অনুসন্ধানী সংবাদ সংবাদ

লোভে ব্যবসায়ী খোয়ালেন ৫ কোটি টাকা

image 704967 1691580816
print news

দ্বিগুণ লাভের প্রলোভনে পড়ে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা খুইয়েছেন চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী মো. বোরহান। তিনি প্রতারিত হয়েছেন চট্টগ্রামের এক সময়ের বহুল পরিচিত ব্যবসায়ী চাঁন মিয়া সওদাগরের নাতি সাইমুনের মাধ্যমে। সাইমুনের পুরো নাম শাহাদাত বিন আশরাফ। নিজেকে ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দিলেও মূলত প্রতারক। এটাই তার পেশা। প্রতারণার ক্ষেত্রে দাদা চাঁন মিয়া সওদাগরের ইমেজকে কাজে লাগান তিনি। ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টের (সিআইডি) তদন্তে বিষয়টি উঠে এসেছে।

প্রতারণার অভিযোগে এরই মধ্যে চট্টগ্রামের আদালতে সাইমুনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছেন সিআইডি প্রধান কার্যালয় ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম শাখার পুলিশ পরিদর্শক মনিরুজ্জামান। খবর সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য সূত্রের।

সিআইডি সূত্র জানায়, এক বন্ধুর মাধ্যমে ৩৭ বছর বয়সি শাহাদাত বিন আশরাফ ওরফে সাইমুনের সঙ্গে পরিচয় হয় বোরহানের। ওই সময় সাইমুন নিজেকে চট্টগ্রামের বিখ্যাত

ব্যবসায়ী চাঁন মিয়া সওদাগরের নাতি বলে পরিচয় দেন। পরিচয় থেকে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে সখ্য। একপর্যায়ে সাইমুন নিজেকে চট্টগ্রামের বড় বড় ব্যবসায়ীদের পার্টনার ও খাতুনগঞ্জভিত্তিক আমদানি-রপ্তানিকারক হিসাবে নিজেকে উপস্থাপন করেন। ধীরে ধীরে বোরহানের বিশ্বস্ততা অর্জন করেন সাইমুন। বিশ্বস্ততার দাবি থেকে দ্বিগুণ লাভের প্রস্তাব দিয়ে বোরহানের কাছে পাঁচ কোটি টাকা দাবি করেন। সাইমুনকে বিশ্বাস করে ২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত ১৬টি ব্যাংকের ৪১টি হিসাবের মাধ্যমে ওই টাকা প্রদান করেন বোরহান। এরপর থেকেই বোরহানের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় সাইমুন। শুধু বোরহানের সঙ্গেই নয়, আরও অনেকের সঙ্গেই এভাবে প্রতারণা করেছেন সাইমুন।

সিআইডি জানায়, সাইমুনের প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে বোরহান ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানায় একটি মামলা করেন। পাশাপাশি সাইমুনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ এনে বিষয়টি নিয়ে তদন্তের জন্য সিআইডি প্রধানের কাছে অবেদন করেন। অনুসন্ধান শেষে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় সিআইডি বাদী হয়ে গত বছরের ৬ মার্চ একটি মামলা করেন। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ অনুযায়ী চান্দগাঁও থানার ওই মামলায় ১৭ জুলাই চট্টগ্রামের আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। চার্জশিট প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত, সাক্ষীদের দেওয়া বক্তব্য, বিভিন্ন ব্যাংকের হিসাব বিবরণী, ভিকটিমের টাকা জমার ভাউচার ও পারিপার্শ্বিকতা পর্যালোচনায় ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এতে আরও বলা হয়, প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আÍসাৎ করে তা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তর করেছেন সাইমুন। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ তৈরি করেছেন। বোরহানের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া টাকা দিয়ে সাইমুন পাওনাদারদের দেনা পরিশোধ করেছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ ডেস্ক :

About Author

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *