অনলাইন ডেস্ক : ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর ফুলেফেঁপে উঠেছেন মো. সরোয়ার (৩৩)। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন দপ্তর থেকে কাজ ভাগিয়ে নিয়েছেন। এই সময়ে বদলির তদবির করে অবৈধ উপায়ে গড়েছেন কোটি কোটি টাকার সম্পদ।বরগুনা এলজিইডি অফিসের দুই কর্মকর্তাসহ অনেক দপ্তরের কর্মকর্তাকে বদলি করেছেন মোটা অংকের বিনিময়ে। নিজেকে পরিচয় করিয়েছেন সমন্বয়ক হিসেবে।
জানা গেছে, এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভুয়া নেতা সেজে ভয় দেখিয়ে এলজিইডি বিভাগ, জনস্বাস্থ্য বিভাগসহ অনেক দপ্তর থেকে কোটি কোটি টাকার কাজ ভাগিয়ে নিয়েছেন সরোয়ার। বর্তমানে বরগুনা জনস্বাস্থ্য বিভাগ থেকে নিজের লাইসেন্স না থাকায় ভাড়াকৃত লাইসেন্স দিয়ে তিনটি কাজ নিয়েছেন। সেখানে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার কাজ চলমান। এর মধ্যে ৫০টি গভীর নলকূপ ও একটি লেট্রিনের কাজ।
তাছাড়া এই সরোয়ার চলছেন বিভিন্ন নাম-পরিচয় দিয়ে। কখনো সোহাগ, স্বপন ও কখনো সুমন নামে বিভিন্ন দপ্তরে পরিচয় দিয়ে আসছেন।
স্থানীয়রা জানান, এই সরোয়ার চান্দখলী কদভানু মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষক ছিলেন। সেখানের দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেন। পরে এ নিয়ে একটি মামলা হলে তিনি এলাকা থেকে পালিয়ে যান। সেই মামলার একজন আসামি হয়ে সরোয়ার কিভাবে সমন্বয়ক হন! এখন শোনা যাচ্ছে তিনি এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, এনসিপির ভুয়া এই নেতা ২০২২ সালে বেতাগী উপজেলার চান্দখালীর কদভানু মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজে শিক্ষক থাকা অবস্থায় একই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেন। পরে ২০২২ সালের মার্চ মাসে বেতাগী থানায় তার নামে একটি মামলা রুজু হয়। মামলা নং ১১। সেই মামলায় তিনি এজাহারভুক্ত একজন আসামি।
শিক্ষার্থী অভিযোগ দিলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে তাকে ওই স্কুল থেকে চূড়ান্তভাবে অব্যহতি দেওয়া হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরগুনার অন্যতম নেতা রেজাউল করিম জানান, সরোয়ার নামে এনসিপির কেন্দ্রীয় কোনো নেতা আছে কিনা আমার জানা নেই। এনসিপির কেন্দ্রীয় সব নেতাকে আমি চিনি। সরোয়ার নামে এনসিপির কেন্দ্রীয় কোনো নেতা নেই। এটা শতভাগ নিশ্চিত। গত ৫ আগস্টের পর থেকে এ রকম ভুয়া অনেক নেতা বের হইছে। যাদের কাজই হচ্ছে মানুষকে হয়রানি করে স্বার্থ হাসিল করা। এসব ভুয়া নেতাদেরকে আইনের হাতে সোপর্দ করতে হবে।
এ বিষয়ে মো. সরোয়ারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি কোনো এনসিপির নেতা নই। একটি মাদ্রাসার শিক্ষক। বরগুনার প্রায় সব লোকে আমাকে চেনে। আমি একটু লেখালেখিও করি দৈনিক সকালের সময়ে। তাছাড়া আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
সৌজন্যে : যুগান্তর
ইত্তেহাদ নিউজ, এয়ার পোর্ট রোড, আবুধাবী ,সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইমেইল: [email protected], web:www.etihad.news
এম এম রহমান, প্রধান সম্পাদক, ইত্তেহাদ নিউজ, এয়ার পোর্ট রোড, আবুধাবী, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে প্রকাশিত ও প্রচারিত