাণ করবে কিন্তু তাকে সেভ করার জন্য থানা ঘেরাও করা, মব সৃষ্টি করা এটি আসলে কোনো ভাবেই কাম্য না। এগুলো যথাযথ তদন্ত করা দরকার। এই ঘটনায় কিন্তু কোনো ভাবেই মুসলিম বা ইসলামিক গোষ্ঠীকে অপবাদ দেয়া যাবে না। এই ঘটনা দেশের সামগ্রীক চিত্রের সঙ্গে কোনো মিল নেই। দেশের মানুষ অত্যন্ত ধর্মপরায়ণ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় গোড়ামি বা ধর্মকে দোষ দেয়া ঠিক না।
ওদিকে রাজধানীতে তৌহিদী জনতার নামে হওয়া কিছু মবের ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে কিছু ঘটনায় একই ব্যক্তিদের দেখা গেছে। কেন, কি উদ্দেশ্যে তারা এসব করেছেন তা কিন্তু স্পষ্ট নয়। অনুসন্ধানী সাংবাদিক কদরুদ্দিন শিশির এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ তথ্য প্রকাশ করে বলেছেন, আমি সম্প্রতি ৩টি ঘটনার কিছু ছবি-ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখেছি গত নভেম্বর মাসে প্রথম আলো ও ডেউলি স্টার পত্রিকার সামনে গরু জবাই করে জিয়াফত কর্মসূচি পালন এবং নারী হেনস্তাকারী অর্ণবকে ছাড়িয়ে নিতে শাহবাগ থানায় হট্টগোলকারীদের মধ্যে ৩ জন লোক সবসময় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এদের মধ্যে ৩ জনের নাম ও পরিচয় পাওয়া গেছে।
এসব বিষয়ে মানবাধিকার কর্মী নূর খান বলেছেন, আসলে এখন তৌহিদী জনতা বা অন্য যে নামেই হোক না কেন তা মূলত বাংলাদেশের সংস্কৃতির ওপর পরিকল্পিতভাবে আঘাত করা হচ্ছে।
একের পর এক ঘটনা: গত ৫ই মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে জাতীয় জাদুঘরের সামনে হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থী হেঁটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যাচ্ছিলেন। পথে রাজু ভাস্কর্যের সামনে পৌঁছালে হঠাৎ মোস্তফা আসিফ অর্ণব নামের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সহকারী বাইন্ডার এসে ওই নারী শিক্ষার্থী কেন পর্দা করেনি বলে তাকে প্রশ্ন করেন। তার ওড়না ঠিক নেই কেন বলাসহ আরও কুরুচিপূর্ণ কথা বলে তাকে হেনস্থা করেন। ওই ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রক্টর অফিসে ডেকে নেয়া হয় অভিযুক্তকে। প্রক্টরিয়াল বডির মাধ্যমে এ বিষয়ে ওই শিক্ষার্থীর করা মামলায় অর্ণবকে ওই দিনই শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়। এরপরই তৌহিদী জনতার নামে একদল লোক গিয়ে শাহবাগ থানায় মব করেন। তারা দাবি করেন, এখনই অর্ণবকে ছেড়ে দিতে হবে। তারা সকাল পর্যন্ত এ দাবিতে থানায় অবস্থান করেন। পরে অভিযুক্ত ব্যক্তি আদালত থেকে জামিন পান। জামিন পাওয়ার পর তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন মবকারীরা।
এর আগে গত ১০ই ফেব্রুয়ারি তৌহিদী জনতার ব্যানারে বইমেলার একটি স্টলে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। তসলিমা নাসরিনের বই রাখায় বাংলা একাডেমির অমর একুশে বইমেলায় ‘সব্যসাচী প্রকাশনা’র স্টলে এই হামলার ঘটনা ঘটে। সেদিন সন্ধ্যায় তৌহিদী জনতা’র নামে একদল লোক স্টলটিতে গিয়ে প্রকাশককে ঘিরে ধরে স্লোগান দিতে থাকলে পিরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ সব্যসাচীর প্রকাশক শতাব্দী ভবকে বইমেলায় তাদের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে নিয়ে যায়। পরে পুলিশের নিয়ন্ত্রণকক্ষও ঘিরে রাখে ওই উত্তেজিত জনতা। ওই ঘটনার পর থেকে বন্ধ করে দেয়া হয় সব্যসাচীর ১২৮ নম্বর স্টলটি।
তৌহিদী জনতার ব্যানারে ১৪ই ফেব্রুয়ারি ঢাকার উত্তরায় বসন্ত উৎসবও বন্ধ করে দেয়া হয় বলে অভিযোগ আসে। ঢাকার বসন্ত উৎসব উদ্যাপন পরিষদ চারুকলার বকুল তলা, পুরনো ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক এবং উত্তরায় উন্মুক্ত মঞ্চে বসন্তবরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। এরমধ্যে উত্তরার উন্মুক্ত মঞ্চে বসন্তবরণের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। একইদিনে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসে ফুল বিক্রি করায় ফুলের দোকানে তৌহিদী জনতার ব্যানারে হামলা হয়। আর ওই ঘটনার পরে লিফলেট বিতরণ করে ১৫ই ফেব্রুয়ারি সেখানে পূর্ব নির্ধারিত ঘুড়ি উৎসবও বাতিল করা হয়।
গত ২৮শে জানুয়ারি দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার আলীহাট ইউনিয়নের বাওনা গ্রামে তৌহিদী জনতার তোপের মুখে নারী ফুটবল টুর্নামেন্ট বাতিল করা হয়। সেদিন বিকালে নারী ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজক কমিটির সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে তৌহিদী জনতার। সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।
গত ১৮ই জানুয়ারি পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৪ঠা আগস্টের পর থেকে ৪০টি মাজারের ৪৪ বার হামলা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিভাগে ১৭টি মাজারে ভাঙচুর, লুটপাট হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ১০টি ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৭টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলা ভাঙচুর তৌহিদী জনতার ব্যানারে করা হয়।
এদিকে গরু জবাই করে কাওরান বাজারে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার ভবনের সামনে জিয়াফত এবং ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, তৌহিদী জনতা হোক আর যেই ব্যানারেই হোক, যে বা যারা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা চালাবে তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিবে পুলিশ। বিভিন্ন সময়ে এই তৌহিদী জনতার নাম ব্যবহারকারীরা অনেকেই উগ্রপন্থি কর্যক্রমের সঙ্গে জড়িত থাকায় গ্রেপ্তার হয়েছেন-তাদের বিষয়ে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি। পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা মাঠে কাজ করছেন। একইসঙ্গে এই বিষয়ে নগরবাসীকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করার অনুরোধ জানান তিনি।
সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায় ।