বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে আ.লীগ সমর্থকদের স্পেশাল সুবিধা দিচ্ছে সিইও রেজাউল বারি


বরিশাল অফিস : বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে (বিসিসি) সর্ব শেষ চলতি মাসে ৬০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে স্ব-পদে স্ব-দপ্তরে যোগদানের নির্দেশ দেয়া হলেও ফ্যাসিবাদের এক দোসর কে সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা দিয়ে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রেজাউল বারি এ আদেশ জারি করেন। আবার বিসিসির পরিচ্ছন্নতা বিভাগে নিয়ম বহির্ভূতভাবে একই পদে দুই কর্মকর্তা রয়েছেন। বিষয়টিতে বিসিসির অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর কাছে সমালোচনার পাত্র হয়ে উঠেছেন সিইও রেজাউল বারি। কেউ বলছেন- গোপনে ফ্যাসিবাদের পক্ষে স্বার্থসিদ্ধির অনুকূলে এমন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন।
বিসিসি সূত্রে জানা গেছে, ২০২৫ সালের ৬ এপ্রিল ৬০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে স্ব-পদে স্ব-দপ্তরে যোগদানের মধ্যে ব্যতিক্রম অবস্থানে রয়েছে পরিচ্ছন্নতা সুপারভাইজার পিন্টু বিশ্বাস। শুধু তাকেই স্ব-পদে স্ব-দপ্তরে যোগদানের আদেশ দেয়া হয়নি। অনুসন্ধানকালে জানা গেছে, নগরীর ২০ নং ওয়ার্ড ও আ.লীগ নেতা কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লবের অনুসারী। সিটি নির্বাচনের সময় ন্যাটো বিপ্লবের পক্ষে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা করে পিন্টু বিশ্বাস। ন্যাটো বিপ্লবের হৃদয় গহীনে বিশ্বাসী হয়ে উঠে পিন্টু বিশ্বাস।
কাউন্সিলর পদে বিপ্লব নির্বাচনে হওয়ার পরই পিন্টু বিশ্বাসকে ২০ নং ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্নতা সুপারভাইজারের পদ থেকে ওয়ার্ড সচিবের চলতি দায়িত্ব দেয়া হয়। সেই থেকে এখন পর্যন্ত ওয়ার্ড সচিবের চলতি দায়িত্ব পদে বহাল রয়েছেন। বিসিসির সকল কর্মকর্তা কর্মচারী ক্ষেত্রে এক নিয়ম আর পিন্টু বিশ্বাসের বেলায় হল ব্যতিক্রম। যে কারণে সমালোচনা মুখে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে সিইও।
আবার বিসিসির পরিচ্ছন্নতা বিভাগে নিয়ম বহির্ভূতভাবে রয়েছে একই পদে রয়েছে দুই কর্মকর্তা। এরমধ্যে একজনের মূল পদে দায়িত্ব পালন করছেন এবং অপরজন চলতি দায়িত্ব পালন করছেন। এ দুই পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা হলেন- দীপক লাল মৃধা ও মো. ইউসুফ আলী।
চলতি দায়িত্বের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তাকেও নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। ইউসুফ আ.লীগ শাসনামলে বিসিসির মেয়র পদের প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাতের নির্বাচনে প্রকাশ্যে অংশ নেয়। নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা করে নিজেকে মেয়র প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ওএসডি হওয়া থেকে স্ব-পদে ফেরত আসে মো. ইউসুফ আলী।
কারণ- সাবেক মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর সময় অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে সহকারী পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা পদ থেকে ওএসডি হয়েছিলেন ইউসুফ আলী। কিন্তু মেয়র পদে খোকন সেরনিয়াবাত নির্বাচিত হওয়ার পরই ইউসুফ আলী ওএসডি হওয়া থেকে স্ব-পদে ফেরতসহ পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তার চলতি দায়িত্ব পদ ভাগিয়ে নেয়।
আইনের নিয়ম অনুযায়ী মো. ইউসুফ আলী সহকারী পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা পদে নিয়োজিত থাকলেও আইন বহির্ভূতভাবে পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তার চলতি দায়িত্ব পালন করছেন। ইউসুফ নিজেকে বরিশাল মহানগর তাঁতী লীগের সহ সভাপতি বলে পরিচয় দিতেন। আ.লীগ শাসনামলের অনিয়মগুলো বিসিসির সিইও সংশোধন না করায় সমালোচনার পাত্র হয়ে উঠেছেন। অনেকেই বলেছেন, তিনি আ.লীগের দোসরদের পক্ষে অফিসিয়াল কার্যক্রম সম্পন্ন করে যাচ্ছেন।
বিসিসির সিইও রেজাউল বারি বলেন, প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশ অনুযায়ী ৬০ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে যে শাখায় নিয়োগ হয়েছে স্ব-পদে ফিরে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি কেউ এই আদেশের বাহিরে বাদ পরে তাদের জন্য পদক্ষেপ নেয়া হবে।
সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায় ।