নলছিটিতে সরকারী নির্দেশ অমান্য করে মাদ্রাসায় ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব পালন


নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী মাদ্রাসায় সুপার না থাকলে জ্যেষ্ঠতম সহকারী শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু সরকারী এই পরিপত্রের নির্দেশ অমান্য নলছিটি উপজেলার অনুরাগ গৌড়িপাশা আল হাসান দাখিল মাদ্রাসায় জ্যেষ্ঠতম সহকারী শিক্ষক থাকার পরেও সহকারী শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব দিয়ে চলছে মাদ্রাসার কার্যক্রম। এ নিয়ে বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক, কর্মচারী, শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। এবিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেয়ার পরেও কোন সুরাহা হয়নি বলে জানান একাধিক শিক্ষার্থীদের অভিভাবক।জানা গেছে, চলতি বছরের প্রথম দিকে এই মাদ্রাসার সুপার অন্য একটি আলেম মাদ্রাসায় সুপার পদে নিয়োগ পাওয়ায় সেখানে যোগাযোগ করেছেন। তিনি অন্যত্র চলে যাওয়ার পরে জ্যেষ্ঠতম সহকারী শিক্ষক আলাউদ্দিন আহমেদ কে বাদ দিয়ে সহকারী শিক্ষক মনিরুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত সুপার হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এমনকি ম্যানেজিং কমিটি না থাকায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাদ্রাসার যাবতীয় বিষয়ে দেখভাল করেন । কিন্তু স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল ও মাদ্রাসার কম্পিউটার অপারেটর নুরুল আমিনের যোগসাজশে সরকারি পরিপত্রের অমান্য করে বিধিবহির্ভূতভাবে মনিরুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব দিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থীদের অভিভাবক জানান, মনিরুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে কম্পিউটার অপারেটর নুরুল আমিনের সহযোগিতায় জড়িয়ে পড়ছেন নানা ধরনের দুর্নীতিতে। আমরা নিয়মানুযায়ী ভারপ্রাপ্ত সুপার নিয়োগর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
ভারপ্রাপ্ত সুপার মনিরুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে ১৫০ কেজি নতুন সরকারি বই বিক্রি করে । ৩১মে সকালে মাদ্রাসার বই ক্রয় করে বস্তায় ভরে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা ক্রেতা মোঃ সোয়েব কে হাতেনাতে ধরে কাউন্সিলর আবদুল্লাহ আল মামুন এর কাছে নিয়ে যান। এসময় তার কাছ থেকে নতুন বছরের মাদ্রাসা বোর্ডের নতুন বিভিন্ন শ্রেনীর প্রায় ৬০০পিচ বই পাওয়া যায়। সে জানায় এগুলো অনুরাগ গৌরিপাশা দাখিল মাদ্রাসা থেকে কেজি হিসেবে ক্রয় করেছে। পরে কাউন্সিলর আবদুল্লাহ আল মামুন মাদ্রাসা দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপারমনিরুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিথিত অভিযোগ দেন।বিক্রি করা বইয়ের ওজন ১৫০ কেজি হবে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, মাদ্রাসার বই বিক্রি করা হয়েছে। সব নতুন বই বিক্রি করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন বই বিক্রি করতে যে অনুমতি নিতে হয় আমার জানা নেই। তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাত আরা নাহিদ বলেন, অনুরাগ গৌরিপাশা আল হাসান দাখিল মাদ্রাসার অত্র বছরের নতুন বই কেজি হিসেবে বিক্রি করা হয়েছে সেই মর্মে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা জানা যায়নি ।
এবিষয়ে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মনিরুল ইসলাম ও কম্পিউটার অপারেটর নুরুল আমিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন নিউজ করলে আমাদের কিছুই হবেনা।নলছিটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, মাত্র কয়েকদিন হলো আমি এই উপজেলায় যোগদান করেছি। বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে
কমিটি না থাকলে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব দেওয়ার সুযোগ নেই। আপনার মাধ্যমেই জানতে পারলাম। এখন খোঁজ নিয়ে দেখবো।