অসম প্রেমের সফল পরিণতির কাহিনি


ইমানুয়েল মাখোঁর বয়স যখন মাত্র ১৬, সেই সময়ে তিনি ৪১ বছর বয়সী এক নারীর প্রেমে পড়েন। সেই নারী আর কেউ নন, তারই শিক্ষিকা ব্রিজিত তোনিয়ো। তিনি একসময় মাখোঁর স্কুলের নাটকের শিক্ষিকা ছিলেন। দুজনের বয়সের ব্যবধান ২৫ বছর। তা ছাড়া তিন সন্তানের জননী সেই শিক্ষিকা। কিন্তু কোনো কিছুই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি এ প্রেমের সম্পর্কে।
স্কুল শিক্ষিকা এবং বর্তমানে তার স্ত্রী ব্রিজিত ছোটবেলা থেকেই তাকে চেনেন। ব্রিজিত তোনিয়ো মনে করেন, ইমানুয়েল মাখোঁ স্কুল জীবনে অন্যদের চেয়ে ব্যতিক্রমী ছিল। মাখোঁ যখন ওই স্কুল ছেড়ে যান, এরপর থেকে তার সাবেক এই শিক্ষিকার সঙ্গে আরও গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মাখোঁ প্রথমবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এক সাক্ষাৎকারে ব্রিজিত তোনিয়ো জানান, মাখোঁ স্কুল ছেড়ে যাওয়ার পর তাদের দুজনের মধ্যে টেলিফোনে দীর্ঘ কথোপকথন হতো। ধীরে ধীরে শিক্ষিকার মন জয় করেন ছাত্র। দুজনের মধ্যে যখন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, তখন শিক্ষিকা ছিলেন বিবাহিত এবং তিন সন্তানের জননী। আগের স্বামীকে ছেড়ে তিনি ২০০৭ সালে বিয়ে করেন মাখোঁকে। তাদের দুজনের বয়সের ব্যবধান নিয়ে অনেক কথা শুনতে হয়েছে মাখোঁ এবং ব্রিজিতকে। মাঝেমধ্যে এসব সমালোচনার জবাবও দিয়েছেন মাখোঁ। একবার তিনি বলেছিলেন, ‘বয়সের ব্যবধানটা যদি উল্টো হতো অর্থাৎ আমি যদি আমার স্ত্রীর চেয়ে ২৫ বছরের বড় হতাম, তাহলে বিষয়টিকে কেউ অস্বাভাবিক বলত না। মানুষ ভিন্ন কিছু দেখে অভ্যস্ত নয়।’ অনেকে বলেন, মাখোঁর প্রেম এবং বিয়ে তার জীবনে ‘আত্মবিশ্বাস’ তৈরিতে একটি প্রভাব ফেলেছে। ফরাসি একজন সাংবাদিক এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, মাখোঁ যদি তার চেয়ে ২৫ বছরের বড় এবং তিন সন্তানের এক জননীকে আকর্ষণ করতে পারেন, তাহলে একই উপায়ে তিনি ফ্রান্সকেও জয় করতে পারবেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মাখোঁর জয় এবং জনপ্রিয়তা সে কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে।