দাম্পত্য কলহের কারণে বারবারই খবরের শিরোনাম হয়েছেন তারকা দম্পতি শরিফুল রাজ ও পরীমনি। সোমবার রাজের উদ্দেশে বিচ্ছেদের নোটিশ পাঠান পরীমনি। সর্বশেষ বুধবার খবর আসে- ভেঙে গেছে পরী ও রাজের সংসার। গত বছরের ১০ জানুয়ারি প্রকাশ্যে আসে তাদের সম্পর্কের খবর। গত ২২ জানুয়ারি দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ১০১ টাকার দেনমোহরে ঘরোয়া আয়োজনে তাদের বিয়ে হয়। তাদের কোলজুড়ে আসে পুত্র সন্তান। দেড় বছরের দাম্পত্য জীবনে নানা কলহ সৃষ্টি হয়েছে। কখনো বিদ্যা সিনহা মিম, কখনো সুনেরাহ বিনতে কামালসহ অন্য কাউকে ঘিরে রাজের প্রতি সন্দেহের তির ছুড়েছেন এই অভিনেত্রী। অবশেষে তা বিচ্ছেদে গড়ায়। বিচ্ছেদ নিয়ে দিনভর নানা আলোচনা হয়েছে। অবশেষে বুধবার রাতে ‘ডিভোর্স’ ইস্যুতে মুখ খুললেন পরীমনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাজকে ডিভোর্স দেওয়ার খবরটি নিশ্চিত করেছেন তিনি।

পুরোনো এক ফেসবুক স্ট্যাটাসের ছবি পোস্ট করে পরীমনি লিখেছেন, নিশ্চই এই স্ট্যাটাসের কথা মনে আছে অনেকেরই। সে সময়ও রাজ পাঁচ দিনের মাথায় বাসায় ফিরে আমার ফেসবুক থেকে এটা ডিলিট করে দিয়েছিল। তারপরও এসব ঘটনা সে পুনরাবৃত্তি করে গেছে বারবার।
পরীমনি লেখেন- সরি বলা, না খেয়ে থাকা, পা ধরে মাফ করে দাও আর হবে হবে না, এমনকি সুইসাইড এর মতো হুমকিতেও ব্ল্যাকমেইলের শিকার হতে হয়েছে আমাকে। একই রকম ভুলের ক্ষমা কতবার করা যায় আমি জানি না।
অভিনেত্রী আরও লেখেন, আমি শুধু সব ভুলে সুন্দর স্বাভাবিক একটা পারিবারিক সম্পর্ক চেয়েছিলাম। কিন্তু সে কখনোই এই সম্পর্কটাকে ধারণ করেনি। সবার সামনে আমার বউ, আমার বাচ্চা করে বেড়ানো ভয়ংকর একজন মানুষ। যে কিনা এই সম্পর্কটাকে শুধু নিজের স্বার্থে ব্যবহার করে গেল প্রতিনিয়ত।
তিনি লেখেন, আমি এমন ভয়ংকর একজন মানুষকে বারবার সুযোগ দিয়েছি। সেও সুযোগ পেত, কারণ আইনগতভাবে তার সাথে আমার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি। এসবের কারণে আমি অসম্মানিত হয়েছি আপনাদের কাছেও। আমাকে ক্ষমা করবেন।

বিচ্ছেদ বিষয়ে পরী লিখেছেন, আমি তাকে অফিসিয়ালি ডিভোর্স দিয়েছি। খুবই স্বাভাবিক মাধ্যমে। এটাও তাকে আমার একপ্রকার ক্ষমা করে দেওয়া। না হয় সে আমার সাথে যে অন্যায়গুলো করেছে, তাতে তার জেল হওয়ার কথা।
স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার পরে সন্তানের যাবতীয় দায়িত্ব নিজেই পালন করতে চান পরী। সেটা উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, আমার ছেলের যাবতীয় খরচ, মানে ভরণপোষণ থেকে আগামীতে পড়াশোনা যা কিছু আছে সব আমি বহন করবো। এতদিন যেভাবে করেছি। বাচ্চার সমস্ত অভিভাবকের দায়িত্ব এখন তার মায়ের। এ বিষয়ে যা কিছু বলার আমার আইনজীবীরা বলবেন। ধন্যবাদ।
রোববার আইনজীবীর কাছে গিয়েছিলেন পরীমনি। সেখানে আইনজীবীর পরামর্শ অনুসারে ডিভোর্স লেটার তৈরি করে সোমবার রাজের কাছে সেটি পাঠিয়েছেন তিনি।
ইত্তেহাদ নিউজ, এয়ার পোর্ট রোড, আবুধাবী ,সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইমেইল: [email protected], web:www.etihad.news
এম এম রহমান, প্রধান সম্পাদক, ইত্তেহাদ নিউজ, এয়ার পোর্ট রোড, আবুধাবী, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে প্রকাশিত ও প্রচারিত