বরিশাল সিভিল সার্জন অফিসে স্বাস্থ্য সহকারী পদ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ


মামুনুর রশীদ নোমানী,বরিশাল :
বরিশাল সিভিল সার্জন অফিসে স্বাস্থ্য সহকারী পদ নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার (৩০ মে’২৫) লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ একাধিক পরীক্ষার্থী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা পরিচালকের কাছে ১ জুন এ বিষয়ে লিখিত আবেদন করেছেন।
লিখিত নিয়োগ পরিক্ষায় দুর্নীতি,ঘুস গ্রহন,নিয়ম বহির্ভূত সুযোগ সুবিধা প্রদান ও অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগ করেন আবেদনকারীরা।
আরও পড়ুন:
বরিশাল সিভিল সার্জন অফিস : টাকা ছাড়া মেলেনা কোন সেবা
বঞ্চিত প্রার্থীরা জানান, স্বাস্থ্য সহকারী পরীক্ষার আনুষ্ঠানিকতা শুরুর পর থেকেই নানা বিষয়ে সন্দেহ হচ্ছিল তাদের। নিয়োগ পরীক্ষার লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর সকলেরই এই সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর দেখা গেছে নানা অনিয়ম ও ভুলে ভরা।এ অবস্থায় মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করে পুনঃ লিখিত পরীক্ষা নেয়ার দাবি করেছেন তারা।
তাদের অভিযোগ,বরিশালের সিভিল সার্জন অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সহায়তায় লিখিত পরিক্ষায় প্রকাশ্যে নকলসহ সব দুর্নীতি হয়েছে। তারা এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করেছেন যেন পরিক্ষা টি পুনরায় সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়।
অভিযোগে পরীক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন২০১৮ সালের ১১ ডিসেম্বর ও ২০২৫ সালের ৮ এপ্রিল জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বরিশাল সিভিল সার্জনের কার্যালয় হতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে ‘স্বাস্থ্য সহকারী ‘ পদে চাকুরীর নিয়োগ পরিক্ষার জন্য আবেদন করেন।
গত ৩০ মে ২০২৫ তারিখ শুক্রবার বরিশাল টিটিসি তে নিয়োগের লিখিত পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।সেখানে পরীক্ষার সময় অধিকাংশ প্রার্থীরা যারা ঘুসের বিনিময়ে কর্তৃপক্ষের একটি অংশকে ম্যানেজ করেছিল তারা একজন অন্যজনের সহযোগীতায় পরিক্ষায় প্রকাশ্যে নকল, মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন এবং প্রশ্নের উত্তর দেখে লেখেন। এসময় সাধারন পরীক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করলে তাদের হল হইতে বের করে দেয়া, লাঞ্ছিত করার হুমকি দিলে সবাই তাৎক্ষণিক চুপ থাকতে বাধ্য হয়। ৩১ মে ‘২৫ তারিখ রাতে ওয়েবসাইটে লিখিত পরিক্ষার ফলাফল প্রকাশের খবর পেয়ে ওয়েবসাইটে ঢুকে তারা দেখেন যে পরিক্ষার ফলাফলে তাদের রোল নম্বর নাই।
অভিযোগকারীদের মধ্যে একজন পরিক্ষার্থী শাহাদাত হোসাইন বলেন,আমার এবার চাকরীর বয়স শেষ। খুব আশায় ছিলাম এ সরকারের আমলে নিরপেক্ষ পরীক্ষা হবে। কিন্তু এত দুর্নীতি আর নকল হয়েছে হলে, তা চিন্তা করার মত না। আমরা প্রধান উপদেষ্টা, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সহ স্বাস্থ্যের ডিজির দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যেন পরিক্ষা টি নতুন করে নেন তারা।
নিয়োগ পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করা আরেকজন পরিক্ষার্থী মোঃ জামাল । তিনিও আক্ষেপ নিয়ে অভিযোগ করেন যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে এ ধরণের দুর্নীতি মেনে নেয়ার মত না। ভাইবা পরিক্ষা স্থগিত করে দ্রুত এই লিখিত পরীক্ষা আবার নিতে হবে।নয়তো উচ্চ আদালতে যাওয়া ছাড়া পথ নেই আমাদের।
পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন ও দুর্নীতির বিষয়ে বরিশালের সিভিন সিভিল সার্জন ডাঃ এস.এম. মনজুর-এ-এলাহী বলেন,মহা -পরিচালকের নিকট পরীক্ষার্থীরা যে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে তা আমার জানা নেই।পরীক্ষা ফ্রেস পদ্ধতিতে এবং সম্পুর্ন নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছতার সাথে নেয়া হয়েছে।পরীক্ষায় অনিয়ম, দুর্নীতি বা ঘুস গ্রহনের অভিযোগ সম্পুর্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায় ।