অনুসন্ধানী সংবাদ

ক্রীড়া পরিদপ্তরে ভয়াবহ অনিয়ম -দুর্নীতি ও লুটপাট!

print news

ইত্তেহাদ নিউজ,অনলাইন : সম্প্রতি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ক্রীড়া পরিদপ্তর কর্তৃক বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি প্রকল্প বাস্তবায়নে ভয়াবহ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বরাদ্দকৃত সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ইতোমধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্তও শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৬ সেপ্টেম্বর দুদক এর সদর দপ্তরের সহকারী পরিচালক রুবেল হাসান ও উপসহকারী পরিচালক সুবিমল চাকমার নেতৃত্বে একটি টিম প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান পরিচালনা করে বেশ কিছু সন্দেহ জনক নথিপত্র জব্দ করে।

একটি সুস্থ সুন্দর সমাজ বিনির্মানে বাংলাদেশে ক্রীড়ার প্রসার, উন্নয়ন ও মানোন্নয়নের উদ্দেশ্যে প্রতি বছর দেশের ৬৪ জেলায় বাস্তবায়ন হয়- “বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি প্রকল্প”। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ক্রীড়া পরিদপ্তর এ প্রকল্পের দায়িত্বে থাকে। উদ্দেশ্য, তৃণমূল থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড় বেছে নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রতিযোগিতামূলক দল তৈরি করা হবে। কিন্তু বাস্তবে এ প্রকল্প শুধু কাগজেই থেকে যায়। মাঠে কোন কার্যক্রম দেখা না গেলেও, বরাদ্দের প্রায় সমুদয় টাকা ভাগবাটোয়ারা করে আংগুল ফুলে কলাগাছ বনে যান দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। এরই মধ্যে অভিযোগ উঠেছে কোন কোন ক্ষেত্রে বরাদ্দের শতভাগ অর্থও লুটপাট করা হয়েছে। অনুসন্ধানে দেখা যায়, কোন কাজ না করে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে একটি প্রকল্পের শতভাগই লুটপাট করা হয়েছে।

বরাদ্দের টাকার হিসাব আগে থেকেই শেষ দেখানো হয়। একই বিল-ভাউচার দিয়ে একাধিকবার টাকা তোলা হয়। নাম পরিচয়হীন প্রশিক্ষকদের নামে সম্মানীর বিল করা হয়। পুরোনো মাস্টাররোল ব্যবহার করে বছরের পর বছর নতুন বরাদ্দ তোলা হয়। এ যেন মগের মুল্লুক! দেখার কেউ নেই! সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, এই লুটপাটের সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে অন্যতম ক্রীড়া পরিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আলীমুজ্জামান, উপ-পরিচালক ফেরদৌস আলম, প্রধান সহকারী হাসান তারেক ও স্টোর কিপার ফিরোজ হাসানসহ একটি শক্তিশালী মাফিয়া সিন্ডিকেট। অফিস সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মাধ্যমে কথা বলে জানা গেছে এই সিন্ডিকেটের বাহিরে কোন কর্মকর্তা একদিনও টিকে থাকার সাহস বা ক্ষমতা রাখেনা। যা নিয়ে দপ্তরটিতে আছে নানা আলোচনা সমালোচনা।

প্রকল্পের বরাদ্দ
অনুসন্ধানে দেখা গেছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশের প্রতিটি জেলায় এ প্রকল্পে ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিভাগীয় আটটি জেলায় বরাদ্দ ছিল আরও ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে। কিন্তু প্রকৃত অর্থে এক টাকাও খরচ না করে প্রতিবারের মতো এবারও টাকাগুলো ভাগ করে নেওয়া হয়েছে কর্মকর্তাদের মধ্যে।

“ক্রীড়া পরিদপ্তরের সাবেক পরিচালক (যুগ্ম সচিব) আ ন ম তরিকুল ইসলাম নিজস্ব উদ্যোগে তদন্ত চালান। তার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি বাস্তবায়নে কোনো অর্থ ব্যয় হয় না। কার্যক্রম কাগজে দেখানো হয়, মাঠে নয়। পরিদপ্তরের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ করেন জেলা ক্রীড়া অফিসাররা।”

