জোয়ার সাহারা বিআরটিএ অফিসে এডি ও মোটরযান পরিদর্শক জিয়ার নেতৃত্বে কোটি টাকা লুটপাট


সজীব আকবর, সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার,ঢাকা :বিআরটিএ জোয়ার সাহারা খিলক্ষেত অফিসের এডি ও মোটরযান পরিদর্শক জিয়াাউর রহমান জিয়া কথিত অফিস স্টাফ ও দালালদের সাথে আঁতাত করে প্রতিমাসে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে জানা যায়।
রোড পারমিট, মালিকানা বদল, ফিটনেস, চোরাই গাড়ির জাল কাগজ প্রস্তুত ও ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান, নাম্বার প্লেট, অকৃতকার্য মোটরযান চালকদের কাছ থেকে মোটা অংকের দক্ষিণা নিয়ে গ্যারান্টি সহকারে ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করে দিয়েই মূলতঃ এঁরা লুটপাট বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে প্রতিবছর সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হলেও মোটরযান পরিদর্শক জিয়া গড়েছেন নামে বেনামে অবৈধ সম্পদের পাহাড়।
জিয়াউর রহমানের দপ্তরে ব্যাংকের মাধ্যমে সরকারী ফিস জমা বাদেও প্রতিটি ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে নেন ১০/১২ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা। প্রতিটি রোড মারমিট থেকে গোপনে হাতিয়ে নেন ২ লাখ টাকা থেকে ১০/১২ লাখ টাকা। চোরাই গাড়ির জাল কাগজ প্রস্তুতে নেন গাড়ির মূল্যমান ও শ্রেণী বিশেষে ২ থেকে ৫ লাখ টাকা। মালিকানা বদলের ক্ষেত্রে ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা। কাগজে ত্রুটি থাকলে গোপনে হয় মোটা অংকের লেনদেন।
গাড়ির ফিটনেস বাবদ নেন ২৫/৩০ হাজার টাকা করে।
এসব টাকার ৪০% নেন সহকারী পরিচালক ( ইঞ্জি:), ৩৫% টাকা নেন পরিদর্শক জিয়া আর বাকি ২৫% টাকা যায় অফিস স্টাফ আর দালালদের পকেটে। এডি ও পরিদর্শক জিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অসাধু উপায়ে অর্জিত টাকা থেকে হেড অফিস ম্যানেজের নামে একটি অংশ চলে যায় দক্ষিণার নামে।
এভাবেই তারা সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে প্রতিমাসে হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি টাকা।
অনুসন্ধানে জানা যায় শেখ হাসিনা সরকারের আমলে নিজেদেরকে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও শেখ হাসিনার প্রিয়জন পরিচয় দিয়ে তারা কর্মস্থলগুলোতে স্ব-স্ব ক্ষৃমতার বলয়ে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি সিন্ডিকেট।
জনশ্রুতি আছে জুলাই আগস্ট ২০২৪ এর ছাত্র আন্দোলন দমন করতে এডি ও মোটরযান পরিদর্শক প্রতিরাতে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে করতেন গভীর শলাপরামর্শ। আর ছাত্র আন্দোলন দমাতে লক্ষ লক্ষ টাকা ছাত্রলীগ ও যুবলীগ ক্যাডারদের মাঝে বিতরণ করেন।
তবে ৫ই আগষ্ট পট পরিবর্তনে শেখ হাসিনা দিল্লি পালিয়ে গেলে এডি ও মোটরযান পরিদর্শক জিয়া টানা প্রায় ২ সপ্তা লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান। তবে কিছুদিন পর সবকিছু স্বাভাবিক হতে থাকলে আস্তে আস্তে এঁরাও মাটি ফুঁড়ে বের হতে থাকে। এরপর সপ্তাহ খানেক ফেরেস্তা সেজে থাকলেও এখন আবারো শেখ হাসিনার দোসর এই চক্র পূর্বের ন্যায় স্বমহিমায় উদ্ভাসিত।।