স্ত্রী স্বীকৃতির দাবিতে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে মাহফুজুর রহমান নামের এক প্রবাসীর বাড়িতে দুই নারী অবস্থা করছেন। বর্তমানে তার ঘরে আরও একজন স্ত্রী রয়েছে। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) উপজেলার জোড্ডা পূর্ব ইউপির বাইয়ারা গ্রামে ওই প্রবাসীর বাড়িতে আগের দুই স্ত্রী তাদের সন্তানদের নিয়ে অবস্থান নেন।

প্রবাসীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, মাহফুজুর রহমান ২০১৬ সালের মার্চ মাসে পার্শ্ববর্তী লাকসাম উপজেলার গাজীমুড়া গ্রামের ফজর আলীর মেয়ে সোনিয়া আক্তার মুন্নীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। মাহফুজ-মুন্নী দম্পতির একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

দীর্ঘদিন সংসার করার পর মাহফুজ গোপনে গত মার্চে চাঁদপুর জেলার বাবুরহাটের কাদের ব্যাপারীর মেয়ে আর্নি আক্তারকে বিয়ে করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে প্রথম স্ত্রী মুন্নী কোর্টে মামলা করেন। মামলাটি চলমান রয়েছে।

এ অবস্থায় মাহফুজ গত জুন মাসে পারিবারিকভাবে একই গ্রামের সাইদুল হকের মেয়ে রিমুর সঙ্গে তৃতীয় বিয়ে হয়। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে স্বামী ও সন্তানের স্বীকৃতির দাবিতে মাহফুজের বাড়িতে অবস্থান করে প্রথম দুই স্ত্রী। এ সময় প্রবাসী মাহফুজের মাসহ পরিবারের লোকজন তাদের ওপর হামলা করেন। ভুক্তভোগীরা ৯৯৯ নাম্বারে কল করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

ভুক্তভোগী ওই দুই নারী বলেন, ‘আমরা স্ত্রী স্বীকৃতি দাবিতে একত্রিত হয়েছি। কিন্তু এখানে আসার পর আমাদের মারধর করে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমাদের স্বামীকে চাই।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মাহফুজের মাতা কাউসার বেগম বলেন, তার আগের স্ত্রী ছিল। আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে তালাক দেয়া হয়েছে। তবে তিনি মারধর ও হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেন।

এ বিষয়ে জোড্ডা পূর্ব ইউপি সদস্য জালাল আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে আগেও আলোচনা হয়েছে। কিন্তু তারা সমাধানে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। পরে তারা মামলা করেন।

এ ব্যাপারে নাঙ্গলকোট থানার ওসি দেবাশীষ চৌধুরী  বলেন, ৯৯৯ সংবাদের মাধ্যমে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পাশাপাশি এ ঘটনায় কেউ এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ করেনি।