আগেই দেখানো খরচ

তদন্তে দেখা গেছে, বরাদ্দ প্রদানের আগেই ব্যয়ের হিসাব দেখানো হয়।
উদাহরণ হিসেবে দেখা যায়, ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর ক্রীড়া পরিদপ্তরে অর্থ বরাদ্দ আসে। ২০ ডিসেম্বর তা ৬৪ জেলার অফিসে পাঠানো হয়। অথচ এর আগেই চট্টগ্রামে সাঁতার প্রশিক্ষণ দেখানো হয়েছে অক্টোবর মাসে। ঢাকা জেলায় সাঁতার প্রশিক্ষণ দেখানো হয়েছে ১ থেকে ৩০ অক্টোবর। গোপালগঞ্জে ফুটবল প্রশিক্ষণ শেষ দেখানো হয়েছে ১৩ ডিসেম্বর। ফেনীতে অ্যাথলেটিকস প্রশিক্ষণ সম্পন্ন দেখানো হয়েছে ফেব্রুয়ারিতে।

কাগজে জালিয়াতি-
আগের নথিপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরের মাস্টাররোল ব্যবহার করে নতুন বরাদ্দের বিল তোলা হয়েছে। কোনো কোনো মাস্টাররোলে এক জায়গায় লেখা সোনাগাজী উপজেলা, আবার অন্য পৃষ্ঠায় লেখা দাগনভূঞা উপজেলা। এক জায়গায় লেখা ভলিবল প্রশিক্ষণ, আবার অন্য জায়গায় লেখা সাঁতার প্রশিক্ষণ।
কোথাও সাঁতার প্রশিক্ষণের ভাউচারে লেখা ফেনী সদর উপজেলা, অথচ মাস্টাররোলে লেখা সোনাগাজী উপজেলা। কোথাও প্রশিক্ষণের খরচ ৩০ অক্টোবর দেখানো হলেও বরাদ্দ এসেছে ডিসেম্বরের শেষে।

ভুয়া মাস্টার রোলে টাকা তোলা-
তদন্তে ধরা পড়ে, জেলা ক্রীড়া অফিসাররা নিজেরাই প্রশিক্ষণার্থীদের নাম লিখে মাস্টাররোল বানিয়ে জমা দেন। সব স্বাক্ষর এক হাতেই করা। এভাবে পটুয়াখালীর শাপাতুল ইসলাম তুলেছেন ৯৪ হাজার ৫০০ টাকা, ঝালকাঠির হুসাইন আহমেদ তুলেছেন ৭৫ হাজার ৬০০, গোপালগঞ্জের মনিরুজ্জামান তুলেছেন ২৪ হাজার, চট্টগ্রামের হারুন ওর রশীদ তুলেছেন ৬০ হাজার, ঢাকার রেজাউল করিম তুলেছেন ৬৩ হাজার, নাটোরের রফিকুল ইসলাম তুলেছেন ৭৫ হাজার, বগুড়ার মাসুদ রানা তুলেছেন ৮২ হাজার ৪০০, রাজশাহীর জাহাঙ্গীর হোসেন তুলেছেন ১২ হাজার ৬০০, নওগাঁর আবু জাফর মাহমুদুজ্জামান তুলেছেন ৩ হাজার ৭৫০, খুলনার জেলা ক্রীড়া অফিসার তুলেছেন ৩ হাজার ৩৬০ এবং জয়পুরহাটের আবু জাফর মাহমুদুজ্জামান তুলেছেন ১ হাজার ৮৭৫ টাকা।তদন্তে বলা হয়েছে, এভাবে সারা দেশেই একই পদ্ধতিতে অর্থ আত্মসাৎ করা হচ্ছে।

মারাত্মক সিন্ডিকেট-
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ লুটপাটের নিয়ন্ত্রক ক্রীড়া পরিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আলীমুজ্জামান, ফেরদৌস আলম, আজিম হোসেনসহ একাধিক কর্মকর্তা। এর সঙ্গে যুক্ত আছেন জেলা ক্রীড়া অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন, মনিরুজ্জামান, নাজিম উদ্দীন ভূঁইয়া, তানভীর হোসেন, মাসুদ রানা, আব্দুল বারী, আল আমিন (ময়মনসিংহ), হুসাইন আহমেদ, মাজহারুল মজিদ ও হারুন ওর রশীদ। এই সিন্ডিকেটের প্রধান হিসেবে নাম এসেছে সাবেক উপ-পরিচালক আক্তারুজ্জামান রেজা তালুকদারের।

বরাদ্দের আগেই খরচ-
সরকারি অর্থ বরাদ্দ পাওয়ার আগেই খরচ দেখিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে চিফ অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসে পাঠানো হয়। যেমন ঢাকা জেলার ক্রীড়া অফিসার রেজাউল করিম ৩০ অক্টোবরের মধ্যেই ব্যয় প্রতিবেদন জমা দেন, অথচ বরাদ্দ এসেছে ২০ ডিসেম্বর।

ভুয়া ভাউচারের আজব খেলা-
অফিসাররা নিজেরাই অফিসে বসে কম্পিউটারে ভুয়া ভাউচার তৈরি করেন। এসব ভাউচারে কোনো স্বাক্ষর থাকে না। পরে সেগুলো দাখিল করে পুরো বরাদ্দের টাকা তোলা হয়। এমনকি আগের বছরের ভাউচারও নতুন করে ব্যবহার করা হয়েছে। যেমন হারুন ওর রশীদ ফেনী জেলায় অ্যাথলেটিকস প্রশিক্ষণের যে ভাউচার ব্যবহার করেছেন, সেটি আসলে ২০২০-২১ অর্থবছরের।

প্রশিক্ষণের ভাউচার প্রতিযোগিতায়, প্রতিযোগিতার ভাউচার প্রশিক্ষণে ব্যবহার করারও প্রমাণ পাওয়া গেছে। যেমন চট্টগ্রামে সাঁতার প্রতিযোগিতার ভাউচার সাঁতার প্রশিক্ষণে ব্যবহার করেছেন হারুন অর রশীদ। নারায়ণগঞ্জে প্রতিযোগিতার ভাউচার প্রশিক্ষণের কাগজে ব্যবহার করেছেন হীরা আক্তার।

ক্রীড়া সামগ্রী আত্মসাৎ- প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য বরাদ্দ করা ক্রীড়া সামগ্রীও আত্মসাৎ করা হয়েছে। ঢাকার জেলা ক্রীড়া অফিসের রেজিস্টার ঘেঁটে দেখা যায়, বিনামূল্যে বিতরণের জন্য কেনা সামগ্রী অফিস সহকারী মালেকা বেগমকে বুঝিয়ে দিয়েছেন জেলা ক্রীড়া অফিসার রেজাউল করিম। রাজশাহীতে সাবেক অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন ইউনিসেফের ফান্ডে বাস্তবায়িত সাঁতার প্রকল্পকে সরকারি প্রকল্পের সঙ্গে মিলিয়ে বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

সাদা ভাউচার সিন্ডিকেট-
জেলা ক্রীড়া অফিসার, ঢাকা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন ও প্রভাষক, ঢাকা সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ মোঃ আব্দুল বারী এর যৌথ মালিকানাধীন ০৩ টি প্রতিষ্ঠানের (ভাই ভাই খেলাঘর, বি.টেক্স ও বিজনেস ওয়ার্ল্ড), ম্যানেজার কবির হোসেন কর্তৃক অর্থ বছর শুরুতেই বর্নিত ৩টি প্রতিষ্ঠানের সাদা (Blank) ভাউচার ৬৪ জেলা ক্রীড়া অফিসারবৃন্দের নিকট অগ্রিম পাঠিয়ে দেওয়া হয়- যা জেলা ক্রীড়া অফিসারবৃন্দ তাদের ইচ্ছা মতো লিখে দাখিলের মাধ্যমে সরকারি অর্থ উত্তোলন ও আত্মসাৎ করে, কোন ক্রীড়া কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা লাগে না। মাত্র ১০ টি জেলার ডকুমেন্টস যাচাইকালে বর্ণিত ৩ টি প্রতিষ্ঠানের মোট ২৪ টি ভাউচার পাওয়া যায়- যা এই কবির হোসেন এর ২০/২২ ধরনের স্বাক্ষর সম্বলিত।

বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসুচী বাস্তবায়নে বর্ণিত ৩ টি প্রতিষ্ঠানের সাদা (Blank) ভাউচার ব্যবহার করেছেন জেলা ক্রীড়া অফিসার যথাক্রমে মো: বকতিয়ার রহমান গাজী, খুলনা;ভাই ভাই খেলা ঘর ১৩৯২০/ টাকা এবং ৮৭৫০/- টাকা। মো: জাহাঙ্গীর হোসেন, রাজশাহী; বিজনেস ওয়ার্ল্ড ১৯২০০/- টাকা ও বিজনেস ওয়ার্ল্ডের ২৪৫০০/- টাকা।

