ভদ্রতার ছদ্মবেশে কিছু শিক্ষক বা শিক্ষিকা যেমন নিজেরা ডুবছেন, তেমনি শিক্ষক সমাজের ওপর কালিমা লেপন করছেন। অভিভাবকরা তাদের কাছে সন্তানদের পাঠান সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে। কিন্তু সেই শিক্ষক বা শিক্ষিকা যদি নিজে যৌননিপীড়ক হয়ে ওঠেন, শিক্ষার্থীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন, তাহলে তাকে কি শিক্ষক বা শিক্ষিকা বলা যায়! বর্তমান সময়ে দেশে বিদেশে এমন ঘটনার খবর অহরহ পাওয়া যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামায় এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। সেখানে বিবাহিতা একজন শিক্ষিকা এবং সন্তানের মা ক্রিস্টাল ফ্রস্ট (৩৫) তার দু’জন টিনেজ শিক্ষার্থীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। শুধু তা-ই নয়। তাদেরকে তিনি নিজের নগ্ন ছবি পাঠাতেন। সেসব ছবি আবার শিক্ষার্থীদের দেখতে বাধ্য করতেন। ধরা পড়ার পর সব স্বীকার করেছেন তিনি। এ খবর দিয়েছে পশ্চিমা একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ।
ক্রিস্টাল ফ্রস্ট আলাবামার ক্রেনশ খ্রিস্টান একাডেমিতে শিক্ষকতা করতেন। পুলিশ বলেছে, তিনি তিন সন্তানের মা।
শিক্ষকতার আড়ালে তিনি ছিলেন আসলে যৌন নিপীড়ক। শিক্ষার্থীদের শিকার করতেন। তাদেরকে নিজের নগ্ন ছবি পাঠিয়ে উত্তেজিত করে তুলতেন। তারপর কোথাও নিয়ে তাদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতেন। স্ন্যাপচ্যাটে ১৫ বছর বয়সী একটি ছাত্রকে তিনি পাঠিয়েছিলেন নিজের নগ্ন ছবি। কিন্তু ওই বালকটি সেই ছবি তার সহপাঠীদের দেখায়। গোপন আর গোপন থাকে না। প্রশাসন থেকে ক্রিস্টাল ফ্রস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ফলে স্বীকার না করে তার আর উপায় থাকে না। ধরা পড়ে একাডেমি থেকে পদত্যাগে বাধ্য হন ক্রিস্টাল ফ্রস্ট।
এরপরই শুরু হয় পুলিশের তদন্ত। তাতে দেখা যায়, তিনি ওই বালকের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। এই তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ আবিস্কার করে ১৬ বছর বয়সী আরেক বালককে। তাকেও ক্রিস্টাল টার্গেট করেছিলেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শেষ পর্যন্ত সব স্বীকার করেছেন। যে ছবি নিয়ে পুলিশ তদন্তে নামে তাতে ক্রিস্টাল ফ্রস্টকে দেখা যায় আপত্তিকর অবস্থায়। এক পর্যায়ে ওই বালকটি তার আরও খোলামেলা ছবি চায়।
ক্রিস্টাল ফ্রস্ট ছিলেন ওই একাডেমির গণিতের শিক্ষিকা। তিনি ১৫ বছর বয়সী যে বালককে টার্গেট করেছিলেন, তাকে পাঠিয়েছিলেন বুকখোলা ছবি। পুলিশ তদন্ত করে তার মোবাইল ফোনে ওই ছবিই পায়। তিনি আরও স্বীকার করেন, চিয়ারলিডারদেরকেও তিনি ভিন্ন ভিন্ন ছবি পাঠিয়েছেন। এতে তাকে দেখা যায় নাইকি শটস পরেছেন। তা এতটুকু উচ্চতা পর্যন্ত, যাতে নিতম্বদেশ পরিষ্কার এবং খোলা অবস্থায় দেখা যায়।
এ অভিযোগে ২৪ শে আগস্ট পদত্যাগ করেন ক্রিস্টাল ফ্রস্ট। পুলিশের কাছে একজন শিক্ষার্থী বলেছে, তারা কমপক্ষে দু’বার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে। সে বলেছে, তার শিক্ষিকা তাকে রগরগে ছবি পাঠাতেন। তারপর তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দিতেন। তারপর ওই বালকের বাড়িতেই কমপক্ষে চারবার তারা মিলিত হয়। একবার নিজের কুকুরকে চড়াতে গিয়েছিল ওই বালক। সেখানে তাকে পেয়ে ক্রিস্টাল ফ্রস্ট তার গাড়িতে ওই বালকের সঙ্গে ‘ওরাল সেক্সে’ মেতে ওঠেন। এই গ্রীষ্মে তাদেগর মধ্যে সম্পর্কের ইতি ঘটে।
ইত্তেহাদ নিউজ, এয়ার পোর্ট রোড, আবুধাবী ,সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইমেইল: [email protected], web:www.etihad.news
এম এম রহমান, প্রধান সম্পাদক, ইত্তেহাদ নিউজ, এয়ার পোর্ট রোড, আবুধাবী, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে প্রকাশিত ও প্রচারিত