বরিশালে শেবাচিম হাসপাতালের সংস্কার আন্দোলনের মাঝেই কিডনীসহ তিন বিভাগ বন্ধ


মামুনুর রশীদ নোমানী,বরিশাল :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্র সংগঠক মহিউদ্দিন রনি বরিশালে ২৮ জুলাই থেকে শেবাচিমসহ স্বাস্থ্য খাতের সংস্কারের জন্য তিন দফা আন্দোলন শুরু করেছেন।এ আন্দোলন চলাকালে ২ আগষ্ট শেবামেকের ভাইস প্রিন্সিপাল ডাঃ আনোয়ার হোসেন বাবলুর মৌখিক নির্দেশে বন্ধ হয়ে গেছে কিডনী,হেপাটোলজী ও গ্যাস্ট্রোলিভার বিভাগ।তবে ডাঃ বাবলু বলেছেন বন্ধ করা হয়েছে সাময়িক ভাবে। পুনঃরায় চালু করা হবে।এদিকে রোগীরা এ তিন বিভাগে রোগী ভর্তি বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পরেছেন স্বজনরা।তারা প্রকাশ করেছেন ক্ষোভ।অভিযোগ উঠেছে ডাঃ আনোয়ার হোসেন বাবলু ২০২৪ সালের ৫ আগষ্টের পরে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠেছেন।
তিন দফা দাবীতে ব্যতিক্রমধর্মী আন্দোলন
এদিকে ২৮ জুলাই তিন দফা দাবীতে মহিউদ্দিন রনির নেতৃত্বে ব্যতিক্রমধর্মী আন্দোলন করে আসছে বিভিন্ন পেশার লোকজন ও শিক্ষার্থীরা।দাবী গুলো হলো- শের–ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের সব সরকারি হাসপাতালে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল নিয়োগ, আধুনিক যন্ত্রপাতি ও ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করা; স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ দেশের সব হাসপাতালে দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধি, দলীয় লেজুড়বৃত্তিক চিকিৎসকদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা, ডিজিটাল অটোমেশন ও স্বচ্ছ জবাবদিহিমূলক টাস্কফোর্স গঠন; স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনকে জনগণের ভোগান্তির বিষয় শুনে তদন্ত সাপেক্ষে আবার সুপারিশ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে জোরদার পদক্ষেপ নেওয়া।
মহিউদ্দিন রনির সংবাদ সম্মেলনে যা বললেন :
আন্দোলনের ১৪ তম দিনে ১০ আগষ্ট বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদে ব্লকেড কর্মসুচী চলাকালে সাংবাদিক সম্মেলনে মহিউদ্দিন রনি বলেন,
‘যাদের রক্তের বিনিময়ের চেয়ারে বসেছেন সেই চেয়ারের সঙ্গে বেঈমানি কোনোভাবে মেনে নেওয়া হবে না। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে বরিশালে আসতে হবে। বরিশালে এসে তাকে সমস্যার সমাধান করার জন্য নিজে তদন্ত করতে হবে।তিনি বলেন, ‘২৪-এর জুলাইযোদ্ধা ও শহীদদের রক্তের বিনিময়ের চেয়ারে বসেছেন। সেই চেয়ারের সঙ্গে বেঈমানি কোনোভাবে মেনে নেওয়া হবে না। আমরা মরতে শিখেছি, আমাদের পুলিশদের ভয় দেখাবেন না, আমাদের সেনা দিয়ে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।স্বাস্থ্য উপদেষ্টার উদ্দেশে রনি বলেন, ‘আপনি নিশ্চয়ই শুনছেন আমাদের কথা। আমরা চোখে চোখ রেখে বলছি, আপনি যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বরিশালে না আসেন বরিশালের সমস্যার সমাধান না করেন। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই বরিশালের সব মানুষকে নিয়ে সারা বাংলাদেশের মানুষ ডাক দেব। আহ্বান জানাব, প্রত্যেকটা জেলায়, জেলায় প্রত্যেকটা ঘরে, ঘরে প্রত্যেকটা বিভাগে, বিভাগে রাজপথে আমরা আন্দোলনের দুর্গ গড়ে তুলব।তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের বুলেট দিয়ে কোনোভাবে থামিয়ে রাখা যাবে না। আমরা রাজপথে বুলেট খাওয়া লোক। আমাদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। শেখ হাসিনার মতো স্বৈরশাসককে ফেস করে আসছি। আমার সেনাবাহিনীকে চব্বিশেই দেখে আসছি।আমাদের ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি আপনি আসেন; তো আসলেন সমস্যার সমাধান করলেন তো করলেন। আর যদি না করেন তাহলে রাজপথে জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে, আপনি কোথায় যাবেন, কোন পথে পালাবেন।
শেবাচিম হাসপাতাল পরিচালকের প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
