বরিশাল অফিস : দীর্ঘ দিনের জমিজমা বিরোধের মামলায় সুবিধা করতে না পেরে অবশেষে অভিনব হয়রানীমূলক সাজানো মামলায় ঈদের আগ মুহুর্তে প্রতিপক্ষকে ফাঁসিয়ে কারাগারে পাঠাতে পেরে যেন তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছেন বাদীপক্ষের লোকজন। আদালতের দুই দফা নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও প্রতিপক্ষকে মিথ্যা অভিযোগের মামলায় কারাগারে পাঠিয়ে দ্রুত গতিতে ভবন নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বাদীপক্ষ। ঈদের দিনগুলোতে কারান্তরীণ থেকে জামিনে বের হয়ে এসব কথা বলেন ভুক্তভোগী বিসিসি ২৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত মোজাফফর খলিফার পুত্র মোস্তফা কামাল। তিনি আরো বলেন, যে মামলায় আমি হাজতবাস করেছি সেই ঘটনার সাথে আমার কোন প্রকার সম্পৃক্ততা নেই। পুলিশ প্রশাসন মামলাটি গ্রহণের পূর্বে সরেজমিনে সত্যতা যাচাই করলে আমাকে হাজতবাস করতে হতো না। তিনি আরো জানান, কিছুদিন পূর্বে ঐ বাদী পক্ষ আমার বিরূদ্ধে হয়রানী মূলক একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় আমাকে হেনস্তা করতে না পেরে আমার বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেন তারা। বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে নির্মাণ কাজ চালানোর জন্যই আমাকে এভাবে হেনস্তা করা হয়। কথিত বাদী পক্ষের পাতানো আত্মীয় আমার বিরূদ্ধে এয়ারপোর্ট থানায় মামলা দায়ের করে। এখন আবার আমাকে হুমকি ধামকিও দেওয়া হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ২৪ মার্চ নগরীর কাশিপুর আনসার অফিসের বিপরীত পার্শ্বে নির্মাণাধীন ভবনের শ্রমিকরা গোসল করতে যায় পাশের একটি পুকুরে। সেখানে স্থানীয় রুবেলের রেখে যাওয়া সাবান নিয়ে যায় শ্রমিকরা। পরে রুবেল এসে সাবান খুজে না পেয়ে শ্রমিকদের সাথে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। কয়েকজন শ্রমিক মিলে রুবেলকে বেধরক মারধর করে। খবর পেয়ে রুবেলের বাড়ির লোকজন আসলে পাল্টাপাল্টি মারামারি হয়। স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় সাবান চুরির ঘটনার তাৎক্ষণিক সমাধান হয়।উক্ত সাবান চুরির কাহিনীকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে তারা শ্রমিক আলমগীরকে দিয়ে এয়ারপোর্ট থানায় মামলা করান। সেই মামলায় মোস্তফা কামালকে ১নং আসামী করা হয় এবং ঈদের আগ মুহুর্তে মোস্তফাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। যা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। এমনকি যাদের সাবান চুরি হয়েছে তারাও মোস্তফা কামাল আসামী হওয়ায় হতবাক। তারা আরো বলেন, একটি জমি নিয়ে একটি দেওয়ানী মামলা, সংযুক্ত হেবা ঘোষণা ও বাটোয়ারা মামলা চলমান। সেই মামলার গাজী মইনদ্দিন গ্রুপের প্রতিনিধি হিসেবে মামলা পরিচালনা ও দেখাশোনা করছেন মোস্তফা কামাল।
নির্মাণাধীন ভবন মালিক সাংবাদিকদের বলেন, জমিতে নিষেধাজ্ঞা আছে কিনা সেটা দেখবে আদালত। মোস্তফা গংরা আমার নির্মাণাধীণ ভবনের শ্রমিকদের উপর হামলা চালায় ও মালামাল নিয়ে যায়। এ কারণে আমার শ্রমিক আলমগীর বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। তাতে একজন আটক হয়েছে শুনেছি। আমরা যা কিছু করি তা বুঝেশুনেই করি।
মামলার বাদী আলমগীর হোসেন বলেন, এই মারামারিটা মোস্তফা কামালই নাকি তার লোকজন দিয়ে করিয়েছে। সে কারনে তাকে আসামী করা হয়েছে। আমি ঘটনাস্থলে একটু পরে গিয়েছি তাই মোস্তফাকে ওখানে দেখিনি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, মামলা দায়েরের পর ১নং আসামী মোস্তফা কামালকে গ্রেফতার করি। অন্যান্য আসামীরা জামিনে রয়েছে। তদন্তপূর্বক প্রকৃত দোষীরাই আইনের আওতায় আসবে। যেহেতু উক্ত জমিতে স্থিতিবস্থা বজায়ের আদেশ রয়েছে, সেখানে কাজ চললে তা বিজ্ঞ আদালতকে জানানো উচিৎ।
বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাসুদ আলম চৌধুরী বলেন, মামলাটি তদন্তনাধীন। এখানে কোন নিরাপরাধ ব্যক্তি হেনস্তা হবেনা। তাছাড়া বিজ্ঞ আদালতের স্থিতিবস্থা বজায়ের নির্দেশের মধ্যে যদি এই দাগ থাকে তাহলে অবশ্যই কাজ চলার কথা না।
* সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়
ইত্তেহাদ নিউজ, এয়ার পোর্ট রোড, আবুধাবী ,সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইমেইল: [email protected], web:www.etihad.news
এম এম রহমান, প্রধান সম্পাদক, ইত্তেহাদ নিউজ, এয়ার পোর্ট রোড, আবুধাবী, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে প্রকাশিত ও প্রচারিত