সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :
এল এন জি ভিত্তিক টার্মিনাল ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধের দাবিতে বরিশালে সাইকেল র্যালী।জ্বালানি অধিকার সপ্তাহ ২০২৩ উপলক্ষে এল এন জি টার্মিনাল ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করা এবংমুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা অনুসাওে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে অর্থায়নের দাবিতেবরিশালে বেসরকারী উন্নয়ন সংগঠন প্রান্তজন, উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরবিশে র্কমজোট(ক্লনি), ও বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলোজি এন্ড ডেভেলপমেন্ট (বি ডব্লিউ জিই ডি)’র উদ্যোগে আজ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শনিবার সকাল ১০:০০ টায় বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষের অংশগ্রহনে সাইকেল র্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাইকেল র্যালীটি বরিশাল জিলাস্কুল মোড় থেকে শুরু করে শিশু পার্কেও সামনে থেকে রাজা রায় বাহাদুর সরক হয়ে জিলা স্কুল মোড়ে এসে সমাপ্ত হয়।উক্ত কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ১০,৫৩০ মেগাওয়াট ক্ষমতার১৮টি এলএনজি ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে। যার মধ্যে ২,৬৮৫ মেগাওয়াটএখন নির্মাণাধীন পর্যায়ে, ২,৭৬০ মেগাওয়াট অনুমোদিত এবং প্রাক-অনুমোদন বাপ্রস্তাবিত পর্যাযয়ে রয়েছে ২,৪১০ মেগাওয়াট। ১,২০০ মেগাওয়াট পৃষ্ঠপোষক কোম্পানি অর্থাৎ যে সমস্ত কোম্পানি অর্থ বিনিয়োগ করবে তারা আপাতত বন্ধ রেখেছে। বাকি১,৪৭৫ মেগাওয়াট বিষয়ে এখোনো কোন সিন্ধান্তে পৌছাতে পারেনি (তথ্য সূত্র ইডএঊউ এর ওয়েব সাইড)। উপরে উল্লেখিত ১৮টি এলএনজি ভিত্তিক বিদুৎ কেন্দ্র যদি চালু হয় তাহলে পরিকল্পনা পর্যায়ে রয়েছে (ইডএঊউ) এগুলো সব যদি চালু হয় তাহলে আমাদের অর্থনীতি
ভঙ্গুগুর অর্থনীতিতে পরবসিত হবে। আমদানিকৃত গ্যাসের উপর ক্রমবর্ধমান নির্ভরতা, জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের দ্বারা সমালোচিত হয়েছে। কারণ এটি সামগ্রিক জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। বক্তারা আরো বলেন এলএনজি আমদানিতে ব্যয়ের এই বোঝা বাংলাদেশের জনগণের কাঁধে পড়ছে। একই সাথে দুর্নীতি, বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রে অ-স্বচ্ছ সক্ষমতা প্রদান এবং বিপুল জ্বালানি আমদানি ব্যয়ের কারণে ক্রমাগত এলএন জি’র দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে
প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের সুবিধার্থে পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরের কাছে গভীর সাগরে আরেকটি ভাসমান তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল বসাতে যাচ্ছে
কর্তৃপক্ষ। পেট্রোবাংলার আরেকটি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল স্থাপনের প্রস্তাব সরকার অনুমোদন করেছে। আরও এলএনজি আমদানির জন্য কক্সবাজারের মহেশখালীতে তৃতীয় ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসএন্ডআরইউ) স্থাপনের পরিকল্পনা করছে। বিতর্কিত স্পেশাল প্রভিশন অ্যাক্টের অধীনে প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়েছিল, কোন সমাপ্তির তারিখ বা প্রতিষ্ঠার খরচ উল্লেখ করা হয়নি। এমন সময়ে যখন বিশ্বব্যাপী তরলীকৃত গ্যাসের (এলএনজি) বাজার অস্থিতিশীল এবং এলএনজি নির্ভরতাকে শক্তি সরবরাহের জন্য হুমকি হিসাবে দেখা হয়। বক্তারা বলেন এলএনজি থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে গড়ে ৩৫০ গ্রাম কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরন হয়। যা আমাদের অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগতদিক বিবেচনায় ব্যপক ক্ষতিকর। চলমান ডলার সংকটের মধ্যে এই বিপুল পরিমাণ জ্বালানি আমদানি আমাদের মতন উন্নয়নশীল দেশের জন্য অত্যন্ত ব্যয়বহুল। একই সাথে এটি আমাদের মত উপকূলীয় অঞ্চলবর্তী
রদশের জন্য বিপদজনক। জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের ফলে আমাদের পরিবেশ ক্রমাগত কার্বন ডাই- অক্সাইড ও অন্য গ্রিনহাউস গ্যাসে পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। এর মাত্রা যত বেশি হবে, ততই তার তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। পেট্রল, ডিজেল, কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাসসহ প্রায় সব জীবাশ্ম জ্বালানিতেই কার্বন বিদ্যমান এবং তা পুড়িয়ে শক্তি উৎপাদন করলে কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত হবেই। এই কার্বন ডাই-অক্সাইডই পৃথিবীর গড় উষ্ণতা বাড়িয়ে দিয়েছে, পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ করছে বায়ুমন্ডলে অবস্থিত ওজোনস্তরকে। এই পরিস্থিতি চলমান থাকলে পৃথিবীর তাপমাত্রা ৩, ৪ বা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে, যতক্ষণ না নিঃসরণ বন্ধ হয়।
এটি আমাদের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। তাই আমাদেও দেশের অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত দিক বিবেচনায় এলএনজি টার্মিনাল ও এল এন জি ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করতে হবে এবং মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা অনুসারে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে অর্থায়ন করতে হবে। ক্যাব এর সমন্বয়কারী রনজিত দত্ত এর সভাপতিত্তে সভায় বক্তব্য রাখেন বরিশাল ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আহবায়ক এ্যডভোকেট এ কে আজাদ, প্রান্তজন এর নির্বাহী পরিচালক এস এম
শাহাজাদা, ম্যাপএর নির্বাহী পরিচালক শুভংকর চক্রবর্তী, এন ভি এস এর নির্বাহী পরিচালক শওকত আলী বাদল, ইব্রাহিম হামিদ মাসুম, ও বিভিন্ন সংগঠনের উন্নয়ন কর্মী ও সাংবাদিক সহ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন ।
ইত্তেহাদ নিউজ, এয়ার পোর্ট রোড, আবুধাবী ,সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইমেইল: [email protected], web:www.etihad.news
এম এম রহমান, প্রধান সম্পাদক, ইত্তেহাদ নিউজ, এয়ার পোর্ট রোড, আবুধাবী, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে প্রকাশিত ও প্রচারিত