টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র’ চায় ইউক্রেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগে থেকেই বলে আসছেন, তিনি চান না রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র’ ব্যবহার হোক। এই কারণে ট্রাম্প ইউক্রেন তো বটেই ন্যাটো সদস্যদের কাছেও অস্ত্রটি বিক্রি করতে চাননি। কিন্তু ব্লুমবার্গ নিউজ দিয়েছে ভিন্ন খবর।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ওলহা স্টেফানিশিনা গণমাধ্যমটিকে বলেছেন, ইউক্রেন টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র এবং অন্যান্য দীর্ঘপাল্লার অস্ত্র কেনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘ইতিবাচক’ আলোচনা করছে।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, টমাহক যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি দূরপাল্লার ক্রুজ মিসাইল, যা যুদ্ধজাহাজ বা সাবমেরিন থেকে ছোড়া হয়। ভূপৃষ্ঠে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে পারে টমাহক। নিচু উচ্চতায় ওড়ে বলে টমাহক রাডারে ধরা পড়ে না। এতে আছে উন্নত জিপিএস ও নেভিগেশন ব্যবস্থা।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত রোববার ভিন্ন বার্তা দিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, আপাতত এমন কোনো চুক্তি বিবেচনা করছেন না তিনি। ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য দীর্ঘপাল্লার টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র সংগ্রহের অনুমতিও দেবে না বলে নিশ্চিত করেছিলেন।
এমনকি পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর কাছেও টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির মার্কিন পরিকল্পনায় অনাগ্রহ জানান ট্রাম্প।
কারণ হিসেবে ট্রাম্প জানান, এসব দেশ পরে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইউক্রেনকে দিতে পারে। বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্পের ভাষ্য হলো, তিনি যুদ্ধকে আরও তীব্র করতে চান না।
তবে তার সেই কথার সঙ্গে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ওলহা স্টেফানিশিনার বলা তথ্য সাংঘর্ষিক।
সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায় ।


