বরিশাল অফিস : দাবিকৃত ৫ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে বরিশাল সদর উপজেলার তালতলী বাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুরের দায়েরকৃত মামলায় বরিশাল জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম সাজ্জাদ (৩০) কে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী-১ আদালতের বিচারক নুরুন নাজনীন এ আদেশ দেন। আসামি সাজ্জাদ বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) শাহে আলমের ছেলে।
২০২৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তালতলী বাজারে 'হাফসা সুপার মার্কেটে' ওই চাঁদা দাবি সহ হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে নামধারী ৯ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন- বরিশাল কাউনিয়া থানার অন্তর্ভুক্ত চরবাড়িয়া গ্রামের হাতেম আলী হাওলাদারের ছেলে মামুন হাওলাদার।
দায়েরকৃত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরিশাল কাউনিয়া থানার এসআই মোঃ হাবিবুর রহমান ২০২৫ সালের ২৪ মে দায়েরকৃত মামলার ৯ আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন।
দায়েরকৃত মামলা ও চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- শহিদুল ইসলাম সাজ্জাদ, কাগাশুরা এলাকার কাদের হাওলাদারের ছেলে সোহাগ (৩২), চরবাড়িয়া আবুল সিকদারের ছেলে বশির (৩৫) ও মিজান (৩০), লালু মিয়ার ছেলে আল আমিন হোসেন (৩২), মতিউর রহমান বাবুর্চির ছেলে নুরু ইসলাম (৫২), ফারুকের ছেলে মেহেদী হাসান (দোলা), সাপানিয়া এলাকার আজিজ হাওলাদারের ছেলে সজীব (২৮) ও মন্টু খানের ছেলে জীবন (৩৫)।
মামলা দায়েরের পর আদালতের বিচারক মামলা আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারির নির্দেশ দেন। মামলার ২ থেকে ৯ নং পর্যন্ত আসামি ৮ জন আদালত উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন। কিন্তু সমন জারিতে ১নং আসামি শহিদুল ইসলাম সাজ্জাদ উপস্থিত না হওয়ায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার নির্দেশ দেয় । বৃহস্পতিবার সাজ্জাদ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিচারক ওই আদেশ দেন।
মামলা ও চার্জশিট সূত্রে জানা গেছে, বাদির কাঁচামালের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদা দাবি করে। এ ঘটনায় বাদির চাচতো ভাই পার্শ্ববর্তী তাসমিয়া বিলকিস নামক সেনেটারি দোকান মালিক সুরুজ আহমেদ আসামিদের আবদার (চাঁদা) প্রত্যাখ্যান করে। এ নিয়ে তর্কের একপর্যায় গত ২৫/১২/২০২৪ তারিখ সন্ধ্যায় আসামিরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙ্গচুর করে নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেয়। তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে- বাদীর নালিশি বিবাদীদের বিরুদ্ধে পেনাল ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩০৭/৩৮০/৪২৭/৫০৬(২) ধারার অপরাধ প্রমাণিত হয়। তবে পেনাল কোডের ৩৮৫/৩৮৭ ধারা বিবাদীদের বিরুদ্ধে প্রমাণিত হয়নি।
ইত্তেহাদ নিউজ, এয়ার পোর্ট রোড, আবুধাবী ,সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইমেইল: [email protected], web:www.etihad.news
এম এম রহমান, প্রধান সম্পাদক, ইত্তেহাদ নিউজ, এয়ার পোর্ট রোড, আবুধাবী, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে প্রকাশিত ও প্রচারিত