বরিশালের গৌরনদীতে পুলিশের ধাওয়া’য় নদীতে ঝাঁপ, দুই দিন পর মিলল লাশ


বরিশালের গৌরনদীতে নিখোঁজের দু’দিন পর মো. সালাউদ্দিন (৩৫) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার উপজেলার পালরদী নদীর মিয়ারচর এলাকায় লাশ ভেসে উঠলে উদ্ধার করেন ডুবুরিরা।
সালাউদ্দিনের বাড়ি একই উপজেলার চর দিয়াশুর গ্রামে। তাঁর দুই ছেলে রয়েছে।
স্বজনরা বলছেন, সালাউদ্দিন মাদক ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। শুক্রবার রাতে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দেন বলে স্থানীয় কয়েকজন জানিয়েছেন। তবে পুলিশ বলছে, বিষয়টি তাদের ‘জানা নেই’।
সালাউদ্দিনের চাচা আব্দুল হাকিম বলেন, ‘সে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এলাকায় মাদক বেচাকেনা করত। তার বাবা মারা গেছে। আমিও বাড়িতে না থাকায় সালাউদ্দিন বিপথগামী হয়েছে। তার স্ত্রী জানিয়েছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এলাকার তিন-চারজন যুবক শনিবার জানায়, রাতে পুলিশের একটি দল ধাওয়া দিলে সালাউদ্দিন পালানোর সময় পালরদী নদীতে ঝাঁপ দেয়। শব্দ পেয়ে ওই যুবকরা টর্চলাইট জালিয়ে নদীর দিকে এগুলো তাদের সেখান থেকে চলে যেতে বলেন পুলিশ সদস্যরা। এরপর তারা সেখান থেকে চলে যায়। শনিবার গৌরনদী ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে একটি দল ঘটনাস্থলে এসে ঘুরে যায়।’
গৌরনদী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার বিপুল হোসেন জানান, ঘটনাস্থল ঘুরে গিয়ে বরিশালে ডুবুরি দলকে খবর দেন তিনি। ডুবুরিরা রোববার সকালে উদ্ধার অভিযানে নামেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে সালাউদ্দিনের লাশ ভাসতে দেখে উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন তারা।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি আফজাল হোসেন বলেন, সালাউদ্দিন পুলিশের ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন– এমন তথ্য তাঁর কাছে নেই। পরিবারও এমন কোনো অভিযোগ করেনি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।