ইত্তেহাদ নিউজ,কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুললেই মেলে কোটি টাকা। প্রতি তিন মাস পর পর মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়। বিপুল পরিমাণ টাকা ছাড়াও দানবাক্সে পাওয়া যায় বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার। দানবাক্সে কী পরিমাণ টাকা জমা পড়ল সে হিসাবের অপেক্ষায় থাকেন অনেকে। টাকা গণনা দেখতে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ছুটে আসেন উৎসাহী মানুষ। ঠিক এ কারণেই পর্যটকদেরও পছন্দের জায়গায় পরিণত হয়েছে এই ঐতিহাসিক মসজিদটি। শহরের হারুয়া এলাকায় নরসুন্দার তীরে প্রায় ১০ শতাংশ জমিতে পাগলা মসজিদ গড়ে ওঠে। বর্তমানে সেটি সম্প্রসারিত হয়ে ৩ একর ৮৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে কাজ করেন কবি ও লোকসংস্কৃতি গবেষক জাহাঙ্গীর আলম জাহান। তিনি জানান, এই মসজিদ সম্পর্কে বেশ কিছু জনশ্রুতি প্রচলিত আছে। যেমন- এক দিন দেখা গেল নদীর প্রবল স্রোতধারার মধ্যে মাদুরে আসন পেতে এক সাধক পুরুষ ভেসে আসছেন। তিনি প্রায় মাঝ নদীতে স্থির হয়ে যান। এভাবেই কয়েক দিন কেটে যায়। এরপর কয়েক দিনের মধ্যে সে স্থানটি শুকিয়ে চরে পরিণত হয়। কিন্তু সাধক তখনও ধ্যানে মগ্ন। স্থানীয় জেলেরা নদীতে মাছ ধরতে এসে এই দৃশ্য দেখে বিস্মিত হয়ে যান। তার পরের ঘটনা আরও চমকপ্রদ। পাশের রাখুয়াইল এলাকার জনৈক গোয়ালার একটি গাভী দুধ দিচ্ছিল না। গোয়ালা শত চেষ্টা করেও গাভীর বাঁট (ওলান) থেকে বের করতে পারছিলেন না এক ফোঁটা দুধও। গাভীটিকে নজরে রাখা হলো পুরো একটা দিন। দেখা গেল পাল থেকে হঠাৎ গাভীটি বিচ্ছিন্ন হয়ে পালাচ্ছে। তারপর নদী সাঁতরে সেই সাধকের চরায় উঠে আসে। সাধকের কাছে একটা পাত্র ছিল। গাভিটি সেই পাত্রে ওলানের সব দুধ ঢেলে দেয়। তারপর নদী সাঁতরে আবার ফিরে আসে পালে। কয়েকদিন এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি লক্ষ করেন গোয়ালা। তিনি নিশ্চিত হন, এ সাধক সত্যিকারের একজন কামেল পুরুষ। গোয়ালা পরম ভক্তি নিয়ে এক দিন সেই সাধক পুরুষের শিষ্যত্ব গ্রহণ করলেন। কিছুদিনের মধ্যে গোয়ালার অবস্থা। অভাবনীয় উন্নতি হলো। তার এই উন্নতি অন্যদেরও মধ্যেও সাড়া ফেলে দেয়। রাখুয়াইলসহ আশপাশের এলাকার তাঁতি, জেলেসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ দলে দলে শিষ্যত্ব গ্রহণ করতে লাগল। সাধক পুরুষের অলৌকিকতার খ্যাতি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে দিকিবিদিক। সেই শিষ্যরা সাধকের সেই চরাভূমিতে একটি হুজরাখানা তৈরি করে দেন। মৃত্যুর পর সাধককে হুজরাখানার পাশেই সমাহিত করা হয় এবং সেখানেই নির্মাণ করা হয় মসজিদ। সেটাই পরে পাগলা মসজিদ নামে পরিচিতি পায়। এই কাহিনি পুরোটাই জনশ্রুতিনির্ভর। এর পক্ষে কোনো ঐতিহাসিক প্রমাণ নেই।
গুরুদয়াল কলেজের সাবেক অধ্যাপক ও সাহিত্যিক জিয়াউদ্দীন আহমেদ। ১৯৭৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর তিনি তৎকালীন ‘দৈনিক বাংলা’ পত্রিকায় এ মসজিদ নিয়ে একটি নিবন্ধ লিখছিলেন। তাতে দাবি করেছিলেন, হয়বতনগরের প্রতিষ্ঠাতা দেওয়ান হৈবৎ খানের অধস্তন তৃতীয় পুরুষ জোলকরণ খানের বিবি সাহেবা মূলত এই পাগলা মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা। বেগম সাহেবা ছিলেন নিঃসন্তান এবং প্রজারা তাকে ‘পাগলা বিবি’ বলে ডাকতেন। স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে তিনি দেওয়ানবাড়ি থেকে একরশি দূরে নরসুন্দার তীরে এই মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। এই তথ্যও হয়বতনগর দেওয়ানবাড়ি থেকে পাওয়া। এর পেছনেও সুনির্দিষ্ট ঐতিহাসিক প্রমাণ পাওয়া যায় না। পাগলা মসজিদের সঙ্গে এ রকম নানা জনশ্রুতি জড়িয়ে আছে।
তবে ভৌগোলিক অবস্থান ও প্রাচীন তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এই এলাকায় এক সময় বৌদ্ধ, যোগী ও নাথযোগী সম্প্রদায়ের বসবাস ছিল। বিশেষ করে বর্তমান কাতিয়ারচর ও সগড়াসহ আশপাশের এলাকায় একসময় নাথযোগী ও বিভিন্ন লোকধর্মে বিশ্বাসী মানুষ বসবাস করতন। তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের একটি কেন্দ্র গড়ে উঠেছিল। এ থেকে অনুমান করা যায়, নরসুন্দারে জেগে ওঠা চরাভূমিতে হয়তো নাথযোগী সম্প্রদায়ের কোনো সিদ্ধ পুরুষ তার সাধনপীঠ প্রতিষ্ঠা করে তাতে যুগ সাধনায় রত ছিলেন। তার শিষ্য ছিলেন স্থানীয় গোয়ালা, তাঁতি, জেলে, মাঝি ইত্যাদি সম্প্রদায়ের লোকজন। এ সময় সমগ্র বাংলাদেশেই উল্লিখিত সম্প্রদায় ও গোত্রের নর-নারী যে গোরক্ষনাথের বিশেষ অনুরাগী ও অনুসারী ছিলেন মনে করা হয়। নিশ্চিত করে বলার উপায় নেই কোনটা সত্যি ইতিহাস।
পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন জেলা প্রশাসক। আর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পৌর মেয়র মো.পারভেজ মিয়া। তিনি জানান, পাগলা মসজিদের দানের টাকায় আন্তর্জাতিক মানের একটি ইসলামি কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। কমপ্লেক্সটি এশিয়া মহাদেশের মধ্যে অন্যতম স্থাপত্য হিসেবে বানানো হবে। এ জন্য আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ থেকে ১২০ কোটি টাকা। সেখানে একসঙ্গে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। ২০০ গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়া পাঁচ হাজার নারীর জন্য নামাজের আলাদা ব্যবস্থা থাকবে।
দান করেন কারা :
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুললেই মিলে কোটি কোটি টাকা। দানের এই টাকার পরিমাণ প্রতিনিয়ত শুধু বেড়েই চলেছে। দিনে তো বটেই, রাতের আঁধারেও অনেকে গোপনে এসে দান করে থাকেন মসজিদের দানবাক্সগুলোতে। টাকা ছাড়াও মেলে বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার। এ ছাড়া প্রতিদিন মসজিদে দান করা হয় হাঁস-মুরগি ও গরু-ছাগল। কারা দান করেন এসব টাকা এবং কোন খাতে ব্যয় হয় এসব অর্থ সে তথ্য জানার চেষ্টা করেছে দৈনিক বাংলা।
পাগলা মসজিদের নৈশপ্রহরী মো. মকবুল হোসেন। তিনি এই মসজিদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন ২৭ বছর। তিনি বলেন, ‘শুধু মুসলিম নয়, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষ এখানে এসে দান করেন। টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, বৈদেশিক মুদ্রা ছাড়াও প্রচুর পরিমাণ হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলও দান করেন অনেকে। করোনার শুরুতে যখন জনসমাগম বন্ধ ছিল, তখনো অনেকে গভীর রাতে এসে দানবাক্সে দান করেছেন।’ তিনি জানান, অতীতে এই মসজিদে কেবল আশেপাশের এলাকার মানুষ দান করতেন। আর এখন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন এসে টাকা-পয়সা দান করেন। এ ছাড়া বিদেশিরা অনেক সময় আসেন, পুরো মসজিদ ঘুরে দেখে যাওয়ার সময় দানবাক্সে বৈদেশিক মুদ্রা দান করেন।
মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান জানান, প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এসে দান করছেন এই মসজিদে। যারা দান করতে আসেন তারা বলেন, এখানে দান করার পর তাদের আশা পূরণ হয়েছে। আর এ বিষয়টির কারণেই এখানে দান করেন তারা।
ব্যয় হয় যেসব খাতে :
পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শওকত উদ্দিন ভূইয়া জানান, প্রতি মাসে পাগলা মসজিদের স্টাফ খরচ বাবদ ব্যয় হয় ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ২০২১ সালে দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত ১২৪ জন ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য এবং অসহায় ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার খরচের জন্য ১৭ লাখ ৬৩ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও করোনাকালীন সময়ে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, পাগলা মসজিদের টাকায় ২০০২ সালে মসজিদের পাশেই একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্টা করা হয়েছে। বর্তমানে এই মাদ্রাসায় ১৩০ জন এতিম শিশু পড়াশোনা করছে। মসজিদের টাকায় তাদের যাবতীয় ভরণপোষণ ও জামাকাপড় দেওয়া হয়ে থাকে। ওয়াকফ স্টেটের অডিটর দ্বারা প্রতি বছরের সেপ্টেম্বর বা অক্টোবর মাসে পাগলা মসজিদের আয়-ব্যয়ের অডিট করা হয়।
পাগলা মসজিদ ও ইসলামী কমপ্লেক্স পরিচালনা করার জন্য ৩১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি রয়েছে। এই কমিটিতে জেলা প্রশাসক সভাপতি এবং কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র সাধারণ সম্পাদক। এছাড়াও স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তি, আইনজীবী, সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা এই কমিটিতে আছেন।
বিগত দুই বছরে যে পরিমাণ টাকা জমা পড়েছে দানবাক্সগুলোতে:
২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি দানবাক্সগুলো খুলে পাওয়া গেছে ২ কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৫৪৫ টাকা, এরপর ১৯ জুন পাওয়া গেছে ২ কোটি ৩৩ লাখ ৯৩ হাজার ৪৯৪ টাকা, একই বছরের ৬ নভেম্বর পাওয়া গেছে রেকর্ড পরিমাণ ৩ কোটি ৭ লাখ ৭০ হাজার ৫৮৫ টাকা।
পরে ২০২২ সালের ১৩ মার্চ পাওয়া গিয়েছিল ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৫৩ হাজার ২৯৫ টাকা, ৩ জুলাই পাওয়া গিয়েছিল ৩ কোটি ৬০ লাখ ২৭ হাজার ৪১৫ টাকা, একই বছরের ২ অক্টোবর পাওয়া গিয়েছিল ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা।
আশপাশের দর্শনীয় স্থান :
কিশোরগঞ্জ জেলার উল্লেখযোগ্য ভ্রমণ স্থানের মধ্যে রয়েছে শহরের পূর্বদিকে নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান, সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়নের কাচারীপাড়া গ্রামে ফুলেশ্বরী নদীর তীরে অবস্থিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম বাঙালি মহিলা কবি চন্দ্রাবতীর বাড়ি। করিমগঞ্জ উপজেলার কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নে অবস্থিত ঈশা খাঁর জঙ্গলবাড়ি দুর্গ, পাকুন্দিয়া উপজেলা এগারসিন্দুরে অবস্থিত ঈশা খাঁর দুর্গ, শেখ শাহ মাহমুদ মসজিদ ও বালাখানা এবং শেখ সাদী মসজিদ। জেলার হোসেনপুর উপজেলার গাঙ্গাটিয়া জমিদার বাড়ি, শহরের গুরুদয়াল সরকারি কলেজের সামনের মুক্তমঞ্চ।
যেভাবে যাবেন
কিশোরগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠে গুরুদয়াল সরকারি কলেজ এবং কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের খুব কাছেই ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ অবস্থিত। কিশোরগঞ্জ শহরের যেকোনো এলাকা থেকে অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে পাগলা মসজিদে যেতে পারবেন।
ঢাকা থেকে ট্রেনে কিশোরগঞ্জ
রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে কিশোরগঞ্জ উদ্দেশে তিনটি আন্তনগর ট্রেন ছেড়ে যায়। এগারসিন্ধুর প্রভাতী বুধবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৭টায়, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে ও এগারসিন্ধুর গোধূলি প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ট্রেনের শ্রেণি অনুযায়ী ভাড়া নির্ধারিত রয়েছে। কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন থেকে অটোরিকশা রিজার্ভ করে পাগলা মসজিদ আসতে ৬০ থেকে ৭০ টাকা খরচে যাওয়া যাবে।
ঢাকার মহাখালী থেকে বাসে করে গাজীপুর হয়ে কিশোরগঞ্জ শহরের গাইটাল বাসস্ট্যান্ড আসতে পারবেন। ভাড়া পড়বে জনপ্রতি ৩৩০ টাকা। এ ছাড়া ঢাকার গোলাপবাগ (সায়েদাবাদ) থেকে যাতায়াত ও অনন্যা সুপার বাসে করে ভৈরব হয়ে গাইটাল বাসস্ট্যান্ডে যাওয়া যায়। বাস ভাড়া জনপ্রতি ৩৫০ টাকা। মহাখালী থেকে সময় লাগবে প্রায় ৪ ঘণ্টা এবং গোলাপবাগ থেকে সময় লাগবে সাড়ে ৪ ঘণ্টা। গাইটাল বাসস্ট্যান্ড থেকে ৩০ টাকায় রিজার্ভ অটোরিকশা ভাড়ায় সরাসরি পাগলা মসজিদ আসতে পারবেন। এ ছাড়া গাইটাল বাসস্ট্যান্ড থেকে লোকাল অটোরিকশায় জনপ্রতি ১০ টাকা ভাড়ায় বটতলা মোড়ে নেমে ৫-৭ মিনিট হাঁটলেই পাগলা মসজিদে পৌঁছা যাবে।
কোথায় খাবেন :
কিশোরগঞ্জ শহরে কাঁচালংকা, গাংচিল, তাজ, পানসী, ধানসিঁড়ি, ইস্টিকুটুম, দারুচিনি, কয়লা, ময়নামতি, হোটেল খাওয়া-দাওয়া, কোহিনূর ইত্যাদি রেস্টুরেন্টে পছন্দের খাবার খেতে পারবেন। এ ছাড়া অষ্টগ্রামে বিখ্যাত পনির খেতে চাইলে সুগন্ধা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ও রাজলক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে যেতে পারেন।
কোথায় থাকবেন :
কিশোরগঞ্জ শহরে রাত্রিযাপনের জন্য হোটেল আল মোবারক ,গাংচিল, নিরালা, হোটেল শেরাটন, রিভার ভিউ, উজান ভাটিসহ বেশ কিছু ভালো মানের আবাসিক হোটেল রয়েছে। এ ছাড়া যোগাযোগ করে জেলা পরিষদের ডাক-বাংলোতে থাকতে পারবেন।
সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায় ।
ইত্তেহাদ নিউজ, এয়ার পোর্ট রোড, আবুধাবী ,সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইমেইল: [email protected], web:www.etihad.news
এম এম রহমান, প্রধান সম্পাদক, ইত্তেহাদ নিউজ, এয়ার পোর্ট রোড, আবুধাবী, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে প্রকাশিত ও প্রচারিত