প্রিন্ট এর তারিখঃ জুলাই ১২, ২০২৫, ১০:১৭ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ১১, ২০২৩, ৭:৩৫ অপরাহ্ণ
সুনামগঞ্জে তামাক নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় সরকার গাইড লাইন বাস্তবানের অঙ্গীকার
আল হাবিব ,সুনামগঞ্জ :
জীবনের জন্য পরিবারের জন্য তামাক কোম্পানীর আগ্রাসন প্রতিহত করুন এই স্লোগানে সুনামগঞ্জে পালিত হলো জাতীয় তামাক মুক্ত দিবস। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বপ্নডানা সুনামগঞ্জ ও বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের আয়োজনে ‘স্থায়ীত্বশীল তামাক নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় সরকার গাইড লাইন বাস্তবায়ন জরুরি’ এই বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও শহরের তরুন সংগঠকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়।
সোমবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় শহিদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বপ্নডানার চেয়ারম্যান ও সিইও জাহাঙ্গীর আলম, প্রধান অতিথি হিসিবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত,অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুরমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট আওয়ামীলীগ নেতা আমির হোসেন রেজা,জেলা পরিষদের সদস্য ফৌজি আরা বেগম শাম্মী, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নিগার সুলতানা কেয়া, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক অ্যাড.খলিল রহমান,সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এ আর জুয়েল,সুনামগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর সামিনা চৌধুরী মনি। ডিবিসি চ্যানেলের সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি আসাদ মনির সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন থিয়েটার একুশের সভাপতি পল্লব ভট্টাচার্য্য,সামাজিক সংগঠক ইফতেখার সাজ্জাদ পিয়াল,জিৎ তালুকদার প্রমূখ।
বক্তাগণ বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকারের গাইড লাইন যথাযথভাবে পালন করা জরুরী। জেলা পরিষদ,উপজেলা পরিষদ,পৌরসভা,ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকারের পাশাপাশি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। প্রকাশ্যে তামাকজাত পণ্য বিক্রি বন্ধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০০ গজের মধ্যে পণ্য বিক্রি না করা, শিশুদের কাছে তামাকজাত পণ্য বিক্রেতাকে আইনের আওতায় আনা, সকল তামাক পণ্য বিক্রয়কারী দোকানীকে আলাদা ট্রেড লাইসেন্সের আওতায় নিয়ে আসাসহ তামাক সেবনের কুফল সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরীতে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরী।
জনপ্রতিনিধিগণ স্থায়ীত্বশীল তামাক নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় সরকার গাইড লাইন বাস্তবায়নে সুনামগঞ্জে তামাক নিয়ন্ত্রণে সচেতনতামূলক মাইকিং,লিফলেট বিতরণ,পোষ্টারিং,বিল বোর্ড তৈরী,সভা,সমাবেশ করার ঘোষণা দেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা মোতাবেক ২০৪১ সালের মধ্যে তামাক নির্মূলে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে সাথে নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।