এই জাহাঙ্গীর হোসেন বর্ণিত ৩ টি প্রতিষ্ঠানের মালিক)।
ক্রীড়ার মুখপাত্র, মো: মনিরুজ্জামান, গোপালগন্জ ৩টি প্রশিক্ষনের মধ্যে ৩টিতেই ব্যবহার করেছেন বিজনেস ওয়ার্ল্ড ২৪০০০/- টাকা, ভাই ভাই খেলা ঘর ১৭৫০০/- টাকা এবং ভাই ভাই খেলা ঘর ২৪৪০০/- টাকা। সাপাতুল ইসলাম, বরগুনা; ভাই ভাই খেলাঘর ১৯০০০/- টাকা ও ১৭২০০/- টাকা। আবু জাফর মাহমুদুজ্জামান, নওগাঁ; বি টেক্স ১০২৫০/- টাকা, নরেশ গাইন, ঝালকাঠি; বি. টেক্স ১০৫০০/- টাকা, রেজাউল করিম, ঢাকা; বিজনেস ওয়ার্ল্ড ৪৫০০/- টাকা, সাপাতুল ইসলাম, পটুয়াখালী (অ:দা); বি টেক্স ৯০০০/- টাকা, কর্তৃক প্রস্তুতকৃত ও দাখিলকৃত প্রায় সকল ভাউচার বর্নিত ৩ টি প্রতিষ্ঠানের, এভাবে যুগের পর যুগ বর্নিত ৩ টি (ভাই ভাই খেলা ঘর, বিজনেস ওয়ার্ল্ড ও বি.টেক্স) প্রতিষ্ঠানের Blank ভাউচার নিয়ে জেলা ক্রীড়া অফিসাররা নিজেদের ইচ্ছা মতো টাকার অংক লিখে হিসাব রক্ষন অফিসে দাখিলের মাধ্যমে সরকারি অর্থ উত্তোলন ও আত্নসাৎ করেন, কোন ক্রীড়া কর্মসুচী বাস্তবায়ন করা লাগে না। আবার ৬ টি সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজের অধ্যক্ষবৃন্দ কর্তৃক বর্ণিত ৩ টি প্রতিষ্ঠানের সাদা (Blank) ভাউচার প্রতিষ্ঠানের ক্রীড়া সামগ্রী ক্রয়ে ব্যবহার করা হয়। এগুলো দেখার কেউ নাই, দেখলেই হুমকি এবং আন্দোলন – অভিনব কৌশল অর্থ আত্নসাতের।

উল্লেখ্য, বর্ণিত ৩ টি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মোঃ কবির হোসেন, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা লেখা থাকলেও উক্ত ৩ টি প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত মালিক (বিভিন্ন সুত্রে প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক- যা যাচাইকৃত) মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা ক্রীড়া অফিসার, ঢাকা ও মোঃ আব্দুল বারী, প্রভাষক, ঢাকা সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ, ঢাকা (তারা সম্পর্কে আপন শালা দুলাভাই)। আর এই জেলা ক্রীড়া অফিসার, ঢাকা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন ক্রীড়া পরিদপ্তরের সিন্ডিকেটের সকল অপকর্মের অর্থের যোগানদাতা। আর বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচী সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে এবং ক্রীড়ার সম্প্রসারণ ও মানন্নোয়নের অন্যতম প্রধান অন্তরায় মো: জাহাঙ্গীর হোসেন ও মোঃ আব্দুল বারী এর যৌথ মালিকানাধীন উক্ত ৩ টি প্রতিষ্ঠান ভাই ভাই খেলা ঘর, বিজনেস ওয়ার্ল্ড ও বি.টেক্স।

অভিযুক্তদের প্রতিক্রিয়া-
পরিদপ্তরের বর্তমান পরিচালক মো. মোস্তফা জামান (যুগ্ম সচিব) বলেন- আমি ওই সময় ছিলাম না। তবে, এরকম অনিয়ম হলে অবশ্যই মেনে নেয়া যায় না।নিউ ক্লাসিক স্পোর্টস থেকে দরপত্র অনুযায়ী ক্রীড়া সামগ্রী সরবরাহের ২ মাস আগেই কিভাবে তার রিসিভ করা হল- এমন একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এটি মহা অন্যায়। এগুলো যারা করেছে তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। তবে বিষয়গুলো নিয়ে দুদক তদন্ত করছে বিধায় তিনি সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ করেন।

 

সর্বশেষ  গুরুত্বপূর্ণ  সব  সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের  ফেসবুক পেইজে  লাইক  দিয়ে  অ্যাকটিভ  থাকুন।  ভিজিট করুন : http://www.etihad.news

অনলাইন  নিউজ পোর্টাল  ইত্তেহাদ নিউজে  লিখতে  পারেন  আপনিও। লেখার বিষয়  ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন  [email protected] ঠিকানায় ।

সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক :

About Author

etihad news is one of the famous Bangla news portals published from Abudhabi-UAE. It has begun with a commitment to fearless, investigative, informative, and independent journalism. This online portal has started to provide real-time news updates with maximum use of Smart Technology.