অর্থনীতি

মুলাদীতে কৌশলে বিকাশের ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

bkash ddr
print news

মুলাদীতে কৌশলে বিকাশের ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এক দোকানদারের বিরুদ্ধে। উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের সোনামদ্দিন বন্দরের দোকানদার শিপন হাওলাদারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে। শিপন হাওলাদার উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে। দোকানে আসা সাধারণ মানুষের বিকাশ পিন সংরক্ষণ করে চলতি বছর আটমাসে ২০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সে। এঘটনায় প্রতারিত বিকাশ গ্রাহকরা গতকাল শনিবার বোয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দিয়েছেন। টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে শিপন ইতোপূর্বে পুলিশের হাতে ৪ বার আটক হয়েছিলো বলে অভিযোগ রয়েছে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা না করার মুচলেকায় ছাড়া পেয়ে আবার একই কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। জানা গেছে, সোনামদ্দিন বন্দরে হাওলাদার মোবাইল সেন্টার নামে একটি দোকান রয়েছে শিপনের। গ্রামের সাধারণ মানুষ বিকাশ হিসাব (একাউন্ট) খুলতে না পারায় তার দোকানে আসেন। বিকাশ একাউন্ট খোলার সময় শিপন গ্রাহকদের পিন নম্বর নিজের কাছেও সংরক্ষণ করেন। পরবর্তীতে গ্রাহকের মোবাইলে কেউ টাকা পাঠালে দোকানে আসেন টাকা উঠাতে। শিপন তার ব্যক্তিগত বিকাশে টাকা স্থানান্তর করে গ্রাহককে জানিয়ে দেয় ওই মোবাইল নম্বরে কোনো টাকা আসেনি। এনিয়ে অনেকের সঙ্গে বাকবিতা-া হয়। কেউ কেউ পুলিশে অভিযোগ করলে তাদের টাকা ফেরৎ দেন তিনি।
বোয়ালিয়া গ্রামের বিকাশ গ্রাহক স্বপন রাড়ী জানান, ‘বিকাশ একাউন্ট খুলতে শিপনের সহযোগিতা নিয়েছিলাম। ইউনিয়ন পরিষদের ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচির ৯ হাজার ৫শ টাকা আসে। ওই টাকা উঠানোর জন্য শিপনের দোকানে যাই। মোবাইল নিয়ে শিপন জানায় একাউন্টে কোনো টাকা নেই। বিষয়টি নিয়ে গতকাল বোয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ করলে পুলিশ শিপনকে ডেকে নেয়। পরে শিপন আমাকে ৯ হাজার ৫শ টাকা দেয়।’

চরকালেখান ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নাজমা বেগম বলেন, শিপন প্রতারণা করে আমার ৮ হাজার ৫শ টাকা, সালাম জমাদারের ৭ হাজার ৮শ টাকা, কল্পনা বেগমের ১০ হাজার, হেলাল খানের ২ হাজার টাকাসহ প্রায় ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এরমধ্যে ৪ বার পুলিশের হাতে আটক হয়ে কয়েকজনের টাকা ফেরৎ দিয়েছেন। গ্রামের যারা অভিযোগ করতে পারেন না তাদের টাকা দেননি তিনি।

এ ব্যাপারে শিপন হাওলাদার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘প্রতারণা করে কারও টাকা নেইনি। পুলিশের কাছে অভিযোগ করায় আমার নিজের পকেট থেকে জরিমানা দিয়েছি।’
বোয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. হাতেম আলী বলেন, ‘বিকাশ গ্রাহকদের সঙ্গে দোকানদার শিপনের প্রতারণার বিষয়টি শুনেছি। কেউ অভিযোগ করলে তাদের টাকা ফেরৎ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া শিপনের সঙ্গে লেনদেন না করার জন্য বিকাশ গ্রাহকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’

সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ ডেস্ক :

About Author

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *