ইত্তেহাদ নিউজ,অনলাইন : অন্তবর্তী সরকারের এক বছর পূর্তি হলেও রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকে কর্মরত ফ্যাসিবাদের দোসরগণ রয়ে গেছেন বহাল তবিয়তে। নতুন এমডি, চেয়ারম্যান দায়িত্ব নেবার পর ফ্যাসিবাদের দোসরদের ঢাকার বাইরে বদলি করার নির্দেশ দিলেও একজনকেও ঢাকার বাইরে বদলি করা হয়নি। তাদেরকে পূর্বের চাইতে আরো লোভনীয় পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কারণ হিসেবে জানা যায় ব্যাংকের ২ নং ডিএমডি আবুল বাশার নিজেই ফ্যাসিবাদের দোসর। বিগত লীগ সরকারের সর্বোচ্চ সুবিধাভোগী ছিলেন তিনি। সাবেক মন্ত্রী দীপু মনি ও মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়ার খোদ লোক চাঁদপুরের বাসিন্দা হিসেবে ঊর্ধ্বতন ও কর্তৃপক্ষের ওপর প্রভাব খাটিয়ে চালিয়েছেন লুটপাট। অবৈধ উপার্জন করেছেন কোটি কোটি টাকা। নিজ কন্যার নামে রাজধানীতে ৪টি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট সহ নিজ নামে বসুন্ধরা সিটিতে বাড়ি সহ অঢেল ধন সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, ডিএমডি বাসার পিডি’র দায়িত্বে থাকার কারণে সবাই তার হাতে জিম্মি। বদলি, পদোন্নতি সহ অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ মঞ্জুর প্রতিটি ক্ষেত্রেই লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সূত্রমতে ফ্যাসিবাদের দোসর ডিএমডি বাশারের ব্যাচমেট জিএম ফজলুল হককে প্রধান শাখার ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব দেন তিনি। যার আপন ভাই পাবনার আওয়ামীলীগ দলীয় এমপি ছিলেন। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি জিএম ফজলুল হকের পাঠানো একটা ফাইলে চেয়ারম্যান অনুমোদনে আপত্তি তুললে চেয়ারম্যানের সাথে ডিএমডি বাশারের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। পরবর্ততে চেয়ারম্যানের দপ্তর থেকে ঐ ফাইলটা অনুমোদন পায়। একারনে চেয়ারম্যান ও ডিএমডি বাশারের হাতে জিম্মি বলে একাধিক কর্মকর্তা জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যাংকের একজন ডিজিএম জানান সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে বসে ডিএমডি বাসার তার অপকর্মের সহযোগীদের নিয়ে গোপন বৈঠক করেন। সেখানে অপেক্ষাকৃত জুনিয়র এজিএমদের ডিজিএম পদে পদোন্নতি দেয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। এতে মাথাপিছু ২০ লাখ টাকা হারে উত্তোলনেরও সিদ্ধান্ত হয়। এই তালিকায় ২০০৮ ব্যাচের কর্মকর্তাদের প্রাধান্য দেয়া হয়। অথচ ৯৪, ৯৬, ৯৮ ব্যাচের কর্মকর্তাগন দীর্ঘদিন ধরে রয়েছেন পদোন্নতি বঞ্চিত। এ নিয়ে সিনিয়র এজিএমদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ইতো মধ্যে একটা খসড়া তালিকা ও করা হয়েছে। যে কোন সময় তাদের পদোন্নতি দেয়া হতে পারে বলে দীর্ঘ পদোন্নতি বঞ্চিত এজিএম গন আশংকা করছেন। এই কর্মকর্তা আরো জানান, বছর শেষ হতে চললেও কর্মকর্তা কর্মচারীদের বার্ষিক বোনাস, পদোন্নতি, মৃত কর্মচারীদের ঋণের সুদ মওকুফ, নির্বাহীদের গাড়ির ডেপটিসিয়েশন সহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ডিএমডি বাসার সাহেবের কোন মাথাব্যথা নেই। সর্বদায় ঘুষ বাণিজ্যের নেশায় নতুন ফন্দি ফিকিরে মগ্ন থাকেন। মৃত কর্মচারীদের ঋণের সুদ মওকুফ না করলেও মোটা অঙ্কের বিনিময়ে বিভিন্ন পার্টির শত শত কোটি টাকা সুদ মওকুফ করা হচ্ছে।
ডিএমডি বাসারের এহেন আচরণে ব্যাংকের সকল কর্মকান্ডে স্থবিরত দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে চরম হতাশা।
সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায় ।
ইত্তেহাদ নিউজ, এয়ার পোর্ট রোড, আবুধাবী ,সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইমেইল: [email protected], web:www.etihad.news
এম এম রহমান, প্রধান সম্পাদক, ইত্তেহাদ নিউজ, এয়ার পোর্ট রোড, আবুধাবী, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে প্রকাশিত ও প্রচারিত