সিরিয়া থেকে ইতালিতে ফোনে ফোনেই হচ্ছে মানব পাচার। সিরিয়া থেকে লিবিয়া, তারপর মধ্য ভ‚মধ্যসাগরজুড়ে বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক অভিবাসী রুট যাত্রা সম্পর্কে এএফপি সিরিয়ার চোরাকারবারি ও অভিবাসীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছে।
সিরিয়ার দক্ষিণে দারা প্রদেশের এক চোরাকারবারি বলেন, ‘আমরা ফোনের মাধ্যমে সব চূড়ান্ত করি।’
আরও বলেন, ‘আমরা পাসপোর্টের একটি অনুলিপি চাই। তারপর কোথায় টাকা দিতে হবে তার ঠিকানা দিয়ে দেই। কিন্তু আমরা নিজেদের আড়াল করে রাখি।’ এএফপিকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে এ কথা জানান।
এএফপি প্রায় ২০ জন অভিবাসীর জন্য গ্রুপ টিকিট দেখেছিল। যারা প্রতিবেশী লেবাননে ভ্রমণ করে, তারপর বৈরুত থেকে একটি উপসাগরীয় রাজ্যে, তারপর মিসরে এবং সব শেষে পূর্ব লিবিয়ার বেনগাজিতে পৌঁছায়। সেখান থেকে বেনগাজির ফ্লাইটে ইউরোপের উদ্দেশে রওয়ানা দেয়। বেনগাজিতে আসা সিরিয়ানদের ইউরোপে প্রবেশের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি প্রয়োজন হয়।
সিরিয়ার দক্ষিণে দারা প্রদেশের চোরাকারবারি বলেন, ‘এটি কোনো সমস্যা নয়। কারণ নিরাপত্তা কক্ষে আমাদের একজন লোক আছেন, যিনি খুব সহজেই অনুমোদন পান।’ জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার মতে, প্রায় ৯০ হাজার সিরিয়ান ইতালিতে গেছে।
চোরাকারবারিরা বলেন, ‘প্রথম দিকে বছরে আমরা একটি দল পাঠানোর মাধ্যমে কাজটা শুরু করি। এখন আমরা প্রতি মাসে একটি দল লিবিয়ায় পাঠাই।’ তারপর তাদের ইতালিতে পাঠানো হয়। মানুষ তাদের বাড়িঘর বিক্রি করে চলে যান।
একজন অভিবাসী এএফপি সংবাদ দাতাকে বলেন, একটি প্যাকেজ চুক্তির দাম ৬ হাজার ৫০০ ডলার। এর মধ্যে একটি বিমান টিকিট, পূর্ব লিবিয়ায় প্রবেশের নথি, বিমানবন্দর পিকআপ, পরিবহণ, বাসস্থান, ইতালিতে নৌকা ভ্রমণ ও একটি লাইফ জ্যাকেট অন্তর্ভুক্ত ছিল।
কেউ কেউ ভালোমানের হোটেলে থাকার কথা জানালেও অনেকে আবার জানান, লিবিয়ার উপকূলের কাছে হ্যাঙ্গারে আটকে থাকার কথা। দারা প্রদেশের ওমর (২৩) বলেন, সেখানে দুই সপ্তাহ আটকে ছিলেন। এ অবস্থায় তাদের গালাগাল ও মারধর করা হয়। আরও বলেন, রক্ষীরা তাদের খাওয়ার জন্য সামান্য পরিমাণ ভাত, রুটি ও পনির দেয়।
ইত্তেহাদ নিউজ, এয়ার পোর্ট রোড, আবুধাবী ,সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইমেইল: [email protected], web:www.etihad.news
এম এম রহমান, প্রধান সম্পাদক, ইত্তেহাদ নিউজ, এয়ার পোর্ট রোড, আবুধাবী, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে প্রকাশিত ও প্রচারিত