বাংলাদেশ ঢাকা

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ২ প্রকল্পের পিডি ফ্যাসিবাদের দোসর তালহা জুবায়ের

print news

ইত্তেহাদ নিউজ,অনলাইন : কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওয়ামী দোসর পিডি তালহা জুবায়ের-এর ঘুষ দুর্নীতি সেচ্ছাচারিতা কারণে প্রকল্পের কর্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে। স্বৈরাচার লীগ সরকারের আমলে মাহাবুবুল আলম হানিফ এর অবৈধ্য ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ৬ষ্ট গ্রেড এর কর্মকর্তা হয়ে পিডির পদটি বাগীয়েনেন লীগের দোসর তালহা জুবায়ের। অথচ ডিপিপিতে পরিস্কার ভাবে উল্লেখ আছে পঞ্চম গ্রেড ব্যতিত্ব কেউ পিডি হইতে পারবেনা। তাহলে তালহা জুবায়ের টিস্যু কালচার ল্যাবরেটরি কাম হটিকালচার সেন্টার স্হাপন ও উন্নয়ন প্রকল্পের পিডি হয়েছিলেন কোন পথে।

সুত্রে যানা যায় বিগত স্বৈরাচারী লীগ সরকারের কেন্দ্রীয় নেতা মাহাবুবুল আলম হানিফ এর দেশের বাড়ি কুষ্টিয়াতে ও পিডি তালহা জুবায়ের এর বাড়ি একই এলাকাতে হওয়ায় মাহাবুবুল আলম হানিফ এর যোগসাজসে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাবেক কৃষি মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক কে প্রভাবিত করে পিডির পদ বাগীয়ে নেন দুনীতিবাজ কর্মকর্তা তালহা জুবায়ের। ছাত্র আন্দোলন বিরুদ্ধে প্রকাশ্য মিছিল মিটিং করা ও ৪ ই আগষ্ট ২০২৫ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিরুদ্ধে শান্তি সমাবেশ সহ মিছিল করে ছাত্র আন্দোলন দমাতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন তালহা জুবায়ের। এখন ভৈল পাল্টে বিএনপি পন্থী হিসেবে নিজেকে জাহির করছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাঝে। লীগের দাপট দেখিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলেছিলো বিগত লীগ সরকারের আমলে এখন বহাল তবিয়তে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন দেদারচ্ছে তিনি। ছাত্র হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি তালহা জুবায়ের কি ভাবে বহাল তরিয়াতে ঘুষ দুনীতি চালিয়ে যাচ্ছেন।

ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট আওয়ামিলীগের পতনের পর কৃষি মন্ত্রণালয়, ও অধিদপ্তরের অসংখ্য কর্মকর্তা-কর্মচারি পালিয়ে গেছেন বা গাঁ ঢাকা দিয়ে আছেন। কেউ কেউ হয়েছেন চাকরিচ্যুত। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের “ টিস্যু কালচার ল্যাবরেটরি কাম হটি কালচার সেন্টার স্হাপন ও উন্নয়ন প্রকল্পের” প্রকল্প পরিচালক তালহা জুবায়ের-এর ফ্যাসিস্ট আওয়ামিলীগ সরকারের দোসর হয়েও অর্থ ও বিশেষ ক্ষমতা বলে রয়ে গেছেন সকল ধরা ছোঁয়ার বাইরে।

ফ্যাসিস্ট আওয়ামিলীগের ছত্রছায়ায় কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছেন তিন ও সাবেক কৃষি মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক ও অধিদপ্তরের সাবেক ডিজি বাদল চন্দ্র মিলে মিশে। ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার অন্যতম সহযোগী সহযোগী মাহাবুবুল আলম হানিফ এর ছত্র ছায়ায় থেকে পিডি তালহা জুবায়ের প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করে বিভিন্ন অনিয়ম ও ভূয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার পরেও এখনো বহাল থাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার সর্তে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর একাধিক কর্মকর্তা জানান দুনীতিবাজ ঘুষখোর পিডি তালহা জুবায়ের এখন প্রকাশ্যে বলে থাকেন বর্তমানে কৃষি উপদেষ্টার সাথে রয়েছে নাকি তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। লীগের দোসর তালহা জুবায়ের মন্ত্রণালয়ের কর্তা ব্যাক্তী দের ম্যানেজ করে পুনরায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর অধিনে মিনি কোল্ড ষ্টোর স্হাপন প্রকল্পটির প্রকল্প পরিচালক এর পদটি বাগীয়ে নিয়ে মানিকগঞ্জ যশোর সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় মিনি কোল্ড ষ্টোর নির্মাণ করেছেন তিনি।

অভিযোগ রয়েছে তাঁর পছন্দের ঠিকাদার কে কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য গোপন দর প্রদান করে সেই ঠিকাদার কর্তৃক ২০/. হারে অগ্রীম কমিশন বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। মানিকগঞ্জে মিনি কোল্ড ষ্টোর নির্মাণ করেছেন অতি নিম্নমানের মালামাল দিয়ে। দরপত্রে সাথে নির্মাণ কাজের কোন মিল খুঁজে পাওয়া যাবে না। এই ভাবে রামরাজত্ব কায়েম করে চলেছেন তিনি। নারী কেলেংকারী তে পিছিয়ে নেই তালহা জুবায়ের তার অধিনে সুন্দরী কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিভিন্ন আঙ্গিকে ভঙ্গিতে স্পর্শ কাতর স্হানে হাত দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি বলে গোপন সুত্রে যানা যায়। তালহা জুবায়ের-এর স্ত্রী আফরিন বিনতে আজিজ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর অধিনে রংপুরে উপজেলা কৃষি অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন। তাঁর স্ত্রী কাছে না থাকার কারণে বেপরোয়া হয়ে নারী কেলেংকারী সঙ্গে সম্পৃক্ততা বেরে গিয়েছে। তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত নারী কেলেংকারী ও ঘুষ বানিজ্য থামাবেকে?

