মতামত

ট্রুডোকে নিয়ে গুঞ্জন :পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রেমে পুড়ল প্রধানমন্ত্রীর ঘর

image 703114 1691082022
print news

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (৫১) এবং স্ত্রী সোফির (৪৮) বিচ্ছেদের খবর এখন ‘টক অব দ্য টাউন’। দীর্ঘ ১৮ বছরের সম্পর্কের ইতি টেনেছে জনপ্রিয় এ দম্পতি।
বিচ্ছেদের পরপরই ট্রুডোকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমজুড়ে শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন। নানান ধরনের জল্পনা-কল্পনায় নিজেদের মতামত জানাচ্ছেন নেটিজেনরা।
অনেকের ধারণা, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানিয়া জলির সঙ্গে সম্পর্কের জেরেই পুড়ল প্রধানমন্ত্রীর ঘর। তবে মেলানিয়া জোলি ও ট্রুডোকে নিয়ে এর আগেও অনেকবার মুখরোচক গল্প রটলেও এবার সেই গুঞ্জন যেন আরও জোরালো হয়ে উঠল। তবে পরকীয়া দোষেই শুধু নয়, ট্রুডোর ‘সমকামী’ কেচ্ছাও ঘুরছে সামাজিকমাধ্যমে। এপি।
বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রুডো দম্পতি বিচ্ছেদের ঘোষণা দেয়। সব অভিযোগের ঊর্ধ্বে মেলানিয়া জোলির সঙ্গে ট্রুডোর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককেই সবাই দায়ী করছে সম্পর্ক ভাঙার পেছনে।
২০২০ সালে মেলানিয়া জোলির সঙ্গে পরিচয় হয় জাস্টিন ট্রুডোর। ঠিক এক বছর পর, ২০২১ সালেই কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে আসেন মেলানিয়া জলি। এরপর দুজনকে একসঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে দেখা গেছে।
কারও কারও দাবি, ট্রুডোকে গভীর রাতে জোলির অ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। তবে কথিত এসব ব্যাপারগুলো নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। কেননা বিচ্ছেদের কারণ নিয়ে ট্রুডো দম্পতি কোনো মন্তব্য করেননি।
মেলানিয়া জোলি ১৬ জানুয়ারি, ১৯৭৯ সালে মন্ট্রিল, কুইবেকে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বর্তমানে তার বয়স ৪৪ বছর। ট্রুডোর লিবারেল পার্টি অব কানাডার একজন সদস্য। ২০১৫ সালের ফেডারেল নির্বাচনে তিনি এমপি নির্বাচিত হন।
২০১৩ সালের মন্ট্রিল পৌরসভা নির্বাচনে, জোলি মেয়র পদে দাঁড়িয়েছিলেন এবং চূড়ান্ত বিজয়ী ডেনিস কোডেরের থেকে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন।
২০১০ সালে কানাডিয়ান সাংস্কৃতিক সম্প্রদায়ের মানবিক কার্যকলাপের জন্য তিনি আর্নল্ড এডিনবরো পুরস্কার জিতেছিলেন। এরপর তাকে ২০১৩ সালে জাস্টিন ট্রুডোর লিবারেল পার্টি অব কানাডার নেতৃত্বের প্রার্থিতা নির্বাচিত করা হয়েছিল।

সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ ডেস্ক :

About Author

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *