ঝালকাঠিতে আ.লীগ নেতা ও আমুর ঘনিষ্ঠ প্রতাপের ফ্যাসিস্ট আলমগীর বহাল তবিয়তে : পাচ্ছেন অস্ত্রের লাইসেন্স!


মামুনুর রশীদ নোমানী: ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার ভৈরবপাশা ইউনিয়নের প্রতাপ গ্রামের মৃত রফিজ উদ্দিন হাওলাদারের পুত্র আলমগীর হোসেন আলম। ঢুবাই আলমগীর নামে পরিচিত। এই আওয়ামীলীগ নেতা ছিলেন আমুর খুব ঘনিষ্ঠজন হিসেবে।সোনার নৌকাও উপহার দিয়েছিলেন আমুকে।জায়গা দখলসহ বিতর্কিত কর্মকান্ডের জন্য বারবার হয়েছেন পত্র পত্রিকার শিরোনাম।সড়ক ও জনপথ বিভাগের সরকারি জায়গায় বঙ্গবন্ধু ক্লাব ও পাঠাগারের সাইনবোর্ড টানিয়ে দখল করেন। এ ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হলে নলছিটির তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুম্পা সিকদার দখলকৃত সরকারি জায়গায় অবৈধ ক্লাবের নির্মান কাজ বন্ধ করে দেন।
২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট পটপরিবর্তনের পর আলমগীর হোসেন গা ঢাকা দেন।তার বিরুদ্ধে তিন তিনটে মামলার নথিতে নাম থাকলেও মামলা দাখিলের পর নাম উধাও হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।ঝালকাঠির স্থানীয় একাধিক সুত্র জানিয়েছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বাদীর সাথে রফাদফা হওয়ার কারনে পুরো পাতা বদলে দেয়া হয়।
স্থানীয় সুত্র জানায়, আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর হোসেন ওরফে ঢুবাই আলমগীর টাকার জোরে ঝালকাঠিতে ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছেন । বর্তমানে সে বিএনপির লোক সাজার চেষ্টা করছেন।দিচ্ছে ডোনেশন। এই সময়ে সে অস্ত্রের লাইসেন্স নিতেছে ,এই খবরে অনেকেই হতবাক হয়েছেন।সুত্র জানায়, বিএনপির এক নেতা তদবির করছেন আলমগীরের অস্ত্রের লাইসেন্স পাবার জন্য।
সুত্র জানায়,রায়াপুরে একটি ইটের ভাটা পরিচালনা করতে গিয়ে ঐ এলাকার উঠতি বয়সি মেয়েদেরকে টাকা পয়সার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কু-প্রস্তাব দেয়। এক পর্যায়ে ঐ এলাকার যুবক মিরাজ হাওলাদর, রাহান মিয়া, রিয়াজ হাওলাদার সহ কয়েকজন এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে তাদের নামে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন । বর্তমানে মামলাটি ঝালকাঠি সিআইডি তে তদন্তনাধীন। মামলা নং ৯৫/২৪।
আলমগীর হোসেন আওয়ামী লীগের একজন ডোনার ছিলেন। করোনা কালীন সময়ে আমির হোসেন আমুর নামে তার নিজ ইউনিয়নে ৭ হাজার লোকের মাঝে খাবার বিতরন করেন। এমনকি আমির হোসেন আমুকে তার ঝালকাঠি শহরের নিজ বাড়ি উদ্বোধন অনুঠানে প্রায় ৬ ভরি ওজনের স্বর্ণের নৌকা উপঢৌকন হিসেবে প্রদান করেন। তিনি নিজ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবেন বলেও সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রচারে ছিলেন সবার শীর্ষে। বর্তমানে তিনি কার্য্যক্রম স্থগিত ঝালকাঠি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আল মাহমুদের পার্টনার হিসেবে ঠিকাদারি কাজে ব্যাস্ত রয়েছেন।
বর্তমানে আলমগীর হোসেন অস্ত্রের লাইসেন্স নেয়ার দৌড়ঝাপে ব্যাস্ত। তার ভাষ্যমতে এই সময়ে এই লাইসেন্স পেলে তার ক্ষমতা সম্পর্কে মানুষ বুঝতে পারবে।
স্থানীয় লোকজন ফ্যাসিস্ট আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তারের দাবী জানিয়েছেন।এলাকার লোকজন জানান,আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তার না করা হলে জুলাই -আগষ্ট আন্দোলনের শহীদদের আত্মা কষ্ট পাবে। অস্ত্রের লাইসেন্স পেলে হুমকির মুখে পড়বে জুলাই যোদ্ধারা।নিরাপত্তাহীনতায় থাকবে সাধারন মানুষ ও ছাত্র -জনতা।
এ ব্যাপারে আলমগীর হোসেনের মোবাইলে কল করা হলে তার নম্বর বন্ধ পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালামকে কল করা হলে তিনি কল রিসিভ করেন নি।
সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায় ।