১০ আগস্ট শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর এর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় তিনি উল্লেখ্য করেন, রোগী ও স্বজনদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতালে সকল স্বেচ্ছাসেবী ট্রলি ম্যানকে বহিষ্কার করা হয়েছে। নতুন ৪৬ জন জনবল প্রাপ্তির পর বর্তমানে ট্রলি ম্যানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সরকারি স্টাফদের। হাসপাতালে রোগী বহনের সকল পুরাতন ট্রলি মেরামত ও নতুন করে আরো ট্রলি প্রদান করা হয়েছে। ৭টি মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। এই মনিটরিং টিম সকাল, বিকাল ও রাতে হাসপাতালের বহিঃ ও অন্তঃ বিভাগে মনিটরিং করেছেন। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের প্রেক্ষিতে ১০০টি সিলিং ফ্যান লাগানো, হাসপাতাল সকল টয়লেট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে অস্থায়ী ভাবে ৯০ জন হরিজন সম্প্রদায়ের সদস্যদের ব্যবস্থা করা, হাসপাতাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা উন্নয়নের নিমিত্তে ৮টি অটোমেটিক মেশিন চলমান আছে। আরো ১২টি অটোমেটিক মেশিন আগামী সেপ্টম্বরের শেষ নাগাদ সরবরাহ করা হবে। হাসপাতাল জীবানুমুক্ত রাখার জন্য ২০টি স্প্রে মেশিন আনা হয়েছে। যা চলমান আছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের প্রেক্ষিতে হাসপাতালের সকল টয়লেটের দরজা ও জানালা মেরামত ও পরিবর্তনের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ৩ দিনের মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন হবে। নতুনভাবে আরো ১০০টি বেড ক্রয়াদেশ দেয়া হয়েছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই বেড গুলো বসানো হবে। হাসপাতালে রোগীর দালাল, বাহিরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রতিনিধি, হকার ছদ্মবেশে হাসপাতালে প্রবেশকারীদের দেখা মাত্রই ধরে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অসংখ্য দালাল, প্রতারক ও হকারকে আটক করে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের হাসপাতালে অবাধে প্রবেশ প্রতিহত করা হয়েছে। ছাত্র জনতার অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতালের একজন ওয়ার্ড মাস্টার ও একাধিক স্টাফকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিযোগ তদন্তের গঠিত কমিটির তদন্তের কাজ চলমান রয়েছে। হাসপাতালের বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ বাক্স বসানো হয়েছে। অভিযোগ সংগ্রহ করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। হাসপাতালে নষ্ট লিফট মেরামতসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গণপূর্ত বিভাগকে অবহিত করা হয়েছে। অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা আরো জোরদার করার জন্য নতুন করে আরো অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের চাহিদা মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে। রোগী ও স্বজনদের সাথে ভাল ব্যবহারসহ সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য সকল নার্সদের সতর্ক করা হয়েছে। গত ৭ আগস্ট ২০২৫ ইং তারিখ হাসপাতালের সকল নাসিং ইনচার্জ এর সাথে জরুরি সভায় এই সতর্ক বার্তা দেয়া হয়েছে। নির্মাণাধীন ৪৬০ শয্যা বিশিষ্ট ক্যান্সার, কিডনি ও হৃদ্রোগ চিকিৎসা কেন্দ্রের কাজ নির্মাণ দ্রুত শেষ করে হস্তান্তরের বিষয়ে গত ৭ আগস্ট ২০২৫ ইং তারিখ জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে উক্ত ভবন নির্মাণকাজ শেষ হবে। একই ভাবে দ্রুততার সাথে বরিশাল শিশু হাসপাতাল চালুর প্রক্রিয়া হাতে নেয়া হয়েছে। ডা ডিসেম্বরে হস্তান্তর হওয়ার কথা। হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক, টেকনিশিয়ান, ৩য় ও ৪থ শ্রেনীর কর্মচারী এবং আউটসোসিং জনবল নিয়োগের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চাহিদা প্রেরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে টেলিথেরাপি, এমআরআইসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির চাহিদা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালের লিলেন প্লান্ট আধুনিকায়ন করণের নিমিত্তে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আগামী ২ মাসের মধ্যে এই কাজ সম্পাদন করা হবে।
পরিচালক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ্য করেন , বরিশাল বিভাগের ছয়টি জেলা ছাড়াও ঢাকা বিভাগের মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ কিয়দাংশ ও খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলার অনেক রোগীসহ দেড় কোটি মানুষের চিকিৎসার ভরসাস্থল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বরিশাল। ১৯৬৮ মাত্র ৫০০ শয্যার অবকাঠামো নিয়ে নির্মিত হয়ে ছিল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি। ৫৮ বছর পর হাসপাতালটির অবকাঠামোগত তেমন উন্নতি হয় নি। বর্তমানে গড়ে প্রতিদিন নতুন ভাবে ৭০০ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। ফলে হাসপাতালে অন্তঃ বিভাগে ভর্তি থাকেন প্রায় ৩ হাজার রোগী। বহিঃ বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন গড়ে প্রতিদিন ৩ হাজার রোগী। প্রতি ১ জন রোগীর সাথে তাদের স্বজন কিংবা দর্শনার্থী আসেন ৩ জন করে। মোট ৬ হাজার রোগীর সাথে ৩ জন করে স্বজন কিংবা দর্শনার্থী যোগ করলে ২৪ হাজার মানুষের সমাগম তার সাথে হাসপাতাল ও কলেজ ও হাসপাতালের ৫০০ চিকিৎসক, ১০০০ খানেক নার্স, হাসপাতালের প্রায় ৫০০ অন্যান্য স্টাফ, মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী, আইএইচটি শিক্ষার্থী, নাসিং কলেজের শিক্ষার্থীসহ আরো ৬ হাজার সেবাদানকারী। ওই ২৪ হাজার রোগী ও দর্শনার্থীর সাথে এই ৬ হাজার মিলিয়ে প্রতিদিন ৩০ হাজার মানুষের সমাগম ঘটে এই হাসপাতালে। কিন্তু অবকাঠামোগত কোনো উন্নতি না হওয়ায় মানুষের অতিরিক্ত চাপে হাসপাতালের টয়লেট ও পরিবেশ নোংড়া হওয়াসহ সর্বক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। শয্যা তুলনায় ছয় গুন রোগী ভর্তি হওয়ায় রোগীদের চিকিৎসা নিতে হয় মেঝে কিংবা বারান্দাতে। অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে এখানে পদায়নকৃত স্বল্প সংখ্যক চিকিৎসক ও নার্স এবং স্টাফদের।
মহিউদ্দিন রনিসহ আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা, আহতরা হাসপাতালে :
বরিশাল মেডিকেল হাসপাতালসহ স্বাস্থ্য সেবা খাত নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীর উপর সন্ত্রাসী হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা।বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে অংশ নেওয়া মহিউদ্দিন রনিসহ শিক্ষার্থীদের উপর প্রকাশ্যে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ১০ আগষ্ট রাত সাড়ে নয়টার দিকে বি এম কলেজের মসজিদ প্রাঙ্গণে কয়েকজন যুবক পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়।
হামলাকারীদের মধ্যে নথুল্লাবাদের বাপ্পি ও মোস্তাফিজ নেতৃত্ব দিচ্ছে বলে জানা গেছে। তারা লাঠি, লোহার রডসহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সোহানকে ঘিরে ধরে নির্মমভাবে পেটাতে থাকে।আহত সোহানকে ছাড়িয়ে নিতে তাৎক্ষনিক ভাবে উপস্থিত হন আন্দোলনের মুখ্য ভূমিকাধারী মহিউদ্দিন রনি।এসময় রনিসহ তার সাথে থাকা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালানো হয়।ঘটনাস্থলে আশেপাশের লোক চিৎকার করে থামানোর চেষ্টা করলেও হামলাকারীরা হামলা চালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হামলাটি পূর্বপরিকল্পিত ছিল এবং আন্দোলন দমিয়ে দেওয়ার জন্যই এ আক্রমণ চালানো হয়েছে। এতে আহত সোহানহ অন্যান্যদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এ ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে।
শেবাচিম হাসপাতালে তিন বিভাগ বন্ধ, দুর্ভোগে রোগীরা :
হঠাৎ করেই ২ আগষ্ট বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনী,হেপাটোলজী ও গ্যাস্ট্রোলিভার বিভাগে রোগী ভর্তি বন্ধ করা হয়।সুত্র জানায়,শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ডাঃ আনোয়ার হোসেন বাবলুর মৌখিক নির্দেশে বন্ধ রয়েছে এ তিন বিভাগের কার্য্যক্রম।সুত্র আরো জানায়,শেরেবাংলা মেডিকেলে ২০১৯ সালে কিডনী বিভাগ ও ২০২২ সালে হেপাটোলজী ও গ্যাস্ট্রোলিভার বিভাগ খোলা হয়।২০১৯ সাল থেকে ডায়ালাইসিস করানো হয়।বর্তমানে ২০টি মেশিনের মধ্যে ১৭টি সচল রয়েছে।মাত্র চারশত টাকার বিনিময়ে কিডনী রোগীরা ডায়ালাইসিস করতে পারে। যা প্রাইভেট ক্লিনিকে তিন হাজার থেকে চার হাজার টাকা।২০১৯ থেকে প্রায় দশ হাজার রোগীদের ডায়ালাইসিস করানো হয়ে এ পর্যন্ত।
বর্তমানে এ তিনটি বিভাগে রোগী ভর্তি নেই।পুর্বের রোগীদের রাখা হয়েছে সাধারন মেডিসিন ওয়ার্ডে।
এ ব্যাপারে ডাঃ আনোয়ার হোসেন বাবলু বলেন,তিনটি বিভাগ সাময়িক ভাবে বন্ধ করা হয়েছে।এখন যেখানে ছিল সেখানে বহির্বিভাগ করা হবে। পুরাতন ভবনে ঐ তিনটি বিভাগ স্থাপন করা হবে।
এ ব্যাপারে হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর সাংবাদিকদের বলেন,হাসপাতালের বিশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ চলমান রয়েছে।অতি সত্ত্বর আমরা একটা সুন্দর পরিবেশে ফিরিয়ে আনতে পারবো হাসপাতালটি।তিনি সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।
সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায় ।