নূরুজ্জামান, পাথরঘাটা প্রতিনিধিঃ
বরগুনার পাথরঘাটায় পর্যটন কেন্দ্র হরিনঘাটায় সোমবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে বিষটোপ দিয়ে মাছ শিকারের সময় তিন কিশোরকে আটক করেছে বন বিভাগ।
আটককৃতরা হলো চরলাঠিমারা গ্রামের ফরিদ শিকদারের ছেলে মো. নয়ন (১৩), বেল্লাল হোসেনের ছেলে মো.বাইজিদ (১৩) ও শহীদ শিকদারের ছেলে মো.সাইফুল (১৪)।স্থানীয় মোঃ আলতাফ হোসেন বলে হরিনঘাটা বনের মধ্যে খালে মাছ শিকারের জন্য বিষ দিয়ে মাছ ধরার সময় হাতে নাতে তিন কিশোর কে ধরে এলাকাবাসি। তাদের ধরে বন বিভাগকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই তিনজনকে আটক করে বন বিভাগ।তিনি আরোও জানান, এর আগেও এ বনের খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করে। এ বিষে শুধু মাছ মারা যায় তা নয়, ওই খালের পানি পান করে হরিনসহ বন্যপ্রাণী মারা যায়। আটককৃতরা অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়াতে তাদের শিশু আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
উল্লেখ্য এই হরিণঘাটা বনে প্রায়ই খালের পানি পান করে হরিণ ও অন্যান্য জীবজন্তুর মারা যায় এ নিয়ে প্রায়ই বিভিন্ন সময় খালে ভাসতে দেখা যায় হরিণ শুকর অন্যান্য জীবজন্তুর।এ খবরে বন বিভাগ নড়বড়ে বসে সেই থেকে প্রায়ই গ্রেফতার করা ঐ বনে যারা সুবিধা ভোগ করে তারাই। এই খালে বিষ দিয়ে মাছ নিধন করে ও ফাঁদ দিয়ে হরিন শিকার করে। এ নিয়ে বারবার বন বিভাগ স্থানীয় লোকজনকে হাতেনাতে গ্রেফতার সক্ষম হয়েছিল। আইনের ফাঁকফোঁকর দিয়ে বেরিয়ে এসে আবার সেই পুনরায় একই অপরাধ করে আসছে। কিন্তু কোনভাবেই এদেরকে নির্মূল করা সম্ভব হচ্ছে না । অনেক সময় স্থানীয় প্রতিনিধিরা অপরাধীদের পক্ষে দাঁড়িয়ে বন বিভাগের স্টাফদের উপর চড়া হয়। শেষমেশ ধরা পরল অপ্রাপ্ত তিন কিশোর।উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুফল চন্দ্র গোলদার বলেন, দুই হাজার টাকা করে তিনজনকে মৎস্য প্রানি সংরক্ষণ আইনে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।এ বিষয়ে পরিবেশকর্মী শফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, প্রায়ই বিষ দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে।
খালে বিষ দিয়ে শুধু মাছ শিকারই করছে না, এ পানি পান করার সময় হরিণসহ বন্যপ্রাণী নিধন হচ্ছে। এরকম চলতে থাকলে একটা সময় শুধু বন্য প্রাণী বিলুপ্ত হবে না, বন ও পরিবেশ ধংস হয়ে যাবে।তিনি আরও বলেন, বন, বন্য প্রাণী সহ পরিবেশ সুরক্ষায় বন বিভাগের লোকবল বৃদ্ধি করার দাবি জানান তিনি।হরিণঘাটা বন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল-আমিন বলেন, আমরা বন রক্ষা করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি শেষমেশ তিন কিশোর ধরা খায়। আমরা তাদেরকে পাথরঘাটা নির্বাহী অফিসার সুফল চন্দ্র গোলদারের হাতে তুলে দি। তিনি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এই তিন কিশোর কে দুই হাজার টাকা করে মোট ছয় হাজার টাকা জরিমানা করে তাদের কে ছেড়ে দেওয়া হয়।