প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অনলাইনে বদলির আবেদনে পদে পদে ভোগান্তি


ঢাকা প্রতিনিধি : দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অনলাইনে বদলির আবেদন নেওয়া হচ্ছে। শনিবার (৩০ মার্চ) শুরু হয়েছে এ আবেদন, যা চলবে সোমবার (১ এপ্রিল) পর্যন্ত। অর্থাৎ, আবেদনের জন্য মাত্র তিনদিন সময় পাচ্ছেন শিক্ষকরা। স্বল্পসময়ে অনলাইনে আবেদন করতে গিয়ে পদে পদে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা।সার্ভার জটিলতা, নিয়মের ‘ফাঁদ’ এবং ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) না আসায় আবেদন করতে পারছেন না বদলিপ্রত্যাশী শিক্ষকরা। এমন পরিস্থিতিতে অনলাইন আবেদনের সময় বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
ভুক্তভোগী শিক্ষকরা বলছেন, অনলাইনে আবেদন শুরুর পর থেকেই নির্ধারিত সার্ভার ডাউন। অনেক চেষ্টা করে ঢুকতে পারলেও আবেদন করা যাচ্ছে না। কখনো দেখানো হচ্ছে, ‘এ মুহূর্তে বদলি আবেদন চালু নেই’, আবার কখনো ‘বদলির সময়সীমা সমাপ্ত হয়ে গেছে’ দেখাচ্ছে। কেউ কেউ আবার ফরম পূরণ করে ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) পেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে হয়রান। পাশাপাশি বদলির নিয়মে কিছু সংযোজন করা হলেও সার্ভারে তা আপডেট না করায় নতুন শিক্ষকরা আবেদন করতে পারছেন না।
অনলাইনে আবেদন শুরুর পর থেকেই নির্ধারিত সার্ভার ডাউন। অনেক চেষ্টা করে ঢুকতে পারলেও আবেদন করা যাচ্ছে না। কখনো দেখানো হচ্ছে, ‘এ মুহূর্তে বদলি আবেদন চালু নেই’, আবার কখনো ‘বদলির সময়সীমা সমাপ্ত হয়ে গেছে’ দেখাচ্ছে। কেউ কেউ আবার ফরম পূরণ করে ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) পেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে হয়রান
অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের দাবি, একযোগে অনেকে সার্ভারে ক্লিক করায় মাঝেমধ্যে সমস্যা হচ্ছে। অনেকে সফলভাবে আবেদন করেছেন। সার্ভারের জটিলতা কাটিয়ে ওঠার জন্য তারা চেষ্টা করছেন। তারপরও যদি বদলিপ্রত্যাশী শিক্ষক থাকেন এবং তারা আবেদন করতে না পারেন, সেক্ষেত্রে সময়সীমা বাড়ানো হতে পারে।
অধিদপ্তর সূত্র ও প্রাথমিকের শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন, সারাদেশে বর্তমানে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এতে শিক্ষকের সংখ্যা তিন লাখ ৫৯ হাজারের বেশি। তাদের অর্ধেকই বদলিপ্রত্যাশী।
২০২২ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা করা হয়। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী ওই বছরের সেপ্টেম্বরে প্রথমবার অনলাইনে আন্তঃউপজেলা বদলির আবেদন নেওয়া হয়। সেসময় আবেদন করতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষকরা। এরপর আরও দুই দফা অনলাইনে বদলির আবেদন নেওয়া হলেও নানা অভিযোগ ওঠে।
প্রাথমিক শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়ন কমিটির সমন্বয়ক মু. মাহবুবর রহমান। শিক্ষকদের দাবি-দাওয়া নিয়ে বিভিন্ন সময়ে নেতৃত্ব দেন তিনি। মু. মাহবুবর রহমান বলেন, ‘সারাদেশে সাড়ে তিন লাখের বেশি শিক্ষক। যদি দেড় লাখ শিক্ষকও আবেদন করতে ওয়েবসাইটে ঢোকেন, স্বাভাবিকভাবেই সার্ভার ডাউন হবে। এজন্য বেশি সময় দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। তাছাড়া আবেদনটা যেহেতু অনলাইনে, এটা সবসময় চালু রাখা প্রয়োজন।’
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, ‘আবেদন করার জন্য আরও একদিন সময় আছে। দেখা যাক, কতগুলো আবেদন পড়ে। যদি দেখা যায় আবেদন কম পড়েছে কিংবা আবেদন করতে না পেরে অনেকে যোগাযোগ করছেন, সেক্ষেত্রে সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
* সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়