মেঘনা নদীর তীরে ট্রলার থেকে মাছ ভিক্ষা নিতে গিয়ে ব্লক ধ্বসে বাক প্রতিবন্ধী মায়ের মৃত্যু হয়েছে। মুমুর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন দেড় বছর বয়সী শিশু কন্যা। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সোমবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ভোলা সদরের ইলিশা লঞ্চঘাট (তালতলি) এলাকায়। এ সময় দুইটি ট্রলারও ডুবে গেছে। তবে কতজন নিখোঁজ তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ভোলা সদর থানার ওসি শাহীন ফকির। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন দুই জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের সন্ধানে ফায়ার সার্ভিস তল্লাশী করছেন। মারা যাওয়া লাইজু বেগম (৪০) সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। বিধবা ওই নারী তালতলি মাছঘাটে ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালাতেন। দেড় বছরের শিশু মরিয়মকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা মুমুর্ষ বলে জানান ওসি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাকপ্রতিবন্ধী লাইজু সন্তানকে কোলে নিয়ে প্রতিদিনের মোত জেলেদের কাছ থেকে মাছ ভিক্ষা চায়। একটি ট্রলার থেকে মাছ চাওয়ার সময় হঠাৎ করেই সিসি ব্লকে ধ্বস শুরু হয়। মুহুর্তের মধ্যেই একটি ট্রলার দুমরে-মুচরে অপর একটি ট্রলার সোজা হয়ে ডুবে যায় মেঘনা নদীতে। একই সাথে লাইজু বেগম এবং মরিয়ম নদীতে পড়ে যায়। স্থানীয়রা লাইজু বেগমের লাশ মেঘনা থেকে উদ্ধার করে। আর আশংকাজনক অবস্থায় মরিয়ম নামের শিশুকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এঘটনায় আহত হয় আরো ৪ জন। যারা স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে। এ ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় শত শত মানুষ ছুটে আসে। আসেন সদর থানার ওসিসহ প্রশাসনের লোকজন। তবে ডুবে যাওয়া দুটি ট্রলারে নিখোজ রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে কতজন নিখোজ তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কারো মতে দুই জন নিখোঁজ রয়েছে। এ বিষয় ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মো. শাহীন ফকির বলেন, নিখোঁজের খবর শুনেছি। তবে নিশ্চিত নই কতজন নিখোঁজ রয়েছে। দুইটি ট্রলার ডুবেছে এটা নিশ্চিত। নিহত মহিলার পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় তার পরিবারের সদস্যদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এদিকে নিখোজদের সন্ধানে ডুবুরী দল মেঘনা নদীতে নেমে তল্লাশী চালায় প্রায় ঘন্টা খানেক বলে ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মো. সুমন জানান। তিনি আরো বলেন, বিকেল পৌনে ৬টা পর্যন্ত ডুবুরী দল তল্লাশী চালিয়েছে। তবে কোন লাশেরর সন্ধান পায়নি। যেখানে ট্রলার ডুবেছে সেখানে পানি অনেক বেশি। ভাটার সময় আবার চেস্টা করে দেখা হবে। অপরদিকে ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত মানুষ এসে ভীর করে। তবে এসব ঘটনায় মেঘনা নদী থেকে অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনকে দায়ী করছে স্থানীয়রা। তারা বলছেন,দীর্ঘ দিন ধরেই সিসি ব্লকের ধ্বস দেখা দিয়েছে। কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না পানি উন্নয়ন বোর্ড।
ইত্তেহাদ নিউজ, এয়ার পোর্ট রোড, আবুধাবী ,সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইমেইল: [email protected], web:www.etihad.news
এম এম রহমান, প্রধান সম্পাদক, ইত্তেহাদ নিউজ, এয়ার পোর্ট রোড, আবুধাবী, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে প্রকাশিত ও প্রচারিত