বরিশালে দুলাভাই ও সহযোগীদের হামলায় লিটু সিকদারকে কুপিয়ে হত্যা


বরিশাল অফিস : দাম্পত্য কলহের জেরে দুলাভাই ও তার সহযোগীদের হামলায় লিটু সিকদার নামে এক শ্যালকের মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় আহত হয়েছে অভিযুক্তের স্ত্রী, আরেক শ্যালকসহ তিনজন। এ ঘটনায় পুলিশ সাতজনকে আটক করেছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাত ৯টার দিকে নগরীর কাশিপুরের বিল্লবাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।নিহত লিটু বিল্লবাড়ী এলাকার সিকদার বাড়ির বাসিন্দা। তার লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। তিনি চারটি মামলার আসামি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা।আহতদের মধ্যে দুজন হলেন, লিটুর বোন মুন্নি বেগম ও ভাই সুমন সিকদার। তারা বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।পুলিশ বলছে, অনেক দিন আগে পারিবারিকভাবে বিল্লবাড়ী এলাকার গাজী বাড়ির বাসিন্দা জাকির গাজীর সঙ্গে সিকদার বাড়ির মেয়ে মুন্নি বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না।
নিহতের পরিবার জানায়, ঘটনার শুরু হয় পারিবারিক কলহ থেকে। লিটুর বোন মুন্নি বেগমের স্বামী জাকির হোসেন গাজী গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এই নিয়ে মুন্নি ও তার পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয় এবং উভয়পক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলা করে। বৃহস্পতিবার আদালত থেকে জামিন পেয়ে মুন্নি ও তার ভাইয়েরা পুলিশের সহায়তায় বাড়ি ফিরলে জাকির ও তার লোকজন বাড়িতে হামলা চালায়। প্রথমে পুলিশের উপস্থিতিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে হামলাকারীরা আবার ফিরে এসে বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এরপর লিটন সিকদারকে ঘর থেকে টেনে বের করে কুপিয়ে হত্যা করে। মরদেহ নেয়ার সময়ও হামলাকারীরা পুলিশের গাড়ি থামিয়ে তাকে ছিনিয়ে নেয় এবং শেষবারের মতো নির্মমভাবে কুপিয়ে ফেলে যায়।
আহত মুন্নি বলেন, ‘আমাকে না জানিয়ে জাকির দ্বিতীয় বিয়ে করে। এরপর থেকে আমার উপর নির্যাতন চালাতো। গত ২৭ জুলাই তারা আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করে। সেই মামলায় জামিন নিয়ে আমরা তিন ভাই-বোন বৃহস্পতিবার রাতে নিজ এলাকায় আসি। এ সময় অতর্কিতভাবে হামলা চালানো হয়। গাজী বাড়ীর লোকজনের করা এ হামলায় নেতৃত্ব দেন জাকির। এতে বড় ভাই লিটু ঘটনাস্থলে মারা যান। আমি ও ছোট ভাই আহত হয়।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, নিহত লিটুও এলাকায় নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মারধর ও নারী সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ ছিল। এমনকি কয়েকদিন আগে নিজের ভগ্নীপতিকে গোপনাঙ্গে বিদ্যুৎ শক দেন বলেও অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. রিয়াজ হোসেন বলেন, ওই এলাকার পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ইতোমধ্যে সাতজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রধান অভিযুক্ত জাকির পলাতক রয়েছে।
সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায় ।