তালহা জুবায়ের-এর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে আহবান জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। তার বিরুদ্ধে কৃষি মন্ত্রণালয় ও দুদকে বিগত লীগ সরকারের আমলে অভিযোগ থাকলেও লীগের দাপটে সেই সকল অভিযোগ আজও পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের “ টিস্যু কালচার ল্যাবরেটরি কাম হটি কালচার সেন্টার স্হাপন প্রকল্পের” শীর্ষ দূর্নীতিবাজ প্রকল্প পরিচালক তালহা জুবায়ের গত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে ব্যাপক অনিয়ম এবং রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক বনে গিয়েছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের একজন প্রকল্প পরিচালক কিভাবে এত অর্থ সম্পদের মালিক হলেন তা বোধগম্য নয়।

উল্লেখ্য ব্যক্তি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে কোন নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের আস্থাভাজন দোসর হিসেবে দূর্নীতির একক রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের পরবর্তীতে অনেক দূর্নীতিবাজ আমলা এবং সরকারি কর্মকর্তারা গ্রেফতার হলেও অদৃশ্য ইশারায় তালহা জুবায়ের রয়েছেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে এবং রয়েছেন বহাল তবিয়তেই। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে তার বিরুদ্ধে দূর্নীতির বিস্তর অভিযোগ উঠলেও ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। প্রকল্পের কর্যক্রমের অর্থিক দুনীতি করে নিজেও চাষীদের কাছে অতি নিম্নমানের গাছের চাড়া বিক্রি করেন বিধি বহির্ভূত ভাবে কামিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।, প্রকল্পের পিডি পরে যোগদান করে তাঁকে আর পিছি ফিরে তাকাতে হয়নী। চলে তাঁর নেতৃত্বে গরেতোলা সিন্ডিকেট বাহীনিদিয়ে সংস্কার মেরামত কেনাকাটা সহ বিভিন্ন কাজে অনিয়ম দুনীতি।

যোগদানের পর থেকেই নানা অনিয়ম ঘুষ-দূর্নীতির অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। তার দূর্নীতি-অনিয়মের মাত্রা আরও বেড়েগেছে পতিত লীগ সরকারের পতনের পরর্বতী সময়ে । মিনি কোল্ড ষ্টোর স্হাপন প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে পদ টি বাগীয়ে নেওয়ার পরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে লুটের রাজত্ব কায়েম করেছেন। গড়েছেন বাড়ি, গাড়ি সম্পদের পাহাড়। ছাত্র জীবনে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ এবং পরবর্তীতে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে দাপটের সাথে অনিয়ম-দুর্নীতি করে ধরাছোঁয়ার বাইরে তালহা জুবায়ের ঢাকার মিরপুরে একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ক্রয় করেছেন তিনি মূলতঃ অবৈধভাবে উপার্জিত দেশের বিপুল পরিমাণ অর্থ তাঁর এক আত্মীয়র মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন মর্মে অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়। এছাড়াও কানাডাতে সেকেন্ড হোম হিসেবে দশ কোটি টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট ক্রয় করেছেন তাঁর আরেক আত্মীয়ের মাধ্যমে সেখানে ব্যবসা পরিচালনা করছেন তিনি । গ্রামসহ স্ত্রী, শ্বশুর বাড়ির আত্মীয়-স্বজন এবং নামে বেনামে গড়ে তুলেছেন বিঘায় বিঘায় জমি ও প্লট। এছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি টাকার ব্যাংক-ব্যালেন্চ। কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর দেশব্যাপী “ টিস্যু কালচার ল্যাবরেটরি কাম হটি কালচার সেন্টার স্হাপন ও উন্নয়ন প্রকল্প” বাস্তবায়ন করা হয়। কৃষক দের যুগোপযোগী করা প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণভাবে দেশের কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে অবদান রাখার কথা থাকলেও প্রকল্প পরিচালক তালহা জুবায়ের এর স্বেচ্ছাচারিতা এবং অনিয়মের দুনীতির কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে প্রকল্পটি।

কিন্তু দূর্নীতিবাজ প্রকল্প পরিচালক তালহা জুবায়ের-এর সঠিকভাবে বাস্তবায়ন না করে অধিদপ্তরের সাবেক ডিজি ও মন্ত্রণালয়ের কতিপয় কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে প্রকল্পে বিভিন্ন ভূয়া বিল ভাউচারে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার পাশাপাশি দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন দেদারসে। মহা দুনীতিবাজ ঘুষখোর পিডি তালহা জুবায়ের-এর দুনীতি এখনই থামাতে না পারলে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতে সময় লাগবেনা বেশি দিন। দুদক ও সংসৃষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর একাধিক কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

 

সর্বশেষ  গুরুত্বপূর্ণ  সব  সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের  ফেসবুক পেইজে  লাইক  দিয়ে  অ্যাকটিভ  থাকুন।  ভিজিট করুন : http://www.etihad.news

অনলাইন  নিউজ পোর্টাল  ইত্তেহাদ নিউজে  লিখতে  পারেন  আপনিও। লেখার বিষয়  ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন  [email protected] ঠিকানায় ।

সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক :

About Author

etihad news is one of the famous Bangla news portals published from Abudhabi-UAE. It has begun with a commitment to fearless, investigative, informative, and independent journalism. This online portal has started to provide real-time news updates with maximum use of Smart Technology.