অনুসন্ধানী সংবাদ

ধরাছোঁয়ার বাইরে ২৬ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সাব-রেজিস্ট্রার

মুক্তিযোদ্ধা সাব রেজিস্ট্রার
print news

অনলাইন ডেস্ক : পটুয়াখালী সদরের সাব-রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ফারুকের জন্ম ১৯৬৮ সালের ২৫ মে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর সময় তার বয়স ছিল মাত্র ৩ বছর। আর নোয়াখালীর খেপুপাড়ার সাব-রেজিস্ট্রার কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম ১৯৬৭ সালের ২ এপ্রিল হওয়ায় মুক্তিযুদ্ধ শুরুর সময় মাত্র ৪ বছর বয়স ছিল তার। এ ছাড়া কিশোরগঞ্জ সদরের সাব-রেজিস্ট্রার মিনতি দাসের জন্ম ১৯৬৬ সালের ১৪ মার্চ। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বয়স ছিল ৫ বছর। মাত্র ৩ থেকে ৫ বছর বয়সেও তারা মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী হিসেবে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি নিয়ে কোনো পরীক্ষা ছাড়াই সরাসরি চাকরি পেয়েছেন সাব-রেজিস্ট্রারের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে। তাদের মতো ২৬ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সাব-রেজিস্ট্রার ও জেলা রেজিস্ট্রার এখনও দাপটের সঙ্গে বহাল থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আয় করছেন। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে বয়স নির্ধারণ করা সাড়ে ১২ বছরের কম বয়সি মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন তারা। এমনকি দুর্নীতির মাধ্যমে প্রচুর অর্থ সম্পদের মালিক প্রভাবশালী এই কর্মকর্তারা পদায়ন বাগিয়েছেন ঢাকাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ অফিসগুলোতে। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্যদের চেয়ে এক বছর বেশি চাকরি করার সুবিধাও ভোগ করছেন তারা।

মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী হিসেবে মধ্য বয়সে সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে চাকরি পাওয়ার পর বেশিরভাগ কর্মকর্তাই রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার লক্ষ্যে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন বলে নিবন্ধন অধিদফতরের কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন। তারা বলেন, অনেকের তেমন কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকার পরও ভুয়া শিক্ষাগত সনদ দেখিয়ে সাব-রেজিস্ট্রার হয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন এবং বেশি বয়সে যোগদান করায় তাদের চাকরি যেহেতু অল্প কয়েক বছরের জন্য তাই তারা এই অল্প সময়ের মধ্যেই প্রচুর অর্থ সম্পদ বানিয়ে নিয়েছেন। অনেকেই টাকার বিনিময়ে ব্যক্তি নামে খাস জমি নিবন্ধন, শ্রেণি পরিবর্তন করে ও ভুয়া খাজনা খারিজ নিয়ে জমি নিবন্ধন করে দিয়েছেন। মুজিবনগর সরকারের কর্মচারীর ভুয়া পরিচয়ে চাকরি নেওয়া এবং দুর্নীতি ও জালিয়াতির অভিযোগে ২০১২ সালে ৩৯ জনকে বরখাস্ত করেছিল মন্ত্রণালয়। তবে উচ্চ আদালতে গিয়ে তাদের অনেকেই আবার চাকরি ফিরে পান। দুর্নীতি ও জালিয়াতির দায়ে বরখাস্ত হলেও উচ্চ আদালতে গিয়ে চাকরি ফিরে পাওয়াদের মধ্যে একজন রংপুর সদরের সাব-রেজিস্ট্রার রামজীবন কুণ্ডু। তার জন্ম ১৯৬৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বয়স ছিল ৬ বছরেরও কম। এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও রয়েছে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রচুর সম্পদ অর্জনের অভিযোগ।

মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী হিসেবে চাকরি পাওয়া ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ঢাকার কালামপুরে সাব-রেজিস্ট্রার মো. মঞ্জুরুল ইসলামের জন্ম ১৯৬৬ সালের ১৬ জুন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বয়স ছিল ৫ বছরেরও কম। নীলফামারীর জলঢাকার সাব-রেজিস্ট্রার লুৎফর হোসেন মোল্লার জন্ম ১৯৬৬ সালের ১ জানুয়ারি। ধানমন্ডির সাব-রেজিস্ট্রার মো. আবুল হোসেনের জন্ম ১৯৬৬ সালের ১১ নভেম্বর। ৫ বছর বয়সি কথিত মুক্তিযোদ্ধা নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের সাব-রেজিস্ট্রার খোন্দকার গোলাম কবিরের জন্ম ১৯৬৬ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি। গাজীপুরের টঙ্গীর সাব-রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তফা কামালের জন্ম ১৯৬৫ সালের ১৭ জুলাই। তিনি ৬ বছর বয়সে মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন বলে দাবি করেছেন।

গাজীপুরের শ্রীপুরের সাব-রেজিস্ট্রার ওসমান গনি মণ্ডলের জন্ম ১৯৬৬ সালের ২৪ জুলাই। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর সময় তার বয়স ৫ বছরেরও কম ছিল। নরসিংদী সদরের সোহরাব হোসেন সরকারের জন্ম ১৯৬৫ সালের ২৫ অক্টোবর, চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের সাব-রেজিস্ট্রার ইউসুফ আলী মিয়ার জন্ম ১৯৬৫ সালের ২৮ জানুয়ারি, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের সাব-রেজিস্ট্রার মো. ওমর ফারুকের জন্ম ১৯৬৫ সালের ১৫ জুন, নোয়াখালীর চাটখিলের সাব-রেজিস্ট্রার মো. আবুল বাশারের জন্ম ১৯৬৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রংপুরের পীরগঞ্জের সাব-রেজিস্ট্রার আফছার আলীর জন্ম ১৯৬৬ সালের ১১ অক্টোবর, বাগেরহাটের মোংলার সাব-রেজিস্ট্রার স্বপন কুমার দের জন্ম ১৯৬৬ সালের ১৮ এপ্রিল, চট্টগ্রামের রাউজানের আবু তাহের মো. মোস্তফার জন্ম ১৯৬৫ সালের ১৯ আগস্ট, ফেনী সদরের সাব-রেজিস্ট্রার বোরহান উদ্দিনের জন্ম ১৯৬৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের সাব-রেজিস্ট্রার খোন্দকার গোলাম কবিরের জন্ম ১৯৬৬ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি, বরিশাল সদরে সাব রেজিস্ট্রার অসীম কল্লোলের জন্ম ১৯৬৫ সালের ১৩ আগস্ট, চট্টগ্রামের হাটহাজারীর মো. ওবায়েদ উল্লাহর জন্ম ১৯৬৬ সালের ১ জানুয়ারি এবং বগুড়ার শেরপুরের সাব-রেজিস্ট্রার মো. মিজানুর রহমানের জন্ম ১৯৬৫ সালের ২৫ নভেম্বর, ভোলার লালমোহনের সাব-রেজিস্ট্রার রফিকুল ইসলামের জন্ম ১৯৬৫ সালের ২ ডিসেম্বর ও নওগাঁর মহাদেবপুরের সাব-রেজিস্ট্রার রফিক উদ্দিনের জন্ম ১৯৬৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি।

এ ছাড়া মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী হিসেবে সাব-রেজিস্ট্রার নিয়োগ পাওয়ার পর পদোন্নতি পেয়ে বর্তমানে মেহেরপুরের জেলা রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত মো. আকবর আলীর জন্ম ১৯৬৫ সালের ২ জানুয়ারি এবং কিশোরগঞ্জের জেলা রেজিস্ট্রার শফিকুল ইসলামের জন্ম ১৯৬৫ সালের ৩১ মার্চ। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের সবার বয়সই ছিল মাত্র ৪ থেকে ৬ বছর। কিন্তু তারপরও মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী হিসেবে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সেজে চাকরি নেওয়ার পর এখন কোটি কোটি টাকার মালিক তারা। তাদের অনেকের বিরুদ্ধেই দুদকে অভিযোগ আসার পর তদন্ত হচ্ছে।

মুুক্তিযুদ্ধের সময় ৫ বছর বয়স থাকার পরও মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী হিসেবে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সেজে চাকরি পাওয়া কিশোরগঞ্জ সদরের সাব-রেজিস্ট্রার মিনতি দাসের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে প্রচুর দলিল করার অভিযোগ রয়েছে, যা দুদক তদন্ত করছে। তিনি গাজীপুর সদরে থাকাবস্থায় সকালে একটি জমি প্রায় ২ কোটি টাকা মূল্য দেখিয়ে রেজিস্ট্রি করেন এবং মাত্র এক ঘণ্টা পর পরবর্তী দলিলে ২২ কোটি টাকা মূল্য দেখিয়ে ব্যাংকের কাছে মর্টগেজ দলিল করে দেন। এভাবে তিনি দলিলদাতাকে ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। এ ছাড়া ঢাকার পল্লবী সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দায়িত্বে থাকাকালে ২০১৯ সালের ৮ আগস্ট ৪৯৬১ নং সাফ কবলা দলিল রেজিস্ট্রির সময় শ্রেণি পরিবর্তন করে সরকারের ৫৩ লাখ ১১ হাজার ১৪৮ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ করে দেন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জ সদরের সাব-রেজিস্ট্রার মিনতি দাস কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

আইন মন্ত্রণালয় ও নিবন্ধন অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, মুজিবনগর কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ পাওয়া এই সাব-রেজিস্ট্রাররা কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কত সালে পাস করেছেন, মুক্তিযুদ্ধকালে কোনো সেক্টরের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, মুজিবনগর সরকারে তারা কোন পদে কর্মরত ছিলেন তার কোনো তথ্য মন্ত্রণালয় বা নিবন্ধন অধিদফতরের কাছে নেই। মন্ত্রণালয় শুধু উচ্চ আদালতের নির্দেশে একটি তালিকা পেয়ে তাদের আত্তীকরণ করেছে।

সাব-রেজিস্ট্রার লুৎফর রহমান জানান, আদালতের রায়ে তারা মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী হিসেবে চাকরি পেয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় বয়স ৫ বছর হওয়ার পরও কীভাবে কর্মচারী ছিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আদালত সবকিছু বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী হিসেবে ২০০৯ সালে ১৯০ জনকে সাব-রেজিস্ট্রার পদে আত্তীকরণ করা হয়েছিল উচ্চ আদালতের নির্দেশে। নিয়োগের সময় একটি কমিটি যাচাই-বাছাই করে ১৯০ কর্মচারীর মধ্যে মাত্র ৩০ জনকে প্রকৃত মুজিবনগর কর্মচারী হিসেবে চিহ্নিত করলেও রাজনৈতিক বিবেচনায় সবাইকে নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগের নেপথ্যে ছিলেন তৎকালীন আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে ১৯৬৮, ১৯৬৭, ১৯৬৬ ও ১৯৬৫ সালে জন্ম নেওয়া ব্যক্তিরাও ছিলেন যাদের বয়স মুক্তিযুদ্ধের সময় মাত্র ৩ বছর থেকে ৬ বছর ছিল। জালিয়াতির মাধ্যমে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া নিয়ে তখন নিবন্ধন দফতরসহ আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যেও তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল। কারণ মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়েছিল ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল। ওই সরকারের কর্মচারী হতে হলে তাদের বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হওয়া বাঞ্ছনীয়। সে ক্ষেত্রে তাদের জন্মসাল হওয়া দরকার ১৯৫২ অথবা তার পূর্বে। কিন্তু নিয়োগ পাওয়াদের সবারই জন্মতারিখ ছিল ১৯৫৩ সালের পরে। এর মধ্যে ১৩৮ জনের বয়সই ছিল ১০ বছরের নিচে। আর ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৬ সালে জন্মতারিখ আছে এমন সংখ্যা ছিল প্রায় ৩৫ জন। মূলত ৬৫ সালের পরে যাদের জন্ম দেখানো হয়েছিল তারাই এখন কর্মরত রয়েছেন এবং আগামী বছর তারা সবাই অবসরে যাবেন। তাই শেষ মুহূর্তে দুর্নীতির মাত্রা বেড়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিবন্ধন অধিদফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক মো. আবদুস ছালাম আজাদ  বলেন, মুজিবনগর কর্মচারী হিসেবে সাব-রেজিস্ট্রার পদে আত্তীকরণ হওয়া কর্মকর্তাদের শিক্ষাগতসহ অন্যান্য ব্যক্তিগত কোনো তথ্য অধিদফতরে নেই। এটা নিয়োগকারী মন্ত্রণালয়ের কাছে থাকার কথা। তবে তাদের উচ্চ আদালদের নির্দেশে মন্ত্রণালয় অধিদফতরে পদায়ন করেছে। তারা যোগদান করার পরে তাদের জন্য ফাইল খোলা হয়েছে। তাদের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কারও বিরুদ্ধে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে। দুদকও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জানান, মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী হিসেবে ৩ থেকে ৬ বছর বয়সে যারা মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন তারা সবাই ভুয়া। কারণ এই বয়সে সরকারের কর্মচারী হওয়া বা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করা সম্ভব নয়। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা  বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স মন্ত্রণালয় থেকে সাড়ে ১২ বছর নির্ধারণ করা আছে। এর চেয়ে কম বয়সি যারা রয়েছেন তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে। অনেকে মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও তালিকাভুক্ত হয়ে সব সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে। তাদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

সর্বশেষ  গুরুত্বপূর্ণ  সব  সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের  ফেসবুক পেইজে  লাইক  দিয়ে  অ্যাকটিভ  থাকুন।  ভিজিট করুন : http://www.etihad.news

* অনলাইন  নিউজ পোর্টাল  ইত্তেহাদ নিউজে  লিখতে  পারেন  আপনিও। লেখার বিষয়  ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন  [email protected] ঠিকানায় ।

সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক :

About Author

etihad news is one of the famous Bangla news portals published from Abudhabi-UAE. It has begun with a commitment to fearless, investigative, informative, and independent journalism. This online portal has started to provide real-time news updates with maximum use of Smart Technology.