ইত্তেহাদ এক্সক্লুসিভ

মোবাইল ফোনে পরকীয়া, পালিয়ে এসে দেখেন প্রেমিক দৃষ্টিহীন

061073427bbca6673c67488ad8f795bd 64f1ade6d4d79
print news

 

মোবাইল ফোনে পরকীয়া, পালিয়ে এসে দেখেন প্রেমিক দৃষ্টিহীন।মোবাইল ফোনে পরকীয়া, পালিয়ে এসে দেখেন প্রেমিক দৃষ্টিহীন। ছবি: সংগৃহীত
মোবাইল ফোনে পরিচয়। এক বছর ধরে চলে কথোপকথন। একপর্যায়ে তা গভীর প্রেমে রূপ নেয়। সবশেষ প্রেমের টানে দুই সন্তানের মা এসে হাজির হন প্রেমিকের বাড়িতে। এসে দেখেন প্রেমিক সম্পূর্ণ দৃষ্টিহীন। অতঃপর ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দিয়ে দুজন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের তালুকদার গ্রামে এ বিয়ে হয়।

প্রেমিক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মো. রাসেল (২৭) হাতিয়ার চরঈশ্বর ইউনিয়নের তালুকদার গ্রামের আর প্রেমিকা রেবা আক্তার সুমি (২২) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট ইউনিয়নের বাসিন্দা।

রাসেলের বড় ভাই রিকশাচালক জামসেদ বলেন, ‘এ বিষয়ে তারা আগে কিছুই জানতাম না। গত শনিবার হঠাৎ সুমি তাদের বাড়ি এসে হাজির হয়। রাসেল দৃষ্টিহীন, তার সংসার চালানোর সক্ষমতা নেই। এসব বলার পরও রাসেলকে বিয়ে করবে বলে সিদ্ধান্তে অটল থাকে সুমি। পরে দুজনকে নিয়ে আসা হয় হাতিয়া থানায়। থানা থেকে সুমির বাড়িতে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তার বাবা-মা কেউ সাড়া দেননি।  বৃহস্পতিবার দুজনের সম্মতিতে বিয়ে হয়।’

রেবা আক্তার সুমি বলেন, রাসেলের এক বন্ধুর মাধ্যমে মোবাইল ফোনে দুজনের পরিচয় হয়। এরপর থেকে প্রতিদিন মোবাইল ফোনে কথা হতো। এতে দুজনের মধ্যে ভালোবাসা ও আন্তরিকতা সৃষ্টি হয়। তাঁর দুটি সন্তান আছে। আগের স্বামী ট্রাকচালক। তাঁর সঙ্গে দুই বছর আগে সম্পর্ক ছিন্ন হয়। এসব জেনেও রাসেল তাঁকে বিয়ে করবেন বলে জানান।

সুমি আরও বলেন, রাসেল দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এটা সুমি আগে জানতেন না। চোখে সমস্যা আছে বলে রাসেল তাঁকে জানান। কিন্তু একেবারে দৃষ্টিহীন, এটা বলেননি। এখন যেহেতু চলে এসেছেন, তাই ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দিয়ে বিয়ে করেছেন।

এদিকে বিয়ের খবরে এলাকার লোকজন রাসেলদের বাড়িতে ভিড় করছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন বলেন, রাসেলের ভাই থানায় এসে বিষয়টি বলেছেন। পরে পুলিশ পাঠিয়ে দুজনকে থানায় আনা হয়। সুমির দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী তাঁর অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তাঁরা কেউ আসেননি। যেহেতু তাঁরা দুজন প্রাপ্তবয়স্ক, তাই নিজেদের যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আইনগত অধিকার তাঁদের রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ ডেস্ক :

About Author

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *