এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী হাসানুজ্জামানের বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ


ইত্তেহাদ নিউজ,ঢাকা : এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী হাসানুজ্জামান এর বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ, প্রেমের ফাঁদে ফেলে স্বামীর সংসার ভেঙে দেওয়া, নারী কর্মচারী বা অফিস কলিগদের অবৈধ সম্পর্কের প্রস্তাব, না মানলে মামলা এবং হত্যার হুমকি সহ নানা অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
মো. হাসানুজ্জামান সহকারী প্রকৌশলী এলজিইডি এর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানীসহ প্রেম ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কে জড়ানোর পাশাপাশি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ তোলেন শাহনাজ পারভীন। শাহনাজ পারভীন বর্তমানে এসিসট্যান্ট মনিটরিং এক্সপার্ট পিইডিপি-৪,প্রকল্প ৬২, পশ্চিম আগারগাও, ঢাকা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয়, এলজিইডি ঢাকায় কর্মরত।
শাহনাজ পারভীন গত ২৬ জানুয়ারি,২০২৫ তারিখে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কাছে অভিযোগে জানায়, এলজিইডি প্রধান কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক শাখা) মো. হাসানুজ্জামান ও আমি সহকর্মী হওয়ায় আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতার কারণে প্রকৌশলী হাসানুজ্জামান- আমাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিলে আমাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন হয়।২০১৯ সাল থেকে শুরু করে ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত বিভিন্ন সময় হাসানুজ্জামান আমার বর্তমান বাসা ও তার বন্ধুর বাসায় একাধিকবার আমরা দৈহিক মিলামেশায় আবদ্ধ হই। যার একাধিক ভিডিও চিত্র শাহনাজের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এরপর সে “আমাকে বিবাহের প্রস্তাব দিয়ে আমার স্বামীকে ডির্ভোস করতে বলেন, আমি তার কথায় বিশ্বাস করে আমার স্বামীকে ডিভোর্স করি। তখন থেকে আমার সঙ্গে নানা টালবাহানা করতে থাকে এবং আমাকে বিয়ে করবেনা বলে জানায়। হাসানুজ্জামান আমার ছেলেকে কানাডায় পাঠানোর কথা বলে, নগদ প্রায় ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। আমি টাকা ফেরত চাইলে রাগান্বিত হয়ে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দেয়।
অনুসন্ধানে আরো উঠে আসে , হাসানুজ্জামান এলজিইডির প্রধান কার্যালয় সহকারী প্রকৌশলী যান্ত্রিক শাখা বর্তমানে কর্মরত আছেন। মূলত তিনি প্রকল্প ভিত্তিক বিগত সরকারের আমলে এলজিটিতে চাকরিপ্রাপ্ত হন। ২০১১- ১২ অর্থবছরে মামলার মাধ্যমে তিনি রাজস্ব খাতে চাকরি করার সৌভাগ্য অর্জন করেন। এরপর থেকেই তিনি অর্থের লোভে এহেন কর্ম নেই যা করেননি। জানা যায় যান্ত্রিক শাখায় গাড়ি মেরামতের কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন, এতে সহযোগিতা করেছে তার উদ্ধতন কর্মকর্তা যারা বিগত সরকারের আমলে কর্মরত ছিলেন এবং এখনো আছেন। বিগত সরকারের আমলে তার ক্ষমতা ছিল ব্যাপক, যে কারণে কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলে টিকে থাকতে পারেনি। তাই তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে রাজি হননি কেউ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রকল্প ভিত্তিক মাস্টার রোলে কর্মরত একাধিক কর্মচারী জানায় , মাস্টার রোলে কর্মরত কর্মচারীরা রাজস্ব খাতে পদায়নের লক্ষ্যে আন্দোলন করছিল দীর্ঘদিন যাবত। সে আন্দোলনে হাসানুজ্জামান কর্মচারীদের উপর চড়াও হন এবং ব্যানার ফেস্টুন কেড়ে নিয়ে কর্মচারীদের গায়ে হাত দেন তিনি।
সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায় ।