বরগুনা প্রতিনিধি : আওয়ামী লীগের ৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর চ্যালেঞ্জে বরগুনা-১ আসনে নৌকার ভাগ্য অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে বলে মনে করছেন সাধারণ ভোটাররা। বরগুনা সদর উপজেলা, আমতলী, তালতলী নিয়ে বরগুনা-১ আসন।
নৌকা প্রতীক পাওয়া টানা ৫ বারের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর প্রতিদ্বন্দ্বী খোদ আওয়ামী লীগের ৩ জন স্বতন্ত্রপ্রার্থী। এই তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকু, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মো. খলিলুর রহমান ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার ফোরকান।সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হলে গোলাম সরোয়ার টুকু লটারিতে ঈগল, খলিলুর রহমান ট্রাক ও গোলাম সরোয়ার ফোরকানকে কেচি প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকু, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মো. খলিলুর রহমান ও সাবেক উপজেলা চেয়ারমান গোলাম সরোয়ার ফোরকান তিনজনই আওয়ামী লীগ নেতা। সাধারণ ভোটারের একটা অংশ মনে করেন ভোটের মূল লড়াইটা হবে ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু নৌকার সঙ্গে গোলাম সরোয়ার টুকুর ঈগল মার্কার।
বরগুনা-১ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৯ শত জন। এর মধ্যে অর্ধেক নারী ও অর্ধেক পুরুষ ভোটার রয়েছেন। বরগুনা সদরে ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৩০ হাজার, আমতলী উপজেলায় এক লাখ ৭২ হাজার ও তালতলী উপজেলায় ৮০ হাজার। ভোটারদের ধারণা মানুষ ভোট দিতে গেলে এবং সুষ্ঠু নির্বাচন হলে নৌকা পরাজিত হবার সম্ভাবনা রয়েছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আমতলীর একজন গণমাধ্যমকর্মী জানান, মানুষ পরিবর্তন চায়। মানুষের মধ্যে এক ধরনের ক্ষোভ রয়েছে। তাই স্বতন্ত্র প্রার্থীর মাঝখান থেকে বিজয়ী হবার সম্ভাবনা রয়েছে।স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার ফোরকান সবচেয়ে দুর্বল অবস্থানে রয়েছেন বলে মনে করছে ভোটাররা। তিনি নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন অল্প কয়েকদিন আগে। অন্যদিকে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকু, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মো. খলিলুর রহমান।
আমতলীর বাসিন্দা গোলাম সরোয়ার ফোরকান এই আসনে শেখ হাসিনা বিজয়ী হবার পরে তার ছেড়ে দেওয়া আসনে উপনির্বাচনে পরাজিত হন। এ ছাড়াও উপজেলা চেয়ারমান নির্বাচিত হবার পরেও আদালতের রায়ে পদ হারিয়ে বসেন তিনি। আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদও ধরে রাখতে পারেননি তিনি। মো. খলিলুর রহমান বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাচনে কর্নেল খালেকের কাছে পরাজিত হবার পরে দলের শীর্ষ নেতাদের চাপের মুখে পড়েন। জেলা আওয়ামী লীগে এই কারণে তাকে কোনো পদও দেওয়া হয়নি। এক বছর আগে তিনি গণসংযোগ শুরু করেন। তিনি বলেন, এবারের নিবাচন সুষ্ঠু হলে আমি বিজয়ী হব। আমার ট্রাক প্রতীক মানুষের সঙ্গে মিশে আছে।গোলাম সরোয়ার টুকু বরগুনা সরকারি কলেজে দুইবার ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন তিনি। সর্বশেষ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তাকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়। গোলাম সরোয়ার টুকু বলেন, এলাকার মানুষ পরিবর্তন চায়। মানুষের মাঝে অনেক না পাওয়ার ক্ষোভ রয়েছে। দলের নেতা-কর্মীরাও যুগের পর যুগ ধরে বিভক্ত। আশা করি সাধারণ জনগণ ও বিভক্ত নেতা-কর্মীরা আমাকে মূল্যায়ন করবে।
আওয়ামী লীগের দলীয় তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীকে চ্যালেঞ্জ মনে করেন কি না জানতে চাইলে এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ মনে করি না। যারা বলে উন্নয়ন হয়নি এটা ঢাহা মিথ্যা কথা। সরকারের অনেক উন্নয়ন এই জেলাতেও হয়েছে।
* সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
ইত্তেহাদ নিউজ, এয়ার পোর্ট রোড, আবুধাবী ,সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইমেইল: [email protected], web:www.etihad.news
এম এম রহমান, প্রধান সম্পাদক, ইত্তেহাদ নিউজ, এয়ার পোর্ট রোড, আবুধাবী, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে প্রকাশিত ও প্রচারিত