Screenshot 2023 08 14 01 25 51 489 com.android.chrome2

লকাঠিতে ছাত্রলীগ নেতার পরিবারের দাবি পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ

print news

মো: ইমরান হোসেন

ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রুহুল আমিনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে দুই দফা পেটানোর অভিযোগ করেছেন পরিবারের সদস্যরা। ১৩ আগস্ট রবিবার দুপুরে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে রুহুল আমিনের বাবা আব্দুল খালেক হাওলাদার এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি ছেলের সুচিকিৎসা, মুক্তি এবং এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন। ছেলে বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ। তাঁকে সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগ এনে পুলিশ মামলা দিয়েছে। ভাঙা পায়ের চিকিৎসা না দিয়ে পরের দিন আহত ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। সিনিয়র জুডিশিয়াল বিচারক মো.মনিরুজ্জামান তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

 

FB IMG 1691954595700
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, ১০ আগস্ট রাত ৯ টার সময় জেলা পরিষদের সামনে একটি হোটেলে নাশতা খাচ্ছিলেন তাঁর ছেলে জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রুহুল আমিন (২৮)। এ সময় হোটেল মালিককে তিন ব্যক্তি গালাগাল করছিলেন। রুহুল আমিন তাঁদের নিষেধ করায় ওই তিন ব্যক্তি নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাঁকে মারধর করেন। একপর্যায়ে নিজেকে বাঁচাতে গিয়ে ধাক্কায় পুলিশ সদস্য আলাউদ্দিন আহত হন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করে তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ সদস্যকে মারধর ও সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ সদস্য আকরাম হোসেন বাদী হয়ে ঝালকাঠি থানায় এ মামলা দায়ের করেন। তাঁকে থানায় এনে ঝুলিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। এতে তাঁর একটি পা ভেঙে গেছে বলেও জানান তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই।

নির্যাতনের কারণে রুহুল আমিন দাঁড়াতে পারছিল না বলেও জানান তাঁর বাবা। এমন পরিস্থিতিতে তাঁকে হাসপাতালে সুচিকিৎসা না দিয়েই কারাগারে পাঠানো হয়। আহত রুহুল আমিনের সুচিকিৎসা ও অবিলম্বে তাঁর মুক্তি দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে। সংবাদ সম্মেলনে রুহুল আমিনের মা শেফালী বেগম, বোন রেখা আক্তার ও রিতু আক্তার উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে রুহুল আমিনের পরিবার দাবি করেন, হোটেলে নাশতা করার সময় যে ঘটনা ঘটেছে, এখানে পুলিশের কাজে বাধাদানের কোনো বিষয় ছিল না। অথচ পুলিশ মামলা দিয়েছে কাজে বাধাদানের অভিযোগ এনে। মিথ্যা এ মামলাটি প্রত্যাহারেরও দাবি জানান ছাত্রলীগ নেতার পরিবারের সদস্যরা। ঘটনার পর থেকে ওই দোকানটিও পুলিশ চাপ প্রয়োগ করে বন্ধ রেখেছে বলে জানান তাঁরা।নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, ‘পুলিশ সদস্যরা গাড়ির কাজ করে দোকানে নাশতা খেতে গিয়ে হামলার শিকার হন। তাই পুলিশ সদস্যকে মারধর ও সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে মামলা হয়েছে। রুহুল আমিনকে মারধর করা হয়নি। তবে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।

সংবাদটি শেয়ার করুন....

Check Also

89158cb347b1c8e5d0b7ad26c3f4545d 6645e0064c758

সাবেক এমপি পাপুলসহ ৩ জনের নামে দুদকের মামলা

ইত্তেহাদ নিউজ,ঢাকা : প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে পাঁচ বছরের আয়কর রিটার্ন ও রেজিস্ট্রার ঘষামাজা করে আয়, …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *