বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে: প্রিয় মহিউদ্দিন স্যারকে হত্যা করা হয়েছে? না মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হয়েছে?


মামুনুর রশীদ নোমানী:
বরিশাল শহরের হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মহিউদ্দিন স্যার।মেধাবী এই শিক্ষকের মৃত্যু রহস্য এখনো উদঘাটিত না হওয়ায় জনমনে দেখা দিয়েছে অজানা শংকা। হালিমা খাতুনে সংঘটিত দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের কারনে তাকে স্কুলের অভ্যান্তরে ও বাইরে প্রান নাশের হুমকি দেয়া হয়।করা হয় লাঞ্চিত।লাঞ্চিক ও হুমকির কারনে ভুগতেছিলেন নিরাপত্তাহীনতায়।কোতয়ালী মডেল থানা ও বরিশালের জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন।রাষ্ট্র এগিয়ে আসেনি তার নিরাপত্তা দিতে।তদন্ত করেনি। তিনি লিখিত অভিযোগে কারা তাকে প্রান নাশের হুমকি দিয়েছিল সেসব নাম উল্লেখ করেছেন অভিযোগপত্রে।তিনি অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ে গেছেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত।তার দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন তদন্ত করে ৮২ পৃষ্ঠার তদন্ত রিপোর্ট মাউশির মহাপরিচালকের নিকট প্রেরন করেছে।সেই তদন্ত রিপোর্ট এখনো আলোর মুখ দেখেনি।হালিমা খাতুন স্কুলে নিয়োগে বড় দুর্নীতি হয়েছিল।সাবজেক্ট বহির্ভুত নিয়োগ।যাদের যোগ্যতা নেই তাদের নিয়োগ।এছাড়া বেশ কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা জাল সনদ দিয়ে নিয়োগ পেয়েছেন।এছাড়া স্কুলটির কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন একটি চক্র। এসব দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন মহিউদ্দিন স্যার। প্রতিবাদের কারনেই তাকে মৃত্যু বরন করতে হয়েছে? না মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। তাকে লাঞ্চিত ও প্রান নাশের হুমকি দেয়ার পরে শিক্ষকসহ সাধারন মানুষ মানববন্ধন করেছিলেন।
আরও পড়ুন:
বরিশালের হালিমা খাতুন স্কুলের শিক্ষক মহিউদ্দিনের রহস্যজনক মৃত্যু না হত্যা!
দুর্নীতি ও অনিয়ম এবং প্রান নাশের হুমকির বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া মেধাবী শিক্ষক মহিউদ্দিন স্যার পৃথিবী ছেড়ে চলে গেল না পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয়া হলো এ প্রশ্ন উঠেছে সর্বত্র । অন্যায়ের বিরুদ্ধে সারাজীবন প্রতিবাদ করে গেছেন মহিউদ্দিন স্যার। মহিউদ্দিন স্যারের মৃত্যু রহস্য উন্মোচন না হওয়া দুঃখজনক। তাঁর মৃত্যুর পর দূর্নীতিবাজ শিক্ষকরা আরো বেপরোয়া এবং যারাই তাঁদের বিরুদ্ধে কথা বলবে, তাঁদের পরিনতি মহিউদ্দিন স্যারের মত হবে এমন হুংকার দেযা হচ্ছে। হুমকিদাতা ও দুর্নীতিবাজদের বিচার না হলে এ সমাজে অন্যায় প্রতিষ্ঠিত হবে,এ সমাজ হবে দুর্নীতিবাজদের জন্য।
আরও পড়ুন:
বরিশালের হালিমা খাতুন স্কুলে অনিয়ম ও দুর্নীতির পাহাড়!
এছাড়া কোটি টাকার দূর্নীতি করেছেন স্কুলটির ক্রয় কমিটি। জেলা প্রশাসকের তদন্ত কমিটির কাছে তাঁরা অপরাধ স্বীকার করে কান্নাকাটি করেছেন, তাঁদের বিচার না হওয়ায় এখন তাঁরা আরও বেপরোয়া।
স্পষ্ট প্রমান থাকা সত্ত্বেও কেন মহিউদ্দিন স্যারকে লাঞ্চিত ও প্রান নাশের হুমকিদাতারা ফুরফুরে মেজাজে। কেন আটক করা হলোনা তাদের? এসব প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে নগরজুড়ে।
হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জাল সনদধারী শিক্ষক /শিক্ষিকা এবং দুর্নীতিবাজ, অনিয়মকারী ও অর্থ আত্মসাৎকারীদের বিচার না হলে মহিউদ্দিন স্যারের আত্মা কষ্ট পাবে বলে মনে করি।একই সাথে তার মৃত্যু রহস্য উদঘাটিত হোক এ প্রত্যাশা সকলের। এ প্রত্যাশা আমাদেরও।
লেখক : মামুনুর রশীদ নোমানী,সাংবাদিক।
[email protected] ।
সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায় ।