প্রশাসনে জামায়াতের নিয়ন্ত্রন,সিন্ডিকেটের ঘুষ-দুর্নীতির মহোৎসব

শীর্ষনিউজ : নাম মো. ইয়ার উদ্দিন। বর্তমানে থাকেন রাজধানীর বিলাসবহুল থ্রি-স্টার হোটেল, হোটেল-৭১ এর বিশেষ একটি স্যুটে। কোনো এক সময় সরকারি প্রতিষ্ঠান- পানি উন্নয়ন বোর্ডে চাকরি করতেন বলে দাবি করেন তিনি। তবে তার এ পরিচয় নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আসল পরিচয় হলো তদবির পার্টির হোতা। ‘তদবির বাণিজ্য’ ছাড়া অফিসিয়ালি আয়ের অন্য কোনো উৎস্য নেই। বিলাসবহুল এই ত্রি-স্টার হোটেলে বসবাসের ব্যয়ভার কীভাবে বহন করেন ইয়ার উদ্দিন? এর জবাব নেই। আওয়ামী লীগ আমলেও তদবির বাণিজ্যে বেশ সাফল্য অর্জন করেছিলেন তিনি। তৎকালীন দুদক কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক খানের লেনদেনের এজেন্ট ছিলেন। মোজাম্মেল হক খান স্বরাষ্ট্র সচিব এবং পরে জনপ্রশাসন সচিব থাকাকালে ইয়ার উদ্দিনের তদবির ব্যবসা জমজমাট ছিল। তাকে নিয়ে তখন একটি কেলেঙ্কারি কাণ্ডও বেধে যায়। তবে মোজাম্মেল হক দুদকের কমিশনার হওয়ার পরে তার তদবির ব্যবসা আরো জমে উঠে।
ইয়ার উদ্দিনের এখন রাজনৈতিক পরিচয় হলো, তিনি জামায়াত নেতা। বর্তমান প্রশাসনের সবচেয়ে ক্ষমতাধর কর্মকর্তা, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের লোক। গ্রামের বাড়ি একই এলাকায়, সাতক্ষীরায়। কখনো কখনো মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে আত্মীয় বলেই পরিচয় দেন। সচিবের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি করেন। সচিবের পক্ষ থেকেই তিনি তদবিরের কাজের কন্ট্রাক্ট নেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের এই সময়ে ইয়ার উদ্দিন ছাড়াও এ ধরনের তদবিরের অনেক এজেন্ট তৈরি হয়েছে, যাদের খুঁটি হলো মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এদের কাউকে কাউকে হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে বিজ্ঞাপন দিয়েও আগ্রহী ‘পার্টি’ খুঁজতে দেখা গেছে। প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কমকর্তাদের লোভনীয় পদে পদায়ন এবং পদোন্নতির অফার দেয়াই এজেন্টদের কাজ। এরা যে পদ্ধতিতে কাজের চুক্তি করেন তার নজির অতীতে কখনো দেখা যায়নি, শোনা যায়নি, এমনকি কারো কল্পনায়ও ছিল বলে মনে হয় না।
বর্তমানে যিনি সমাজকল্যাণ সচিব পদে আছেন, ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ এই পদে পদোন্নতির আগে ইয়ার উদ্দিনের সঙ্গে ২৫ কোটি টাকার লিখিত চুক্তি করেন। তিনশ’ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লিখিত চুক্তিতে তিনি ইয়ার উদ্দিনকে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। এর বিপরীতে প্রতিটি ৫ কোটি টাকার ৫টি তারিখবিহীন চেক দেন তিনি। এই চুক্তিনামার পরেই আবু ইউসুফের সমাজকল্যাণ সচিব পদে পদোন্নতি ও পদায়ন হয়।
তদবির পার্টির অবাধ বিচরণ
লোভনীয় পদায়ন. পদোন্নতি প্রভৃতি সবকিছুতেই ঘুষ লেনদেনের মহোৎসব চলেছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশাসনে। এবং তা অনেকটা প্রকাশ্যেই। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হলো, স্ট্যাম্পে লিখিত চুক্তিতে এসব ঘুষ লেনদেন চলছে। প্রশাসনের সিনিয়র পর্যায়ে এমন কোনো কর্মকর্তা খুঁজে পাওয়া যাবে না, যাদের কাছে এ ধরনের তদবির পার্টির এজেন্ট অর্থাৎ ইয়ার উদ্দিন-রা যাননি। প্রশাসনের সিনিয়র, জুনিয়র, মধ্য সারির অনেক কর্মকর্তার সঙ্গেই এ বিষয়ে শীর্ষকাগজ প্রতিবেদকের কথা হয়েছে। ডিসি থেকে সচিব পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ের লোভনীয় পদায়ন ও পদোন্নতির পরামর্শক নিয়োগের অফার পাচ্ছেন। পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়া প্রত্যেকেরই এ বিষয়ে অভিজ্ঞতা হুবহু প্রায় একই। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, আমার কাছে যখন প্রথমে লোভনীয় পদায়নের অফার নিয়ে আসলো আমি তাদের বললাম, আমার এত টাকা নেই। তারা বললো, আপনাকে কোনো টাকা দিতে হবে না।
আপনি চেয়ারে বসলে আমাদের কিছু কাজকর্ম করে দেবেন। এখন শুধু একটা সম্মতিপত্র দেবেন। কী সম্মতিপত্র- এ প্রশ্নের জবাবে তারা বললো, আপনি ওমুক পদের দায়িত্ব পালন করতে সম্মত আছেন। অতিরিক্ত সচিব বললেন, এর পরে কী করতে হবে? তারা বললো, আমাদের সঙ্গে একটা চুক্তিপত্র করবেন। চুক্তিপত্রে উল্লেখিত শর্ত অনুসারে তারিখবিহীন চেক প্রদান করবেন। এসব চেকে উল্লেখিত অর্থ আপনাকে পরিশোধ করতে হবে না। আপনি শুধু কাজকর্ম করে দিলেই চলবে। কাজকর্মের মাধ্যমেই টাকা এসে যাবে।
পদায়ন-পদোন্নতির আলোচিত ঘুষ লেনদেন
সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু ইউসুফ ছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে আলোচনায় এসেছেন বাণিজ্য সচিব মো. মাহবুবুর রহমান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার লিখিত চুক্তিনামা ও তারিখবিহীন চেক-এর কপি ভাইরাল হয়েছে। কাস্টমস ক্যাডারের এই কর্মকর্তা আওয়ামী লীগ আমলে ফ্যাসিস্ট সরকারের অন্যতম সহযোগী ছিলেন। জয়-পলকের হয়ে অনেক অনিয়ম-অপকর্ম করেছেন। এমনকি এনআইডির তথ্য পাচার মামলায় তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এবং প্রতিমন্ত্রী পলকের সঙ্গে আসামীও। এই কর্মকর্তা অতিরিক্ত সচিব থেকে বাণিজ্য সচিব হতে ৩৫ কোটি, সেখান থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব হতে ৬০ কোটি এবং সবশেষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান হতে ৩০০ কোটি টাকার চুক্তি করেছেন। সব মিলিয়ে প্রায় ৩৯৫ কোটি টাকার এই পদোন্নতি বাণিজ্যের নেপথ্যে কারা রয়েছে সেই তথ্য উদঘাটনে সরকারের কোনো সংস্থাকে এখন পর্যন্ত উদ্যোগী হতে দেখা যায়নি। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ নুরুল বাসিরও সাম্প্রতিক সময়ে এ ধরনের ঘুষ লেনদেনের চুক্তির জন্য আলোচিত হয়েছেন। সাপ্তাহিক শীর্ষকাগজে ইতিপূর্বে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সৈয়দ নুরুল বাসিরের ৬০ কোটি টাকার ঘুষ লেনেদেনের চুক্তির তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
যেভাবে সিন্ডিকেট গড়ে উঠে
ড. মোখলেস উর রহমানের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তি ছিল। তবে আওয়ামী লীগ আমলে দুদকের সচিব থাকাকালে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট সংক্রান্ত মিথ্যা মামলা তৈরির মাধ্যমে তিনি নিজেকে প্রচণ্ডভাবে ‘বিএনপি বিরোধী’ হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। এই অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে সেটিই তারজন্য অনুকূল হয়েছে। জামায়াতের নীতিনির্ধারকরা সরকারের ছত্রছায়ায় ‘বিএনপি মাইনাস’ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ‘বিএনপি বিরোধী’ এই কর্মকর্তাকেই জনপ্রশাসন সচিব হিসেবে বেছে নেন।
এক দিকে ‘বিএনপি মাইনাস’ কর্মসূচি অন্যদিকে দলের জন্য ‘ফান্ড’ আদায়- এ দুটিই বাস্তবায়িত হয়েছে মোখলেস উর রহমানের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায়। এ বিষয়ে মোখলেস উর রহমানের প্রধান সহযোগী হিসেবে যিনি একনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন তিনি হলেন মো. এরফানুল হক। গত ২১ সেপ্টেম্বর মোখলেস উর রহমানকে এবং ৯ অক্টোবর এরফানুল হককে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এর আগ পর্যন্ত এদের যৌথ প্রযোজনায় চলছিল ঘুষ লেনদেন। এই সিন্ডিকেটের প্রধান ড. শেখ আবদুর রশীদ, যার কথা ইতিমধ্যেই উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এদের সবার গুরু হলেন উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। প্রশাসনে আওয়ামী লীগ এবং জামায়াতের সমন্বয়ে ‘জামায়াত লীগ’ প্রতিষ্ঠায় তিনিই প্রধান ভূমিকা রাখেন অন্তর্বর্তী সরকারের শুরু থেকে। ‘বিএনপি মাইনাস’ কর্মসূচির অংশ হিসেবেই এটি করা হয়। প্রশাসনে নিয়োগ, পদায়ন, পদোন্নতিতে ব্যাপকমাত্রায় ঘুষ প্রথার প্রচলনও হয় তার হাত দিয়েই। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে সচিবালয়ে চলে আসার পর আলী ইমাম মজুমদারের তেমন সরাসরি ভূমিকা না থাকলেও ড. শেখ আব্দুর রশীদ সিন্ডিকেটের সবাই তাকে গুরু হিসেবেই মানেন।
উপদেষ্টা পরিষদে প্রধান উপদেষ্টার পরই বর্তমানে যিনি সবচেয়ে প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত তিনি হলেন মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের দুই তৃতীয়াংশ বরাদ্দ তাঁর অধীন মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোয়। এই উপদেষ্টা সরাসরিই জামায়াতের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি নাকি জামায়াতের রুকনও। তবে কেউ কেউ তাকে সরকারের ভেতরে প্রতিনিধিত্বকারী জামায়াতের আমির বলেই আখ্যায়িত করে থাকেন। উপদেষ্টা পরিষদের প্রশাসন বিষয়ক যে কমিটি রয়েছেন এর একজন সদস্য উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছয় সদস্যের এই কমিটিতে আহ্বায়ক বা সদস্য সচিবের ক্ষমতার চেয়ে এই উপদেষ্টার ক্ষমতাই বেশি। কমিটির বৈঠকে তাঁর মতামতই বেশিরভাগ সময় গৃহীত হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি। এই উপদেষ্টার ক্ষমতার প্রভাবের কারণে অন্যরা টিকতে পারছেন না বা তাদের মতামত পাত্তা পাচ্ছে না।
এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব পদে যিনি আছেন ড. শেখ আব্দুর রশীদ, তিনিও জামায়াতের রুকন। তাকে প্রশাসনে জামায়াতের আমির বলা হয়ে থাকে। ড. শেখ আব্দুর রশীদ প্রশাসনের সবচেয়ে শীর্ষ পদে। ফলে এমনিতেই তার ক্ষমতার প্রভাব অনেক বেশি। তাছাড়া তিনি প্রশাসনে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব করছেন এবং একটি বিশাল নেটওয়ার্কের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সরকারি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এই কর্মকর্তার ‘শক্তিশালী নেটওয়ার্ক পরিচালনা ও অশুভ’ তৎপরতা সম্পর্কে আশংকা ব্যক্ত করেছে। ঘুষ লেনদেনগুলো হচ্ছে মূলতঃ এদের ছত্রছায়ায় এবং জ্ঞাতসারেই। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মুখ্যসচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া এবং সচিব মো. সাইফুল্লাহ পান্নাও একই সিন্ডিকেটের সদস্য।
জামায়াত নিয়ন্ত্রিত প্রশাসনে এমন প্রকাশ্য ঘুষের প্রচলন!
এটা কারো অজানা নয় যে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশাসন পুরোটাই এখন জামায়াত নিয়ন্ত্রিত। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের ‘বিএনপি মাইনাস’ কর্মসূচির সুযোগে জামায়াত এবং এনসিপি (বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সংগঠন) সরকারি দল হিসেবে আবির্ভূত হয়। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রশাসনসহ সরকারি দপ্তরগুলো দখল করে জামায়াত। বিএনপিকে পুরোপুরি ‘আউট’ করা হয়। জামায়াতের যেহেতু এতো লোকবল নেই, তাই বিএনপিকে আউট করতে গিয়ে আওয়ামী লীগকেও সঙ্গে নেয় দলটি। আর এর মধ্য দিয়েই প্রশাসন ‘জামায়াত লীগ’ নিয়ন্ত্রিত হয়ে গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গত কিছুদিন ধরেই একটি হিসাব ঘুরপাক খাচ্ছে। তাতে বলা হচ্ছে, প্রশাসনে এখন সচিব আছেন আওয়ামী লীগপন্থি ৩৪ জন, জামায়াতপন্থি ২৯ জন, বিএনপিপন্থি ৫ জন এবং সুবিধাবাদী ১০ জন। ‘সুবিধাবাদী’ এবং আওয়ামীপন্থি যারা আছেন এরাও জামায়াতেরই স্বার্থ রক্ষার কাজে নিয়োজিত আছেন। জামায়াতই তাদের সচিব পদে নিয়োগ করেছেন বা বহাল রেখেছেন।
জামায়াত নিয়ন্ত্রিত প্রশাসনে, ঘুষের এমন মহোৎসব চলবে এটা কারো কাম্য ছিল না, যারা সৎ লোকের শাসনের স্লোগান দিচ্ছেন। অবাক ব্যাপার হলো, এসব ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরও সরকার বা সরকারের কোনো সংস্থাকে এ ব্যাপারে সামান্যতমও তৎপর হতে দেখা যায়নি।
প্রশাসনের সিনিয়র পর্যায়ের একজন নারী কর্মকর্তার স্বামী সরকারের একটি সংস্থার চেয়ারম্যান পদে কর্মরত আছেন। তিনি এ প্রতিবেদককে তদবিরকারী এইসব এজেন্টদের কথা উল্লেখ করে বলেন, “আমার স্ত্রীর কাছে গিয়ে পাত্তা না পেয়ে আমার কাছে এসেছে। আমি তো তাদের কথাবার্তায় প্রথমে অবাক হয়ে যাই! এটাও কী সম্ভব. ঘুষের লিখিত চুক্তি করে তারিখবিহীন চেক লিখে দেয়া!” তাকে এ রকমের অনেক ঘটনার প্রমাণপত্র দেখানো হয়। এরপর তিনি আলাপ-আলোচনায় ওই এজেন্টদের কাছ থেকে জানেন, প্রাপ্ত অর্থের মোটামুটিভাবে তিনটি ভাগ হয়। তারমধ্যে বড় অংশটি যায় রাজনৈতিক দলের ফান্ডে। একটি ক্ষুদ্র অংশ পান এইসব মধ্যস্থতাকারী এজেন্টরা। আরেকটি বড় অংশ যায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে। সেখানে এই অর্থের বিভিন্ন ভাগবাটোয়ারা হয়। কোন্ রাজনৈতিক দলের ফান্ডে যায়, এ প্রশ্নের জবাবে তারা জামায়াত এবং এনসিপির কথা উল্লেখ করেছেন।
সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায় ।



