দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরের বিরলে মন্দিরের টি আর প্রকল্পের টাকা তুলে নিয়ে ইউ পি সদস্যের আত্মসাৎ। সরকারের অর্থ বরাদ্দ আশ্রম বা মন্দিরের নামে থাকলেও ক্ষমতা ও প্রভাব খাটিয়ে নিজেই নাম মাত্র কাজ করে টি আর প্রকল্পের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটিয়েছেন ৯ নং মঙ্গলপুর ইউনিয়নের ইউ পি সদস্য আব্দুল খালেক।
২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে টি,আর/নগদ অর্থ কর্মসূচীর আওতায় বিরল উপজেলার ৯ নং মঙ্গল পুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মাহাতাবপুর পূর্ব আশ্রমের লেট্রিন নির্মানে ৪৭ হাজার পাঁচশত টাকা ইউনিয় পরিষদের মাধ্যমে বরাদ্দ দেওয়া হলে। ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য কমিটির কাছ থেকে ৫ জনের কাগজ পত্র ও স্বাক্ষর নেন।
ল্যাট্রিন নির্মানের বরাদ্দ আশ্রমকে দেওয়া হলেও ওয়ার্ডের ইউ পি সদস্য আব্দুল খালেক আশ্রমের চাঁদায় কেনা ইট ও বালু দিয়ে ব্যবহার করে শুধুমাত্র মিস্ত্রি ও তিন বস্তা সিমেন্ট কিনে কোন রকমে ল্যাট্রিনের কাজ সম্পন্ন করে। কাজ সম্পন্ন করার পরে কমিটির সভাপতিকে জানান যে সরকার থেকে যা বরাদ্দ ছিল তার থেকেও অনেক বেশি তিনি খরচ করেছেন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় আশ্রমটির এক কোনে বাঁশ বাগানের নিচে দেওয়াল ইটের তৈরী হলেও ল্যাট্রিনটির উপরের অংশ বাশের সাথে টিনের ছাদ কোন রকমে। এলাকার ও আশ্রমটির সাথেই রবিন গোপাল জগদীশ ও নব কুমারের সাথে এই টয়লেট সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন টয়লেটের ইট ও বালু তাদের চাঁদা দেওয়ার টাকায় কেনা হয়েছে। মেম্বার (আব্দুল খালেক) শুধু মিস্ত্রি ও সিমেন্ট খরচ বহন করেছেন। কিন্তু টয়লেটটির বরাদ্দের কথা জানালে তারা সবাই অবাক হয়ে যান। বরাদ্দের কথা জানতে পারলে তারা ইউ পি সদস্যের প্রতারণা বিষটি পরিষ্কার হয়ে যান। ঘটনা চক্রে উপস্থিত এল জি ইডি ও পি আই ও বিভিন্ন প্রকল্পের সাথে অংশ নেওয়া এক রাজ মিস্ত্রী জানালেন যদি টয়লেটটির নির্মানে বালু ও ইটও যদি মেম্বার সাহেব প্রকল্পের মধ্যেই রাখেন তবুও ল্যাট্রিনটি নির্মানে ১৪ থেকে ১৫ হাজারের বেশী কোন ভাবেই হতে পারে না। আর যেহেতু ইট বালু আশ্রমটির নিজস্ব তাহলে তো মেম্বার সাহেবের মিস্ত্রি খরচ বহন করেছেন। এ বিষয়ে আশ্রম বা মন্দির কমিটির সভাপতি বাবুল বাবু জানান তিনি ৪৭ হাজার ৫০০ টাকা বরাদ্দের বিষয়টি পরে জেনেছেন। যখন জেনেছি তখন কি আর করার আছে। ল্যাট্রিনটি নির্মানের খরচ গোপন করার চেষ্টা করলেও পরে তিনি ভাবোর দীঘি উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের সামনে ল্যাট্রিনটি নির্মানে ইট ও বালি মন্দিরের চাঁদার টাকায় কেনা স্বীকার করেন। তিনি বলেন শুধু কাগজ আর সই ছাড়া বরাদ্দের কোন টাকাই তারা চোখে দেখেননি। আশ্রমের ইট বালু কেনা ছিল এগুলো দিয়ে ল্যাট্রিনটি বানিয়ে দিয়েছেন। এতেও তার পকেট থেকে নাকি অনেক খরচ হয়েছে। উপজেলা থেকে টাকাটা তুলতেই নাকি মেম্বারের ১৫ হাজার টাকাও খরচ হয়েছে জানিয়েছেন ইউ পি সদস্য আব্দুল খালেক। ইউ পি সদস্য আশ্রমের সাথে প্রতারণা ও দূর্ণনীতি করে অন্যায় করেছেন। ইউ পি সদস্যের এমন প্রতারনা জেনেও তারা ঝামেলায় জড়াতে চান না।
আত্মসাৎ কারী ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক বরাদ্দ দিয়ে ল্যাট্রিনটির কাজ নিজে করার কথা স্বীকার করে বিস্তারিত উপজেলার পি আই ও অফিসের কম্পিঊটার কাম মুদ্রাক্ষরিক মাহাবুব আলমের সাথে যোগাযোগ করার কথা বলে ফোন কেটে দেন। এমন ঘটনায় উপজেলা পি আই ও অফিসার ও ইউপি সচিব স্পট জানান ল্যাট্রিন নির্মানের প্রকল্পটি প্রতিষ্ঠান কে বরাদ্দ দেওয়া।কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে কোন প্রকল্প দেওয়া হয় না। বরাদ্দের কোন টাকা তুলতেও ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা কেটে নেওয়াটাও সঠিক নয়
* সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
ইত্তেহাদ নিউজ, এয়ার পোর্ট রোড, আবুধাবী ,সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইমেইল: [email protected], web:www.etihad.news
এম এম রহমান, প্রধান সম্পাদক, ইত্তেহাদ নিউজ, এয়ার পোর্ট রোড, আবুধাবী, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে প্রকাশিত ও প্রচারিত