শীর্ষনিউজ : আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আসন্ন এই নির্বাচন ঘিরে সবধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে ব্যস্ত সময় পার করছে দেশের বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এরই অংশ হিসেবে ৩শ’ সংসদীয় আসনের মধ্যে ২শ’ আসনে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে দলটি, যা ঘোষণা হতে পারে যে কোন সময়। যদিও প্রার্থীদের এই তালিকা সদ্য সমাপ্ত অক্টোবরের শেষে ঘোষণা করতে চেয়েছিল দলটি। তবে সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে সৃষ্ট কিছু রাজনৈতিক জটিলতায় সেটি পিছিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য (মেজর অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রার্থী চূড়ান্ত করতে ইতোমধ্যে সারাদেশের প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যরা। তিনি বলেন, অক্টোবরের শেষেই দলের পক্ষ থেকে একজন প্রার্থীকে টেলিফোন বা মেসেজের মাধ্যমে জানানোর কথা ছিল। গত কয়েকদিনের কিছু রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সেটি সম্ভব হয়নি। তবে খুব শিগগিরই প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ হবে। ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের মিত্র দলগুলোর কাছেও তালিকা চাওয়া হয়েছে। সেটা চূড়ান্ত করতেও একটু সময় লাগবে। সবমিলিয়ে তফসিলের পরই ঘোষণা হবে ৩শ’ প্রার্থীর নাম।
এর আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছিলেন, অক্টোবর মাসের মধ্যেই ২শ’ আসনে একক প্রার্থীদেরকে ‘সুবজ সংকেত’ দেওয়া হবে। তবে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশমালা নিয়ে সৃষ্ট রাজনৈতিক জটিলতায় আসনভিত্তিক প্রার্থী ঘোষণা সম্ভব হয়নি। সূত্রে জানা গেছে, নভেম্বরের প্রথমার্ধের যে কোনো দিন একক প্রার্থী ঘোষণা করা হতে পারে। সূত্রে আরও জানা গেছে, আগামী সোমবার রাতে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা। বৈঠকের ২/১ দিনের মধ্যেই প্রার্থী তালিকার ঘোষণা আসতে পারে।
ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে গত ২৬ ও ২৭ অক্টোবর দেশের ১০ বিভাগের প্রতিটি আসনভিত্তিক প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম, রংপুর, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর ও কুমিল্লা বিভাগের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরদিন ২৭ অক্টোবর মতবিনিময় করেন রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও ঢাকা বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে।
বৈঠকে তারেক রহমান সবাইকে বার্তা দেন, অনেক আসনেই একাধিক যোগ্য প্রার্থী রয়েছেন। তাই দল যাকে মনোনয়ন দেবে সবাই মিলে তাকে বিজয়ী করতে হবে। গত বছরের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন হলেও এখনও চূড়ান্ত বিজয় হয়নি। আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোটে জয়লাভ করার মাধ্যমেই কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে।
বিএনপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সংকট তৈরি করেছে। সেই সঙ্গে জামায়াতসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে, যে কোন মূল্যে তারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়। এজন্য তারা কখনও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন, কখনও জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবি নিয়ে বিশৃংখলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তবে বিএনপি বিশ্বাস করে, দেশের জনগণই সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে। গত ১৬ বছর ধরে জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল। ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার মাধ্যমে মানুষ তাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করবে বলে মনে করছেন বিএনপির নেতারা।
সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায় ।
ইত্তেহাদ নিউজ, এয়ার পোর্ট রোড, আবুধাবী ,সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইমেইল: [email protected], web:www.etihad.news
এম এম রহমান, প্রধান সম্পাদক, ইত্তেহাদ নিউজ, এয়ার পোর্ট রোড, আবুধাবী, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে প্রকাশিত ও প্রচারিত