বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্লান শাখায় দুর্নীতির মহোৎসব!


বরিশাল অফিস : বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্লান শাখায় বসেছে দুর্নীতি আর ঘুস বানিজ্যের হাট।ঘুষ ছাড়া পাশ হয়না ইমারতের প্লান।গড়ে উঠেছে এক বড় সিন্ডিকেট।প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, আর্কিটেক্ট লুসান ও লোকমানের বাইরে ছোট মাঝারি ও বহুতল ভবনের প্লান পাশের সুযোগ নাই। সম্প্রতি ২৭৬ টি প্লান পাশ হওয়ার পরে নগর জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পরেই প্লানিং শাখায় চলছে লুটপাট। লুসান ও লোকমানের সহযোগিতায় পুরো সিন্ডিকের নিয়ন্ত্রন করেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
প্লানিং শাখায় কে এই লোকমান:
১৫ বছর যাবৎ প্লান শাখায়।এখানে লোকমানের ঘুস বানিজ্য সর্বোচ্চ তাই ঘুরে ফিরে প্লান শাখায়।অন্য শাখায় বদলী করা হলে ঘুস ও তদবীর করে প্লান শাখায় ফিরে আসেন।সকলের বদলী হলেও লোকমান থাকছেন বহাল তবিয়তে।
সাবেক সিটি মেয়র আহসান হাবিব কামালের সময়, সাদেক আব্দুল্লাহ সময় থেকে এখন পর্যন্ত রাজত্ব চালাচ্ছে প্লান শাখায়। যে দল ক্ষমতায় আসে সেই দলের লোকজনকে ম্যানেজ করে প্লানিং শাখায় বীরদর্পে থাকছেন। চাকরী তার ট্রেড লাইসেন্স শাখায় হলেও দায়িত্ব পালন করে আসছে গত একযুগ যাবত প্লান শাখায়। তবে সাদেকের সময় মাত্র তিন মাস প্লান শাখার বাইরে ছিল।
পাচঁ তলা ভবনে ওপর লোকমানকে দিতে হয় দুই থেকে তিনলাখ টাকা। ১০ থেকে ১৫/১৮ তলা প্লান পাশ করতে গুনতে হয় ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা, রাস্তা ছোট বড় যা থাকুকক না কেনো লোকমানের কাছে গেলেও বহুতল ভবনের প্লান পাশ। গত এক যুগ ধরে তিনি এই শাখায় রাজত্ব করছেন, সিটির প্রশাসনিক দপ্তর কে সর্বদা ম্যানেজ করে। আর্কিটেক্টকে সাথে নিয়ে, বর্তমান সিইও কে ম্যানেজ করে টিকে আছেন লোকমান। প্লান শাখা মানেই লোকমান। চতুর প্রকৃতির লোকমান ঘুসের বিনিময়ে এখন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নয়নের মনি।
লোকমান প্লান শাখা দিয়ে কয়েক কোটি টাকা কামিয়ে দিয়েছেন বর্তমান প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কে, তার সাথে রয়েছে চাকরী চুক্তির মেয়াদ শেষ হবার পথের পথিক আর্কিটেক্ট লুসান।
এই লুসান সাবেক মেয়রের আমলে খুলনা থেকে এসে চাকুরীতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এই ৩ জনের সম্পর্কটা এতো জটিল প্রধান নির্বাহী কর্মকতার স্ত্রী আত্বীয় স্বজন সবাই এই দুজন ( লোকমান, লুসান) এর নাম জানে। লোকমান তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হলেও গত এক যুগে কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়েছেন শুধুু প্লান শাখায় দায়িত্ব পালন করে। পাশাপাশি জমির ব্যাবসা, প্লানিং ফার্মের ব্যবসা তো আছেই। সম্প্রতি লোকমানকে দুদক তলব করেছিলো সহায় সম্পদ ও তথ্য চেয়ে।দুদক নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত করলেই থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে।লোকমানের কথায় প্লান পাশ হবার আগেই গ্রাহক বিল্ডিং এর কাজ ধরেন, আরআইরা বাধাঁ প্রদান করলে টাকায় সমাধান হয়। বহুতল ভবনের অনুমদনের ঘুসের টাকা ভাগ করেন সিইও ,আর্কিটেক্ট লুসান ও লোকমান।
বরিশাল সিটি করপোরেশন ইতিহাসে এরকম দুর্নীতিবাজ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিটি করপোরেশনে আসে নি। যিনি তার পূর্বের কর্মস্থল ভুমি অফিসের মতো সিটিকে ঘুস বানিজ্যের আখড়া বানিয়েছেন। প্লান শাখার এই সিন্ডিকেটের হাত থেকে বাচঁতে প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নগরবাসী।
এ ব্যাপারে লোকমান বলেন,প্লান শাখায় আয় রোজগার ভালো তাই এই শাখাটি আমার পছন্দের।তবে তিনি বলেন আমি জোড় করে কারো কাছ থেকে কোন ঘুস নেইনা,তবে কেউ খুশি হয়ে দিলে সেটা অন্য কথা।তিনি সংবাদ প্রকাশ না করে তার সাথে দেখা করার অনুরোধ জানান।
এ ব্যাপারে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী ও স্থপতি লুসানকে বিসিসিতে যেয়েও পাওয়া যায়নি,ফলে তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায় ।