এম এ এইচ শাহীন: বাংলা সাহিত্যে ছড়ার কারিগর ও পল্লী চিকিৎসক মোঃ শামছুল হক এক অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব শত বাঁধা পেরিয়ে তিনি আজ সফলতার পথে সমালোচনা আলোচনাকে ডিঙিয়ে। নিজের মতো করে এগিয়ে চলার পথে এক আলোর দ্বীপ শিখায় অবতীর্ণ হন।
মানবিক গুণে স্মৃতিময় জীবন গল্পের নিরিখে জাতির ও জনজীবনে বিরাট ভূমিকা রেখে চলেছেন প্রতিবাদী ছড়াকার শামছুল হক দেশ-সমাজের নানা অসংগতি তাহার কলমে তুলে ধরেন সামাজিক সামগ্রিক উন্নয়নের এক সর্বময় যোদ্ধা।
বাংলাদেশের বিদ্রোহী কবি ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্য অনুরাগে উত্তরাধিকার হিসেবে তিনি ও জীবন যৌবনের অনেকটা কঠিনতম সময় পেরিয়ে এসেছেন। শিশুকালে তার মাতা রূপজান বিবি কে হারান পিতা মোঃ মোহন আলী (মুছন আলী)।
বিশিষ্ট এই গুণী কবি- ছড়াকার শামছুল হক, সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলায় দোলার বাজার ইউনিয়নের দক্ষিণ কুর্শি গ্রামে ১২-৪-৪৭ ইংরেজিতে নানার বাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। নানী সমলা বিবির তত্ত্বাবধানে লালিত পালিত হন।
১৯৬৬ সালে সিংহাপুর মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণীতে পড়াকালীন সময়ে লেখালেখির প্রতি তার গভীর আগ্রহ জন্মে ও সাহিত্যের প্রেমে তিনি জড়িয়ে যান। এ পর্যন্ত তাহার লেখা প্রায় ১০০০ হাজার, গান কবিতা ছড়া আছে এছাড়াও তিনি গল্প কিচ্ছা কাহিনী শিশুদের জন্য শিশুতোষ বই রচনা করেছেন এ পর্যন্ত ২৩ টি বই সম্পাদনা করে পাঠক মহলে সমাদৃত ও ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন।
লেখালেখির পাশাপাশি তিনি বেশ কিছুদিন ছাতক উপজেলাধীন তৎকালীন বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বর্তমানে রসূলপুর সরকারি প্রাইমারি স্কুলের দীর্ঘ ৯বছর শিক্ষকতা করেন। এবং বিভিন্ন মসজিদে ইমামতি ও করেন (ইকরছই) দাখিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল ও মঈনপুর হাই স্কুল থেকে মেট্রিক পাস করেন।
পরে তিনি সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ফার্মেসী বিভাগ কোর্স সম্পন্ন করে সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হন। স্থানীয় দোলার বাজারে মোহাম্মদী ফার্মেসী প্রতিষ্ঠা করেন এবং চিকিৎসা সেবা ঔষধ ব্যবসায় জড়িত রয়েছেন। এছাড়াও তিনি এলাকার সামাজিক উন্নয়নমূলক সংগঠনের সাথে সক্রিয় ছিলেন যেমন:
দিশারী সমাজ কল্যাণ সংস্থা।
অঙ্কুর সাহিত্য সংগঠন।
পল্লী মা সমাজ কল্যাণ সংস্থা।
রূপালী সমাজ কল্যাণ সংঘ।
আল ইখওয়ান সমাজকল্যাণ সংঘ।
এবং তিনি দোলার বাজার পোস্ট অফিসের ও দায়িত্ব পালন করেছেন।
বর্তমানে ছড়াকার শামছুল হক বাংলাদেশের বহুল সমাদৃত প্রথম সারির সাহিত্য সংগঠন (বাংলাদেশ পোয়েটস ক্লাব) সুনামগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সাহিত্যের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন।
অত্যন্ত সহজ সরল প্রকৃতির সাহিত্য প্রেমিক ছড়াকার শামছুল হক লিখে যাবেন জীবন-দেহে প্রাণ আছে যতদিন। লেখালেখি করার সুবাধে
ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে সামাজিক’ সাহিত্য সংগঠনে ভূমিকা রাখায়, নানা পদকে ভূষিত হয়েছেন।