বরিশাল বাংলাদেশ

খুলনা-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কে খানাখন্দ : ঘটছে দুর্ঘটনা

Untitled 1
print news

রাজাপুরের খুলনা-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গা থেকে পিচ উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে মাঝারি থেকে বড় আকারের খানাখন্দ ও গর্ত। বষ্টিতে এসব খানাখন্দে কর্দমাক্ত বালু-পাথর মিশ্রিত পানি জমে তা ছিটকে পথচারীদের পোশাকসহ দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। আহত হয়েছে অনেকেই। বৃষ্টির এ সময়ে চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ছোট-বড় যাত্রিবাহী গাড়ির যন্ত্রাংশ। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বাগড়ি বাঁশতলা এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানের কয়েক কিলোমিটারজুড়ে সড়কের বিভিন্ন জায়গা থেকে পিচ উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে মাঝারি থেকে বড় আকারের খানাখন্দ ও গর্ত। প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক বেশি দুর্ঘটনায় পড়ছে। বাস চালক মাহবুব, আলমগীর ও সাইদুল জানান, পদ্মা সেতু হওয়ার পর দ্রুত সময়ে যাত্রী পৌঁছে দিতে হচ্ছে কিন্তু সড়ক এভাবে ভাঙ্গার কারনে গাড়ি চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে। অনেক সময় গাড়ির যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মোটরসাইকেল চালক কালাম, মিজু ও ফিরোজ জানান, গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে সড়কের গর্তে পানি জমে থাকায় গর্ত বোঝা যাচ্ছে না। এতে করে অপরিচিত চালকরা দুর্ঘটনার শিকার হয়ে আহতও হচ্ছেন। ইজিবাইক চালক, সালাম, হাসিব ও আল আমিন জানান, সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যান চলাচলে চরম দুর্ভোগ হচ্ছে। খানাখন্দে গাড়ির চাকা পড়ে আটকে যায়। স্বাভাবিকভাবে গাড়ি চালানো সম্ভব হচ্ছে না। গাড়ির যন্ত্রাংশের চরম ক্ষতি হচ্ছে। খুলনা-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কটি পদ্মা সেতুর চালু হবার পর গাড়ির চাপ বেড়ে যাওয়ায় বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তারমধ্যে উপজেলার কয়েক কিলোমিটারের সড়কের বিভিন্ন অংশ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এ সড়কে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোটবড় দুর্ঘটনা। এ অবস্থায় শিগগিরই সড়কটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা। এছাড়া পানি ছিটকে রাস্তার পাশ থেকে শিক্ষার্থীসহ যাতায়াতকারীদের পোশাক নষ্ট হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এটি। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে। যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ থাকায় সড়কের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। এতে যাত্রী ও যানবাহন চালকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন জানান, কয়েক বছর আগে সড়কটি সংস্কার করা হয়েছিল। এখন সড়কের বিভিন্ন স্থানের অল্পকিছু এলাকায় খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিতে তা বেড়ে যাচ্ছে এবং বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শিগগিরই ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংষ্কার করে দেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ ডেস্ক :

About Author

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *