রোগীকে না দেখেই একাধিক পরীক্ষা, প্রতিবাদ করায় মারধর


ভোলার চরফ্যাশনে রোগীর স্বজনকে কক্ষে আটকে রেখে মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ করার অভিযোগ উঠেছে হোসাইন শাওন নামের এক মেডিকেল চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।
রোববার চরফ্যাশন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ১০৪নং কক্ষে মারধরের ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার চেয়ারম্যান বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চতুথ শ্রেণির কর্মচারী জাকির হোসেন জানান, জ্বরে আক্রান্ত বৃদ্ধ মা সাফিয়া বেগমকে (৮০) নিয়ে রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে জরুরি বিভাগে নিয়ে যান।
সেই সময় জরুরি বিভাগের কর্মরত ছিলেন চিকিৎসক হোসাইন শাওনের স্ত্রী তাসপিয়া মুন। ভর্তি স্লিপ নিয়ে জরুরি বিভাগের ১০৪নং কক্ষে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তাসপিয়া মুন রোগীকে না দেখেই কয়েকটি পরীক্ষা লিখে দেন এবং তার ব্যক্তিগত চেম্বার রুপালী ডায়াগনস্টিক থেকে করিয়ে রিপোর্ট দেখাতে বলেন।
এ সময় জাকির হোসেন তার মাকে একটু ভালো করে পর্যবেক্ষণ করার অনুরোধ জানালে ডা. তাসফিয়া মুন ক্ষেপে যান এবং তার স্বামী একই হাসপাতালে কর্মরত মেডিকেল অফিসার ডা. হোসেন শাওনকে ফোন করেন।
ডা. হোসেন শাওন সেখানে এসে জাকিরের সঙ্গে কথা বলবেন বলে ১০৪ নম্বর কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে তার ব্যক্তিগত রুপালী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মচারীদের ডেকে এনে জাকিরকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন।
তাদের মারধরে জাকির হোসেন অসুস্থ হয়ে পড়লেও ডা. হোসেন শাওন ও তার পালিত দালালরা ক্ষ্যান্ত হননি। ভুক্তভোগীকে মারধর করে কক্ষে আটকে রেখে পুলিশে সোপর্দ করেন। পরবর্তীতে প্রশাসনের লোকজনসহ ওই ডাক্তারের কাছে ক্ষমা চেয়ে জাকির হোসেন ছাড়া পান।
অভিযোগের বিষয়ে ডা. হোসেন শাওন বলেন, আমার স্ত্রী ডা. তাসফিয়া মুন টেস্টের জন্য লিখে দিলে টেস্ট করালে পার্সেন্টিজ পাবেন এ কথা বলে তার সঙ্গে জাকির তর্কে জড়ায়। পরে আমি এসে তাকে ডেকে নিয়ে বিষয়টির সমাধান করার চেষ্টা করি; কিন্তু সে আজে বাজে কথা বলায় পুলিশ ডেকে সোপর্দ করি। পুলিশ বিষয়টি সমাধান করে দেয়।
জাকির হোসেনকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডা. হোসেন শাওন।
এ ব্যাপারে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শোভন কুমার বসাক বলেন, এ ধরনের ঘটনা শুনে আমি সেখানে গিয়েছিলাম। আমি গিয়ে কাউকে পাইনি। তবে এ ধরনের কিছু হয়ে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।