রাজাপুরে সড়কের কাজ শেষ না হতেই উঠে যাচ্ছে পাথর


ঝালকাঠির রাজাপুরের আঙ্গারিয়া গ্রামের রাঢ়ীবাড়ি-মিলবাড়ি এলাকায় ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে মাত্র ১২০০ মিটার সড়ক সংস্কারে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। কাজ শেষ হতে না হতেই সড়কের অধিকাংশ স্থানে পাথর উঠে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের কাজ পরিদর্শন করে কাজে গুরুতর অনিয়মের বিষয়টি ধরা পড়েছে। এতে কাজের বিল বন্ধ করে দিয়ে পুনরায় সংস্কারের জন্য ঠিকাদার উপজেলা বিআরডিবির চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ সুমন সিকদারকে চিঠি দিয়েছেন এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী অভিজিৎ মজুমদার।
এলজিইডি সূত্র বলছে, উপজেলার আঙ্গারিয়া গ্রামের রাঢ়ীবাড়ির সামনের এলাকা থেকে পশ্চিম দিক দিয়ে শুরু হয়ে আঙ্গারিয়া গ্রামের কাটাখালি মিলবাড়ি এলাকা পর্যন্ত প্রায় ১২০০ মিটার সড়ক সংস্কারের জন্য উপজেলা এলজিইডি ৬৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। সড়ক সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য এ কাজ পেয়ে কাজ সম্পন্ন করেন ঠিকাদার আবুল হাসনাত সুমন সিকদার।
ওবায়দুল হক খলিফা, জালাল সরদার, মজিবর হাওলাদার, আব্দুস সোবহান খান ও হারুন সিকদারসহ স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, শুরু থেকেই দুর্নীতি ও অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে নি¤œমানের নির্মাণসামগ্রী নিয়ে দায়সারাভাবে কিছুদিন আগে সংস্কারকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। উন্নয়নের নামে দেশের টাকা খরচ হচ্ছে কিন্তু বাস্তবে জনগণকে ফাকি দিচ্ছে স্থানীয় ঠিকাদার। সঠিকভাবে পিচ না দেয়ায় এবং নিচু করে রাস্তা করায় কয়েক দিন যেতে না যেতেই ১২০০ মিটার সড়কের অধিকাংশ স্থানের পাথর উঠে একাকার হয়ে গেছে এবং বিভিন্ন স্থানে সড়ক ভেঙে রাস্তার পাশের খালে পড়ে গেছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
ঠিকাদার আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ সুমন সিকদার রাস্তার কাজের ত্রুটির কথা স্বীকার করে সাংবাদিকদের জানান, লেবারের ভুলের কারণে এই সমস্যা হয়েছে। বৃষ্টি কমলে রাস্তা শুকিয়ে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত অংশ সংস্কার করে দেয়া হবে।
কাজের গুণগত মান ও ত্রুটির বিষয়ে জানতে চাইলে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী অভিজিৎ মজুমদার জানান, এ সড়কটি পরিদর্শন করে ত্রুটি ধরা পরায় ঠিকাদারকে বিল দেয়া হয়নি। ফাইনাল বিল আটকে দেয়া হয়েছে। ঠিকাদারকে চিঠি দেয়া হয়েছে। যতদ্রুত সম্ভব ক্ষতিগ্রস্ত অংশটুকু নতুন করে সংস্কার করে দেয়া হবে।