বরিশালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নযুদ্ধ : চলছে জোর লবিং-তদবির আর প্রচারণা


অনলাইন ডেস্ক : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে আটঘাট বেঁধে মাঠে নেমেছেন আওয়ামী লীগের পৌর মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যানরা। এই চিত্র বরিশালের প্রায় সব নির্বাচনি এলাকায়। মনোনয়ন পেতে বর্তমান এমপিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন অনেকে। কেউ আবার প্রকাশ্যে কিছু না বললেও নেপথ্যে নাড়ছেন কলকাঠি। সব মিলিয়ে দলে চলছে অস্থিরতা।
কোথাও কোথাও তা গড়াচ্ছে সংঘাত-সংঘর্ষে। এর মধ্যে সবচেয়ে জটিল পরিস্থিতি পটুয়াখালীর বাউফলে। সেখানে এখন মুখোমুখি আওয়ামী লীগের তিন গ্রুপ। পিরোজপুর-বরগুনাসহ আরও কয়েকটি এলাকাতেও চলছে উত্তেজনা। এক কথায় নিজেরাই নিজেদের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠছে আওয়ামী লীগ।
সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনের আগে সুস্পষ্ট একটি ঘোষণা দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। তা হলো-মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানরা দলীয় মনোনয়ন পাবেন না। যে কারণে সেবার এটা নিয়ে জটিলতা হয়নি। কিন্তু এবার এখন পর্যন্ত তেমন কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি দল থেকে। তাই আশায় বুক বেঁধে মাঠে নেমেছেন মেয়র-চেয়ারম্যানরা। কেন্দ্রে লবিং-তদবিরের পাশাপাশি এলাকায়ও ছুটছেন তারা। তুলে ধরছেন নিজেদের সাফল্য আর বর্তমান এমপিদের ব্যর্থতা।
বরিশালের ২১ নির্বাচনি এলাকার ৪টিতে রয়েছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বধীন মহাজোটের শরিক দলগুলোর এমপি। বিগত নির্বাচনে ওই আসনগুলো তাদের ছেড়ে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। আগামীতে অবশ্য তা ছাড়তে নারাজ স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা। বাবুগঞ্জ-মুলাদী আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী বলেন, ‘নৌকার কাঁধে ভর করে এখানে জেতে লাঙ্গল। তাই এবার আমরা নেত্রীর কাছে নৌকা চাই।’
বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন প্রার্থী প্রকৌশলী নেতা মঞ্জুরুল হক মঞ্জু বলেন, ‘ঐতিহাসিকভাবে এটি আওয়ামী লীগের আসন। নেত্রীর কাছে একটাই দাবি, আমরা নৌকা চাই।ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল হক মঞ্জু বলেন, ‘এটা দুঃখজনক যে বাকেরগঞ্জ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হওয়ার পরও আসনটি অন্যদের ছেড়ে দিতে হচ্ছে। তাও যদি এমন কেউ হতো যিনি ভোটের মাঠের শক্তিশালী।’
বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল হাফিজ মল্লিক,সাবেক ছাত্র লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মহিউদ্দিন আহমেদ ঝন্টু,বাকেরগঞ্জের উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুল আলম চুন্নু ও মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া।
রুহুল আমিন হাওলাদার ও মহাজোটের ওপর ভর করেই বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসন থেকে এমপি হন নাসরিন জাহান রত্না আমিন।দীর্ঘ বছরেও এলাকায় কোনো জায়গাই তৈরি করতে পারেননি রত্না আমিন। বিদ্যমান বাস্তবতায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও মহাজোট নেতাকর্মীরা রত্না আমিনকে এমপি হিসেবে চাচ্ছেন না।রত্না আমিনকে নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের যন্ত্রণার শেষ নেই।এলাকায় কোনো উন্নয়ন করতে পারেননি রত্না। তাকে খুঁজেও পাওয়া যায়নি। এমনকি ঢাকা গিয়েও তার দেখা পায়নি এলাকার মানুষ।’ দুধল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমরা এমপি চাই, যাকে দিয়ে এলাকার উন্নয়ন হবে। পটে আঁকা বিবি দিয়ে জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না। দুর্গাপাশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের হানিফ তালুকদার বলেন,‘অন্যের ঘাড়ে বন্দুক রেখে আর কত? এখানে বঞ্চিত আওয়ামী লীগ। এলাকায় দলের ১ ডজনেরও বেশি নেতা আছেন যারা এমপি হওয়ার যোগ্য। অথচ যে রত্না এলাকার ১৪টি ইউনিয়নের ওয়ার্ডগুলোর নামও ঠিকভাবে বলতে পারবেন কি না সন্দেহ, তাকেই এমপি হিসেবে মানতে হচ্ছে।
স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাজপথে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন তিনি,রাজপথের আন্দোলন ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতার কথা বিবেচনা করে এরশাদ সরকারের পতনের পরে ৯১’এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৬ বাকেরগঞ্জ আসনে বর্তমান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেন ঝন্টু কে।তবে তৎকালীন সময়ে ৮দলীয় জোটের স্বার্থে ন্যাপ প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হয়েছিল তাকে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠে নেমেছেন সাবেক ছাত্র লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মহিউদ্দিন আহমেদ ঝন্টু।
পিরোজপুর-২ (ভান্ডারিয়া-কাউখালী-স্বরুপকাঠি) আসনেও একই পরিস্থিতি। এখানে বর্তমানে এমপি মহাজোটের শরিক জেপির (মঞ্জু) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, সাবেক জেলা চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মহারাজ বলেন, ‘এখানে জেপির অবস্থান যে কতটা দুর্বল তা আমরা সদ্য সমাপ্ত ভান্ডারিয়া পৌর নির্বাচনে বুঝিয়ে দিয়েছি। নৌকার অর্ধেকেরও কম ভোট পেয়ে হেরেছে জেপি। নৌকার কাঁধে ভর দিয়ে নয়, নৌকার প্রার্থীকেই জেতাতে চাই। সভানেত্রীর কাছে সেটাই চাওয়া।’
একইভাবে পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) আসনেও নৌকার প্রার্থী চাওয়ার কথা জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র ও মনোনয়ন প্রত্যাশী রাফিউদ্দিন ফেরদৌস। সেখানে বর্তমানে এমপি জাতীয় পার্টির ডা. রুস্তম আলী ফরাজী।
উল্লিখিত ৪টিই কেবল নয়, দক্ষিণের ২১ আসনের প্রায় সব কটিতেই মনোনয়নের লড়াইয়ে মাঠে আছেন আওয়ামী লীগের মেয়র-চেয়ারম্যানরা। বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে মনোনয়ন চাইছেন বানারীপাড়ার উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক। মনোনয়নের আশায় দুই উপজেলায় প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি। বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে মনোনয়ন চাইছেন বাবুগঞ্জের উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী ইমদাদুল হক দুলাল, মুলাদীর উপজেলা চেয়ারম্যান তারিকুল হাসান মিঠু এবং মুলাদীর পৌর মেয়র শফিকুজ্জামান রুবেল।
বরিশাল-৫ (সদর) আসনে মনোনয়ন চাইছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামিম।এরপর থেকেই দীর্ঘদিনের বিএনপির দূর্গখ্যাত বরিশাল সদর আসনে বাড়তে থাকে আওয়ামীলীগের কর্মী। সরকারের নানা উন্নয়ন বাস্তবায়নের কারনে বেড়েছে জনসাধারনের আস্থা ।এ ছাড়া এখানে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসাবে আলোচনায় আছেন মাহবুব উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম,সাইদুর রহমান রিন্টু,আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা মশিউর রহমান খান ।
ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে আছেন টানা ৩ বার নির্বাচিত এমপি বজলুল হক হারুন। এছাড়াও মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসাবে আলোচনায় আছেন কৃষি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রাক্তন অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইসমাইল, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ উপকমিটির সদস্য আবুল কাশেম সীমান্ত,কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এম মনিরুজ্জামান মনির। ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসন থেকে টানা ৩ বার নৌকা প্রতীকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে এ আসনে বর্তমানে সংসদ সদস্য পদে বহাল রয়েছেন বজলুল হক হারুন। দুই উপজেলায় যোগাযোগ, মডেল মসজিদ, আমুয়া, পুটিয়াখালি ব্রীজ ও রাজাপুর কাঠালিয়া সড়কসহ বিভিন্ন উন্নয়নে তার অবদান রয়েছে। ১৯৭৩ সালে ১ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এ আসনে প্রতিটি নির্বাচনে এ আসনে নৌকার প্রার্থী পরাজিত হয়। বজলুল হক হারুনই ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসের নির্বাচনে নৌকা পুনঃদ্ধার করেন। এ কারনে এবারও তিনি দলীয় মনোনয়ন পাবার প্রত্যাশা করেন।
বরগুনার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবিরও মনোনয়ন চান বরগুনা-১ (সদর-আমতলী-তালতলী) আসনে। এই আসনে আমতলীর পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান এবং তালতলীর উপজেলা চেয়ারম্যান রেজভিউল হক জমাদ্দারও চান মনোনয়ন।
পিরোজপুর-১ (সদর-নাজিরপুর-ইন্দুরকানী) আসনে দলীয় মনোনয়নের আশায় মাঠে আছেন পিরোজপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মালেক। পিরোজপুর-২ আসনে মনোনয়ন চাইছেন উপজেলা চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম মিরাজ। বেতাগীর পৌর মেয়র এবিএম গোলাম কবির মনোনয়ন চাইছেন বরগুনা-২ (বামনা-বেতাগী-পাথরঘাটা) আসনে।
মনোনয়ন প্রশ্নে বেশি জটিলতা চলছে পটুয়াখালীর বাউফলে। এই একটি উপজেলা নিয়ে গঠিত পটুয়াখালী-২ নির্বাচনি এলাকায় বর্তমান এমপি সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজের বিরুদ্ধে মনোনয়ন যুদ্ধে মাঠে নেমেছেন বাউফলের পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল এবং উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব হাওলাদার। মনোনয়ন দ্বন্দ্বে সেখানে দল ত্রি-খণ্ড হওয়াই কেবল নয়, প্রায়ই ঘটছে সংঘাত-সংঘর্ষ।
শুরু থেকেই এমপি ফিরোজবিরোধী অবস্থানে রয়েছেন মেয়র জুয়েল। উপজেলা চেয়ারম্যান মোতালেব ছিলেন ফিরোজ অনুসারী। সাম্প্রতিক সময়ে এই দুজনের মধ্যেও সৃষ্টি হয়েছে দূরত্ব। কোন্দলের ফলে ফিরোজ অনুসারীদের হামলায় গুরুতর আহত হন মোতালেব। বর্তমানে সেখানে সব দলীয় কর্মসূচি ৩ ভাগে বিভক্ত হয়ে পালন করেন এই ৩ নেতার অনুসারীরা।
কিছুদিন আগে বাউফল উপজেলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার সামনে বক্তব্য দেন পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর। দ্বন্দ্ব নিরসনে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চান তিনি। এভাবে বক্তব্য রাখায় রোষাণলেও পড়তে হয় তাকে। বাউফলে সভা করে তার বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন এমপি ফিরোজ অনুসারী আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। পালটা হিসাবে উপজেলা চেয়ারম্যান মোতালেব সমর্থকরা আবার সমর্থন দেয় কাজী আলমগীরকে।
এসবের পাশাপাশি আরও কয়েকটি এলাকায় দলীয় মনোনয়ন চাইছেন পৌর মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যানরা। এরা হলেন পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে গলাচিপার উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিন শাহ, দশমিনার উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল আজীজ, পটুয়াখালী-১ (সদর-দুমকি-মীর্জাগঞ্জ) আসনে পটুয়াখালী সদর উপজেলার চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট গোলাম সরোয়ার এবং দুমকীর উপজেলা চেয়ারম্যান ড. হারুন অর রশিদ হাওলাদার।
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হয়েও আবার সংসদ-সদস্য পদে দলীয় মনোনয়ন চাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পৌর মেয়র অ্যাসোসিয়েশন, ম্যাব’র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বাউফলের মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল বলেন, ‘পৌর এলাকাও কিন্তু জাতীয় নির্বাচনের অন্তর্ভুক্ত। সেখানকার ভোটাররা এমপি নির্বাচনে ভোট দেন।
আবার স্থানীয় রাজনীতির সমীকরণ হিসাব করতে গেলে দল পরিচালনাসহ সব ক্ষেত্রে আমাদেরকে পৌর এলাকার পাশাপাশি পুরো উপজেলার জন্য কাজ করতে হয়। যেখানে কাজের পরিধি আর ভোটের রাজনীতি এত ব্যাপক সেখানে কেবল পৌরসভা নিয়ে কাজ করতে নানা জটিলতায় পড়তে হয় বলেই সংসদ-সদস্য পদে দলীয় মনোনয়ন চাইছি। উন্নয়ন প্রশ্নে আমার যদি সক্ষমতা থাকে পুরো নির্বাচনি এলাকার নেতৃত্ব দেওয়ার তাহলে কেন চাইব না?’
মেয়র-উপজেলা চেয়ারম্যানদের মনোনয়ন চাওয়া প্রসঙ্গে পটুয়াখালী-৪ আসনের এমপি মুহিব্বুর রহমান বলেন, ‘যে কেউ মনোনয়ন চাইতে পারে। তবে কে মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্য আর কে নয় সেই সিদ্ধান্ত দেবেন দলীয় সভানেত্রী। আমি মনে করি মনোনয়নের লড়াই হোক উন্নয়ন আর সততার ভিত্তিতে। নিজেদের মধ্যে কোন্দল না করে উন্নয়ন আর সততার প্রশ্নে লড়াইটা লড়লে একদিকে যেমন জটিলতা বাধবে না তেমনি দেশও এগিয়ে যাবে।’