মনিরুল ইসলাম ওরফে স্বপনের শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। খুলে বসেন সততা ক্লিনিক অ্যান্ড নার্সিং হোম নামে একটি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে মনিরুল নিজেই অন্তঃসত্ত্বা নারীদের অস্ত্রোপচার করতেন।
বিষয়টি নজরে আসলে শুক্রবার সকালে অভিযান চালিয়ে সাপাহার উপজেলা সদরে গড়ে ওঠা ওই ক্লিনিক বন্ধ করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মনিরুল ইসলামকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ছয় হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও সাতদিনের কারাদণ্ডের আদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্যাহ আল মামুন অভিযানটি চালান। অভিযানে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রুহুল আমীন এবং সাপাহার থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ইউএনও আব্দুল্যাহ আল মামুন বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় এক সাংবাদিক জেলা প্রশাসক (ডিসি) স্যারকে ভুয়া চিকিৎসক মনিরুল ইসলামের অস্ত্রোপাচার করার একটি ছবি পাঠান। বিষয়টি আমলে নিয়ে ডিসি স্যার আমাকে খোঁজখবর নিতে বলেন। শুক্রবার সকালে মনিরুলের ক্লিনিকে অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে গিয়ে জানা যায়, ক্লিনিকটি অনুমোদন ছাড়াই চলছিল। বিধি অনুযায়ী ক্লিনিকে একজন সার্বক্ষণিক চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও সেখানে গিয়ে পাওয়া যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদে মনিরুল অস্ত্রোপচারের বিষয়টি আদালতের কাছে স্বীকার করলে তাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া ছয় হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও সাতদিনের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ক্লিনিকের অনুমোদন না থাকা, প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও নার্স না থাকাসহ চিকিৎসার উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায় ক্লিনিকটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রুহুল আমীন বলেন, ‘মনিরুল অষ্টম শ্রেণি পাশ। তার ডাক্তারি কোনো সনদ নাই। তারপরেও তিনি ক্লিনিক খুলে অস্ত্রোপচার করতেন। এটা খুবই ভয়ানক একটা বিষয়। শুধু সাপাহারে নয়, দেশের যেকোনো জায়গায় এ রকম অবৈধ ক্লিনিক গড়ে উঠা উদ্বেগজনক।’
ইত্তেহাদ নিউজ, এয়ার পোর্ট রোড, আবুধাবী ,সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইমেইল: [email protected], web:www.etihad.news
এম এম রহমান, প্রধান সম্পাদক, ইত্তেহাদ নিউজ, এয়ার পোর্ট রোড, আবুধাবী, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে প্রকাশিত ও প্রচারিত